ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৩১ অক্টোবর জেএসডি’র সুবর্ণজয়ন্তী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামীকাল ৩১ অক্টোবর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি। দলটির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এদিন সকাল ১০টায় শিল্পব্যাংক ভবনের সন্মুখস্ত পার্কের সামনে থেকে বর্নাঢ্য র‍্যালীর আয়োজন করা হয়েছে। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী জমায়েত, র‍্যালী, আলোচনা সভা, প্রয়াত নেতৃবৃন্দের সমাধিতে পুষ্প স্তবক অর্পন, পরিবারের সদস্যদের সাথে এবং স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা সিরাজুল আলম খান এর  সাথে সাক্ষাৎ সহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হবে। ৩১অক্টোবর, সোমবার সকাল ১০টায় র‍্যালীপূর্ব জমায়েতে বক্তব্য রাখবেন জেএসডি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক, বর্তমান সভাপতি আ স ম আবদুর রব। র‍্যালীটি শুরু হয়ে দিলকুশা বানিজ্যিক এলাকা, মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা, দৈনিক বাংলার মোড় হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে গিয়ে শেষ হবে।
আাজ রবিবার দলটির দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবুল মোবারক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ১৯৭২ সালে যুদ্ধত্তোর বাংলাদেশের বৃটিশ-পাকিস্তানী উপনিবেশিক ব্যবস্থা বহাল রেখে দেশ পরিচালনা শুরু হলে- তা বাতিল করে স্বাধীন দেশোপযোগী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন, কোন দলীয় সরকারে আবদ্ধ না রেখে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠা সমাজ শক্তির সমন্বয়ে ‘বিপ্লবী জাতীয় সরকার’ গঠন, সর্বোপরি শ্রেণী সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবী নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে মেজর এম এ জলিল, আ স ম আব্দুর রব, নূর আলম জিকু, মোহাম্মদ শাহজাহানসহ শতভাগ মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে  জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি আত্মপ্রকাশ করে। আত্মপ্রকাশের শুরু থেকেই জেএসডি হত্যা, খুন, গুম, জেল, জুলুম, নির্যাতনসহ ফ্যাসীবাদী আগ্রাসনের স্বীকার। ফ্যাসীবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে জেএসডি’র হাজার হাজার নেতা কর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে।
১৯৭৫ সালে প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ে। চলমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে জে এস ডি নেতা কর্নেল তাহেরসহ সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষা দানে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেন। এসময়ে জে এস ডি রাষ্ট্র-জনগনের আকাংখাকে ধারণ করে ‘গণতান্ত্রিক জাতীয় সরকার’ গঠনের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে। কিন্তু অতি সামান্য সময়ের মধ্যেই প্রতিক্রিয়াশীল চক্র সিপাহী-জনতার বিজয়কে ছিনতাই করে হস্তগত করে নেয়। জে এস ডি প্রস্তাবিত গণতান্ত্রিক জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা উপেক্ষিত হয়। কর্নেল তাহেরের ফাঁসিসহ জে এস ডি’র নেতাকর্মীরা পুণরায় হত্যা, নির্যাতন, জেল, জুলুমের স্বীকার হয়।
এরই মধ্যে আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু দেশ আজও পরিচালিত হচ্ছে উপনিবেশিক বেড়াজালকে বহাল রেখেই। কিন্তু জেএসডি বিশ্বাস  করে উপনিবেশিক শাসন-শোষণের হাতিয়ার যে কালা-কানুন তা বহাল রেখে একটি স্বাধীন জাতি কখনো এগিয়ে যেতে পারেনা। এজন্য প্রয়োজন সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন, বিকেন্দ্রীকৃত রাষ্ট্র প্রশাসন ব্যবস্থা, দেশ পরিচালনা, উৎপাদন-বণ্টন, উন্নয়নে দেশের শ্রম-কর্ম-পেশার মানুষের অংশিদারিত্ব নিশ্চিত করা। কিন্তু উপনিবেশিক বিধি-ব্যবস্থার মধ্যে আকণ্ঠ নিমজ্জিত কোন দল-মহলের দ্বারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে স্থায়ী রূপ দান, জনগণের অধিকার-ক্ষমতা কর্তৃত্ব নিশ্চিত করা, ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, সুশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত গনতান্ত্রিক-প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও সমাজ শক্তির সমন্বয়ে  জাতীয় সরকার গঠন করা। আর তাই ফ্যাসিবাদী সরকারসহ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বদলের লক্ষ্যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার আমুল সংস্কারই  জে এস ডির  সুবর্ন জয়ন্তীর অঙ্গীকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

৩১ অক্টোবর জেএসডি’র সুবর্ণজয়ন্তী

আপডেট সময় : ০৪:১৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামীকাল ৩১ অক্টোবর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি। দলটির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এদিন সকাল ১০টায় শিল্পব্যাংক ভবনের সন্মুখস্ত পার্কের সামনে থেকে বর্নাঢ্য র‍্যালীর আয়োজন করা হয়েছে। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী জমায়েত, র‍্যালী, আলোচনা সভা, প্রয়াত নেতৃবৃন্দের সমাধিতে পুষ্প স্তবক অর্পন, পরিবারের সদস্যদের সাথে এবং স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা সিরাজুল আলম খান এর  সাথে সাক্ষাৎ সহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হবে। ৩১অক্টোবর, সোমবার সকাল ১০টায় র‍্যালীপূর্ব জমায়েতে বক্তব্য রাখবেন জেএসডি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক, বর্তমান সভাপতি আ স ম আবদুর রব। র‍্যালীটি শুরু হয়ে দিলকুশা বানিজ্যিক এলাকা, মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা, দৈনিক বাংলার মোড় হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে গিয়ে শেষ হবে।
আাজ রবিবার দলটির দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবুল মোবারক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ১৯৭২ সালে যুদ্ধত্তোর বাংলাদেশের বৃটিশ-পাকিস্তানী উপনিবেশিক ব্যবস্থা বহাল রেখে দেশ পরিচালনা শুরু হলে- তা বাতিল করে স্বাধীন দেশোপযোগী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন, কোন দলীয় সরকারে আবদ্ধ না রেখে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠা সমাজ শক্তির সমন্বয়ে ‘বিপ্লবী জাতীয় সরকার’ গঠন, সর্বোপরি শ্রেণী সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবী নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে মেজর এম এ জলিল, আ স ম আব্দুর রব, নূর আলম জিকু, মোহাম্মদ শাহজাহানসহ শতভাগ মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে  জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি আত্মপ্রকাশ করে। আত্মপ্রকাশের শুরু থেকেই জেএসডি হত্যা, খুন, গুম, জেল, জুলুম, নির্যাতনসহ ফ্যাসীবাদী আগ্রাসনের স্বীকার। ফ্যাসীবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে জেএসডি’র হাজার হাজার নেতা কর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে।
১৯৭৫ সালে প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ে। চলমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে জে এস ডি নেতা কর্নেল তাহেরসহ সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষা দানে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেন। এসময়ে জে এস ডি রাষ্ট্র-জনগনের আকাংখাকে ধারণ করে ‘গণতান্ত্রিক জাতীয় সরকার’ গঠনের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে। কিন্তু অতি সামান্য সময়ের মধ্যেই প্রতিক্রিয়াশীল চক্র সিপাহী-জনতার বিজয়কে ছিনতাই করে হস্তগত করে নেয়। জে এস ডি প্রস্তাবিত গণতান্ত্রিক জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা উপেক্ষিত হয়। কর্নেল তাহেরের ফাঁসিসহ জে এস ডি’র নেতাকর্মীরা পুণরায় হত্যা, নির্যাতন, জেল, জুলুমের স্বীকার হয়।
এরই মধ্যে আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু দেশ আজও পরিচালিত হচ্ছে উপনিবেশিক বেড়াজালকে বহাল রেখেই। কিন্তু জেএসডি বিশ্বাস  করে উপনিবেশিক শাসন-শোষণের হাতিয়ার যে কালা-কানুন তা বহাল রেখে একটি স্বাধীন জাতি কখনো এগিয়ে যেতে পারেনা। এজন্য প্রয়োজন সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন, বিকেন্দ্রীকৃত রাষ্ট্র প্রশাসন ব্যবস্থা, দেশ পরিচালনা, উৎপাদন-বণ্টন, উন্নয়নে দেশের শ্রম-কর্ম-পেশার মানুষের অংশিদারিত্ব নিশ্চিত করা। কিন্তু উপনিবেশিক বিধি-ব্যবস্থার মধ্যে আকণ্ঠ নিমজ্জিত কোন দল-মহলের দ্বারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে স্থায়ী রূপ দান, জনগণের অধিকার-ক্ষমতা কর্তৃত্ব নিশ্চিত করা, ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, সুশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত গনতান্ত্রিক-প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও সমাজ শক্তির সমন্বয়ে  জাতীয় সরকার গঠন করা। আর তাই ফ্যাসিবাদী সরকারসহ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বদলের লক্ষ্যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার আমুল সংস্কারই  জে এস ডির  সুবর্ন জয়ন্তীর অঙ্গীকার।