ঢাকা ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হোটেল-রিসোর্টের নিবন্ধন দেয়ার ক্ষমতা পাচ্ছে বিটিবি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৭:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
দেশের প্রচলিত আইনে তারকা মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোকে নিবন্ধন দেয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। আর তারকা মানের নয় এমন হোটেলগুলো নিবন্ধনের ক্ষমতা দেয়া আছে জেলা প্রশাসনকে।

দেশে বর্তমানে তারকা মানের হোটেল-রিসোর্ট রয়েছে ৪১টি। এর বাইরে তারকা মানের নয় এমন হোটেলের সংখ্যা হাজারখানেক।

আইন অনুযায়ী, এসব হোটেল রিসোর্টে পর্যটকদের সেবার মান নিশ্চিত করা হচ্ছে কি না তা দেখার দায়িত্বও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের। কিন্তু লোকবলের অভাবে এসব নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে হোটেল রিসোর্টগুলোর স্বেচ্ছাচারি আচরণের কারণে ঠকতে হচ্ছে পর্যটকদের।

পর্যটকদের অভিযোগ, পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে হোটেলের ভাড়া অনেক বেশি। সেবার মানও মানসম্পন্ন নয়। কিন্তু এসব বিষয়ে কেউ যদি অভিযোগ করতে চান, সে সুযোগ খুব একটা নেই।

পর্যটন মৌসুমে হোটেলগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ভাড়া নির্ধারণ করে বলে অভিযোগ পর্যটকদের। দেশে একটি তারকা মানের হোটেলের ন্যূনতম ভাড়া শুরু হয় প্রতিরাতের জন্য ৫ হাজার টাকা থেকে। কক্ষের রকম বা সুযোগ-সুবিধা ভেদে ৫০ হাজার টাকা প্রতি রাত ভাড়া এমন কক্ষও রয়েছে হোটেলগুলোতে।

পর্যটকদের সেবার মান নিশ্চিত করতে এবং মনিটরিং বাড়াতে হোটেল-রিসোর্টের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার কর্তৃপক্ষ হিসেবে ক্ষমতা পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড (বিটিবি)।

বিটিবির প্রধান নির্বাহী আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, আমরা শুনেছি হোটেল-মোটেল যেহেতু মনিটর হচ্ছে না, তাই এ দায়িত্ব বিটিবিকে দেয়া হতে পারে। যদি এ দায়িত্ব আমাদের হাতে থাকে, তাহলে আমরা এগুলো মনিটর করতে পারব।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, হোটেল-রিসোর্ট নিবন্ধনের ক্ষমতা বিটিবির হাতে গেলে এ ধরনের দুরাচার রোধ করা সম্ভব হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

হোটেল-রিসোর্টের নিবন্ধন দেয়ার ক্ষমতা পাচ্ছে বিটিবি

আপডেট সময় : ০২:২৭:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
দেশের প্রচলিত আইনে তারকা মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোকে নিবন্ধন দেয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। আর তারকা মানের নয় এমন হোটেলগুলো নিবন্ধনের ক্ষমতা দেয়া আছে জেলা প্রশাসনকে।

দেশে বর্তমানে তারকা মানের হোটেল-রিসোর্ট রয়েছে ৪১টি। এর বাইরে তারকা মানের নয় এমন হোটেলের সংখ্যা হাজারখানেক।

আইন অনুযায়ী, এসব হোটেল রিসোর্টে পর্যটকদের সেবার মান নিশ্চিত করা হচ্ছে কি না তা দেখার দায়িত্বও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের। কিন্তু লোকবলের অভাবে এসব নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে হোটেল রিসোর্টগুলোর স্বেচ্ছাচারি আচরণের কারণে ঠকতে হচ্ছে পর্যটকদের।

পর্যটকদের অভিযোগ, পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে হোটেলের ভাড়া অনেক বেশি। সেবার মানও মানসম্পন্ন নয়। কিন্তু এসব বিষয়ে কেউ যদি অভিযোগ করতে চান, সে সুযোগ খুব একটা নেই।

পর্যটন মৌসুমে হোটেলগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ভাড়া নির্ধারণ করে বলে অভিযোগ পর্যটকদের। দেশে একটি তারকা মানের হোটেলের ন্যূনতম ভাড়া শুরু হয় প্রতিরাতের জন্য ৫ হাজার টাকা থেকে। কক্ষের রকম বা সুযোগ-সুবিধা ভেদে ৫০ হাজার টাকা প্রতি রাত ভাড়া এমন কক্ষও রয়েছে হোটেলগুলোতে।

পর্যটকদের সেবার মান নিশ্চিত করতে এবং মনিটরিং বাড়াতে হোটেল-রিসোর্টের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার কর্তৃপক্ষ হিসেবে ক্ষমতা পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড (বিটিবি)।

বিটিবির প্রধান নির্বাহী আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, আমরা শুনেছি হোটেল-মোটেল যেহেতু মনিটর হচ্ছে না, তাই এ দায়িত্ব বিটিবিকে দেয়া হতে পারে। যদি এ দায়িত্ব আমাদের হাতে থাকে, তাহলে আমরা এগুলো মনিটর করতে পারব।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, হোটেল-রিসোর্ট নিবন্ধনের ক্ষমতা বিটিবির হাতে গেলে এ ধরনের দুরাচার রোধ করা সম্ভব হবে।