ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হয় মরবো না হয় দাবি আদায় করবো: গয়েশ্বর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৮:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

হয় আমরা মরবো, না হয় দাবি আদায় করবো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

রোববার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র। কিন্তু স্বাধীন দেশে আমরা গণতন্ত্র হারিয়ে ফেলেছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রয়োজন অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন। আর সুষ্ঠু নির্বাচনে দরকার নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার। এ লক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আন্দোলনে রয়েছি। বিরোধীদলগুলোসহ জনগণ সেই আন্দোলনে শরিক হয়েছে। হয় আমরা মরবো, না হয় দাবি আদায় করবো। সুতরাং বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর চলমান আন্দোলনে বাংলাদেশে আগামীতে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত।

তিনি বলেন, জনযুদ্ধ, গণযুদ্ধ, গণতন্ত্রের জন্য যে যুদ্ধ- আশা করি বেইমানি করবেন না। আমি আশ্বস্ত করতে চাই, বিএনপি বেইমানি করবে না, খালেদা জিয়া এখনো জীবিত। তিনি বেইমানি জানেন না, আপস জানেন না। সে কারণেই তার কপালে এত কষ্ট। তারেক রহমানের বেইমানি করার সুযোগ নাই, আঁতাত করারও সুযোগ নাই। কারণ তার জীবন-মরণ মাতৃভূমিকে ঘিরে।

তিনি আরো বলেন, সরকারের বিদেশি বন্ধুরা কিছু কিছু দেনদরবার কেনাবেচা করে থাকে। সত্য-মিথ্যা জানি না, কানে আসে। সুতরাং কেনাবেচার হাটে যদি কেউ না ওঠে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন নিশ্চিত। কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।

গয়েশ্বর বলেন, আমার বই লেখার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। এখন মনে হয় আমার কথাগুলো বলতে হবে। তাই আমি বই লিখব। আজকে সূচনার কিছু কথা বললাম। কারণ আমি আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতাকে চিনি তাজউদ্দীন থেকে শুরু করে। কথাগুলো সবার জানা দরকার।

শেখ হাসিনার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ভোট চুরি যদি অপরাধ বুঝতে পারেন তাহলে মানে মানে কেটে পড়ুন। সত্যি কথা বললে দেশদ্রোহী, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেই অপরাধ।

সভায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) জয়নাল আবেদীন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শিরিন সুলতানা, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নুর প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

হয় মরবো না হয় দাবি আদায় করবো: গয়েশ্বর

আপডেট সময় : ১০:৫৮:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

হয় আমরা মরবো, না হয় দাবি আদায় করবো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

রোববার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র। কিন্তু স্বাধীন দেশে আমরা গণতন্ত্র হারিয়ে ফেলেছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রয়োজন অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন। আর সুষ্ঠু নির্বাচনে দরকার নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার। এ লক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আন্দোলনে রয়েছি। বিরোধীদলগুলোসহ জনগণ সেই আন্দোলনে শরিক হয়েছে। হয় আমরা মরবো, না হয় দাবি আদায় করবো। সুতরাং বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর চলমান আন্দোলনে বাংলাদেশে আগামীতে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত।

তিনি বলেন, জনযুদ্ধ, গণযুদ্ধ, গণতন্ত্রের জন্য যে যুদ্ধ- আশা করি বেইমানি করবেন না। আমি আশ্বস্ত করতে চাই, বিএনপি বেইমানি করবে না, খালেদা জিয়া এখনো জীবিত। তিনি বেইমানি জানেন না, আপস জানেন না। সে কারণেই তার কপালে এত কষ্ট। তারেক রহমানের বেইমানি করার সুযোগ নাই, আঁতাত করারও সুযোগ নাই। কারণ তার জীবন-মরণ মাতৃভূমিকে ঘিরে।

তিনি আরো বলেন, সরকারের বিদেশি বন্ধুরা কিছু কিছু দেনদরবার কেনাবেচা করে থাকে। সত্য-মিথ্যা জানি না, কানে আসে। সুতরাং কেনাবেচার হাটে যদি কেউ না ওঠে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন নিশ্চিত। কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।

গয়েশ্বর বলেন, আমার বই লেখার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। এখন মনে হয় আমার কথাগুলো বলতে হবে। তাই আমি বই লিখব। আজকে সূচনার কিছু কথা বললাম। কারণ আমি আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতাকে চিনি তাজউদ্দীন থেকে শুরু করে। কথাগুলো সবার জানা দরকার।

শেখ হাসিনার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ভোট চুরি যদি অপরাধ বুঝতে পারেন তাহলে মানে মানে কেটে পড়ুন। সত্যি কথা বললে দেশদ্রোহী, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেই অপরাধ।

সভায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) জয়নাল আবেদীন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শিরিন সুলতানা, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নুর প্রমুখ।