ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৭১ বছরে রুনা লায়লা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিনোদন ডেস্ক : 
উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী বলা হয় রুনা লায়লাকে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এ কিংবদন্তির ৭১তম জন্মদিন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে যার সংগীতে পদার্পণ। ৬ বছর আগেই তিনি গানে গানে তার প্রিয় ভুবনে ৫০ বছর পার করে ফেলেছেন।

শৈশব থেকেই সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তিনি। চার বছর বয়সেই নাচের শিক্ষা নেয়া শুরু করেন রুনা লায়লা। সে সময় গানের প্রতি কিন্তু তার বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না। বড় বোন দীনা লায়লা গান শিখতেন। ওই সময় খেলার ফাঁকে বড় বোনের সঙ্গে তিনিও বসে যেতেন রেওয়াজে, তবে সেটা নিয়মিত নয়। সে সময় গানের ওস্তাদ তার স্মৃতিশক্তি ও তাল, লয় আর সুরের জ্ঞান দেখে মুগ্ধ হন।

সেই ওস্তাদই রুনার মাকে একদিন অনুরোধ করেছিলেন যেন তাকে গান শিখতে দেয়া হয়। মাও দ্বিধা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে যান। সেই ওস্তাদ ওইটুকু বয়সে রুনার মধ্যে গানের যে প্রতিভা দেখেছিলেন তা নিতান্তই ভুল ছিল না, যার প্রমাণ আজকের বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করা কণ্ঠসম্রাজ্ঞীর অবস্থান। নাচের প্রতি যে মেয়েটা এত পাগল ছিল, সে হয়ে উঠল উপমহাদেশের প্রখ্যাত গানের মানুষ।

বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ও মা আমেনা লায়লার দ্বিতীয় সন্তান রুনা লায়লা ক্রমেই হয়ে ওঠেন উপমহাদেশীয় সংগীত জগতের এক বিস্ময়কর নাম। তার বয়স ৭০ হলেও সংগীত জীবন ৫৬ বছরেরও বেশি। দীর্ঘ এ সংগীত ক্যারিয়ারে মোট ১৮টি ভাষায় দশ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন তিনি। রীতিমতো রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। রুনা লায়লাই বাংলাদেশের একমাত্র শিল্পী যিনি বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান – এ তিন দেশেই সমানভাবে জনপ্রিয়।

আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা নারী কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ থেকে এছাড়া পেয়েছেন স্বাধীনতা পদকসহ বিভিন্ন পুরস্কার। কিংবদন্তি এ শিল্পী শুধু বাংলাদেশেই পুরস্কার পাননি, তিনি পাকিস্তান থেকে ৩টি ও ভারত থেকে দাদা সাহেব ফালকে সম্মাননাসহ ২টি সম্মানজনক পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি শুধু গানই নয়, চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শিল্পী’ নামক চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন। এতে তিনি নামভূমিকায় অভিনয় করেন। মূলত এ ছবিতে তার ক্যারিয়ারকে ফোকাস করা হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

৭১ বছরে রুনা লায়লা

আপডেট সময় : ০১:৩৬:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২

বিনোদন ডেস্ক : 
উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী বলা হয় রুনা লায়লাকে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এ কিংবদন্তির ৭১তম জন্মদিন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে যার সংগীতে পদার্পণ। ৬ বছর আগেই তিনি গানে গানে তার প্রিয় ভুবনে ৫০ বছর পার করে ফেলেছেন।

শৈশব থেকেই সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তিনি। চার বছর বয়সেই নাচের শিক্ষা নেয়া শুরু করেন রুনা লায়লা। সে সময় গানের প্রতি কিন্তু তার বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না। বড় বোন দীনা লায়লা গান শিখতেন। ওই সময় খেলার ফাঁকে বড় বোনের সঙ্গে তিনিও বসে যেতেন রেওয়াজে, তবে সেটা নিয়মিত নয়। সে সময় গানের ওস্তাদ তার স্মৃতিশক্তি ও তাল, লয় আর সুরের জ্ঞান দেখে মুগ্ধ হন।

সেই ওস্তাদই রুনার মাকে একদিন অনুরোধ করেছিলেন যেন তাকে গান শিখতে দেয়া হয়। মাও দ্বিধা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে যান। সেই ওস্তাদ ওইটুকু বয়সে রুনার মধ্যে গানের যে প্রতিভা দেখেছিলেন তা নিতান্তই ভুল ছিল না, যার প্রমাণ আজকের বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করা কণ্ঠসম্রাজ্ঞীর অবস্থান। নাচের প্রতি যে মেয়েটা এত পাগল ছিল, সে হয়ে উঠল উপমহাদেশের প্রখ্যাত গানের মানুষ।

বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ও মা আমেনা লায়লার দ্বিতীয় সন্তান রুনা লায়লা ক্রমেই হয়ে ওঠেন উপমহাদেশীয় সংগীত জগতের এক বিস্ময়কর নাম। তার বয়স ৭০ হলেও সংগীত জীবন ৫৬ বছরেরও বেশি। দীর্ঘ এ সংগীত ক্যারিয়ারে মোট ১৮টি ভাষায় দশ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন তিনি। রীতিমতো রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। রুনা লায়লাই বাংলাদেশের একমাত্র শিল্পী যিনি বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান – এ তিন দেশেই সমানভাবে জনপ্রিয়।

আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা নারী কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ থেকে এছাড়া পেয়েছেন স্বাধীনতা পদকসহ বিভিন্ন পুরস্কার। কিংবদন্তি এ শিল্পী শুধু বাংলাদেশেই পুরস্কার পাননি, তিনি পাকিস্তান থেকে ৩টি ও ভারত থেকে দাদা সাহেব ফালকে সম্মাননাসহ ২টি সম্মানজনক পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি শুধু গানই নয়, চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শিল্পী’ নামক চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন। এতে তিনি নামভূমিকায় অভিনয় করেন। মূলত এ ছবিতে তার ক্যারিয়ারকে ফোকাস করা হয়েছিল।