ঢাকা ০৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৬ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৯ মি. ইফতার ৬:১০ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৪০ মি. ইফতার ৬:২৩ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৮ মি. ইফতার ৬:১৯ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৫ মি. ইফতার ৬:১৬ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৭ মি. ইফতার ৬:১০ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৮ মি. ইফতার ৬:২১ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৬ মি. ::::

৩০০ কোটি টাকার বাড়ির মালিক সরকার: আপিল বিভাগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
  • / ৪৩৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিক আবেদ খান ও এস নেহাল আহমেদের দাবি করা ধানমন্ডির ৩০০ কোটি টাকার বাড়ির মালিক সরকার। সোমবার (১৫ মে) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। সেই সঙ্গে ৫০ বছর পর ধানমন্ডির এই জমি নিয়ে সব কটি মামলার চুড়ান্ত নিষ্পত্তি করলেন সর্বোচ্চ আদালত।

এসময় আপিল বিভাগ বলেন, এখানে জালিয়াতি হয়েছে এটা প্রমাণিত। এর পেছনে একটি জালিয়াতি চক্র কাজ করেছে। একটি সাক্ষরের সাথে আরেকটি সাক্ষরের নেই কোন মিল। এসময় কোন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি বাড়িটির দাবী করা আইনজীবীরা।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শুনানি নিয়ে এর আগে এ মামলার মূল নথি তলব করেছিলেন আপিল বিভাগ।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, আবেদ খানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

এর আগে রাজধানী ধানমন্ডির ২নং রোডের প্রায় ৩০০ কোটি দামের পরিত্যক্ত সম্পত্তি ২৯নং বাড়ির মালিকানা সরকারের বলে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তথ্য গোপন করে এই বাড়ির মালিকানা দাবি করে রিট দায়ের করায় সাংবাদিক আবেদ খানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে আইনজীবী মোহাম্মদ আবুল হাসেম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, ধানমন্ডি ২নং রোডের আলোচিত ২৯নং বাড়ি ১৯৭২ সালে তৎকালীন মালিক পরিত্যাগ করে চলে যাওয়ায় সরকার পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে দখল ও নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। পরে ওই সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসেবে মালিকানা দাবি করে তোয়াব খান, আবেদ খান ও অন্যরা প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টে ১৯৮৯ সালে মামলা করেন। সাক্ষ্য ও পক্ষদ্বয়ের কাগজপত্র ও সরকারি নিবন্ধক দফতরের নথি পর্যালোচনা করে প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্ট বর্ণিত সম্পত্তি সরকার আইনসঙ্গতভাবেই পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে দখল ও নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে বলে রায় দেন।

তিনি আরও বলেন, ওই রায় বহাল থাকাবস্থায় এস. নেহাল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ১৯৮৭ সালের আবেদন দেখিয়ে ১৯৯৬ সালে প্রথমে সেটেলমেন্ট কোর্টে মামলা করেন। তবে সে মামলায় সরকারের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়নি। কেউ সাক্ষী না দিলেও বা সমর্থনীয় এবং আবশ্যকীয় কাগজপত্র দাখিল করা না হলেও নেহাল আহমেদ দাবিকারী ব্যক্তির পক্ষে রায় দেন প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্ট।

পরবর্তীতে সেই রায় বাস্তবায়নে এস. নেহাল আহমেদ হাইকোর্টে দুটি রিট দায়ের করেন। এই মামলাগুলোতে সরকারের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্বক প্রকৃত তথ্য উপাত্ত দাখিল না করায় হাইকোর্ট পুনরায় এস. নেহাল আহমেদের পক্ষে রায় দেন। তবে সে রায়ের বিরুদ্ধে দেরিতে আপিল করা হয়েছে জানিয়ে আদালত আপিল তামাদি ঘোষণা করে তা খারিজ করে দেন।

এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের আবেদন জানানো হয়।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/2kxb

নিউজটি শেয়ার করুন

৩০০ কোটি টাকার বাড়ির মালিক সরকার: আপিল বিভাগ

আপডেট সময় : ০২:২৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিক আবেদ খান ও এস নেহাল আহমেদের দাবি করা ধানমন্ডির ৩০০ কোটি টাকার বাড়ির মালিক সরকার। সোমবার (১৫ মে) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। সেই সঙ্গে ৫০ বছর পর ধানমন্ডির এই জমি নিয়ে সব কটি মামলার চুড়ান্ত নিষ্পত্তি করলেন সর্বোচ্চ আদালত।

এসময় আপিল বিভাগ বলেন, এখানে জালিয়াতি হয়েছে এটা প্রমাণিত। এর পেছনে একটি জালিয়াতি চক্র কাজ করেছে। একটি সাক্ষরের সাথে আরেকটি সাক্ষরের নেই কোন মিল। এসময় কোন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি বাড়িটির দাবী করা আইনজীবীরা।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শুনানি নিয়ে এর আগে এ মামলার মূল নথি তলব করেছিলেন আপিল বিভাগ।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, আবেদ খানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

এর আগে রাজধানী ধানমন্ডির ২নং রোডের প্রায় ৩০০ কোটি দামের পরিত্যক্ত সম্পত্তি ২৯নং বাড়ির মালিকানা সরকারের বলে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তথ্য গোপন করে এই বাড়ির মালিকানা দাবি করে রিট দায়ের করায় সাংবাদিক আবেদ খানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে আইনজীবী মোহাম্মদ আবুল হাসেম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, ধানমন্ডি ২নং রোডের আলোচিত ২৯নং বাড়ি ১৯৭২ সালে তৎকালীন মালিক পরিত্যাগ করে চলে যাওয়ায় সরকার পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে দখল ও নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। পরে ওই সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসেবে মালিকানা দাবি করে তোয়াব খান, আবেদ খান ও অন্যরা প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টে ১৯৮৯ সালে মামলা করেন। সাক্ষ্য ও পক্ষদ্বয়ের কাগজপত্র ও সরকারি নিবন্ধক দফতরের নথি পর্যালোচনা করে প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্ট বর্ণিত সম্পত্তি সরকার আইনসঙ্গতভাবেই পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে দখল ও নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে বলে রায় দেন।

তিনি আরও বলেন, ওই রায় বহাল থাকাবস্থায় এস. নেহাল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ১৯৮৭ সালের আবেদন দেখিয়ে ১৯৯৬ সালে প্রথমে সেটেলমেন্ট কোর্টে মামলা করেন। তবে সে মামলায় সরকারের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়নি। কেউ সাক্ষী না দিলেও বা সমর্থনীয় এবং আবশ্যকীয় কাগজপত্র দাখিল করা না হলেও নেহাল আহমেদ দাবিকারী ব্যক্তির পক্ষে রায় দেন প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্ট।

পরবর্তীতে সেই রায় বাস্তবায়নে এস. নেহাল আহমেদ হাইকোর্টে দুটি রিট দায়ের করেন। এই মামলাগুলোতে সরকারের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্বক প্রকৃত তথ্য উপাত্ত দাখিল না করায় হাইকোর্ট পুনরায় এস. নেহাল আহমেদের পক্ষে রায় দেন। তবে সে রায়ের বিরুদ্ধে দেরিতে আপিল করা হয়েছে জানিয়ে আদালত আপিল তামাদি ঘোষণা করে তা খারিজ করে দেন।

এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের আবেদন জানানো হয়।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/2kxb