ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হাতি দিয়ে মাহুতের চাঁদাবাজি : অতিষ্ঠ পাকুন্দিয়ার ব্যবসায়ীরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৯:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩
  • / ৪৭৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// আছাদুজ্জামান খন্দকার, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি //

হাতির পিঠে বসা এক যুবক। এ-দোকান ও-দোকান ঘুরছে হাতি। আর হাতি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে সোজা দোকানির কাছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দিচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত শুঁড় তুলছে না হাতি। টাকা দিলেই শুঁড় তুলে জানাচ্ছে সালাম। এভাবেই প্রতি দোকান থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। শুধু দোকনই নয়। রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন থামিয়েও তোলা হচ্ছে টাকা। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার থেকে এ অভিনব কায়দায় প্রায় সময়ই টাকা তুলে নেয়া হচ্ছে হাতির মাধ্যমে।
শুক্রবার দুপুরে দেখা গেছে, পাকুন্দিয়া সদর বাজারে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে। রাস্তার দুই পাশে বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে তোলা হচ্ছে টাকা। হাতি দিয়ে গাড়ি আটকিয়েও টাকা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদাবাজির এ দৌড়াত্ব থেকে বাদ পড়ছেনা মোটর সাইকেল, সিএনজি ও অটোরিক্সা চালকরাও। টাকা না দিলে হাতি বিকট শব্দে হুংকার দেয়। তখন দোকানদার ও গাড়ির চালকরা ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী প্রদীপ কুমার। তিনি বলেন, কয়েকদিন পরপর মাহুত হাতি দিয়ে চাাঁদাবাজি করতে আসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে। বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর। মাহুতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
আল-আমিন নামের এক অটোরিক্সা চালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তায় প্রায় সময়ই হাতির চাঁদাবাজির কবলে পড়তে হয়। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দেয় । টাকা না দিলে সামনে থেকে সরে না। তখন ভয়ে বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে দেই।
হাতির পিঠে বসা মাহুতের কাছে নাম পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার নাম কিরণ। তিনি হাতি নিয়ে বরিশাল এলাকা থেকে এসেছেন। হাতি নিয়ে এভাবে কেন টাকা নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা না নিলে হাতিকে খাওয়াবো কি ?
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরি বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। তবে এরপর যদি আবারও কোনোদিন আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

হাতি দিয়ে মাহুতের চাঁদাবাজি : অতিষ্ঠ পাকুন্দিয়ার ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩

// আছাদুজ্জামান খন্দকার, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি //

হাতির পিঠে বসা এক যুবক। এ-দোকান ও-দোকান ঘুরছে হাতি। আর হাতি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে সোজা দোকানির কাছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দিচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত শুঁড় তুলছে না হাতি। টাকা দিলেই শুঁড় তুলে জানাচ্ছে সালাম। এভাবেই প্রতি দোকান থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। শুধু দোকনই নয়। রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন থামিয়েও তোলা হচ্ছে টাকা। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার থেকে এ অভিনব কায়দায় প্রায় সময়ই টাকা তুলে নেয়া হচ্ছে হাতির মাধ্যমে।
শুক্রবার দুপুরে দেখা গেছে, পাকুন্দিয়া সদর বাজারে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে। রাস্তার দুই পাশে বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে তোলা হচ্ছে টাকা। হাতি দিয়ে গাড়ি আটকিয়েও টাকা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদাবাজির এ দৌড়াত্ব থেকে বাদ পড়ছেনা মোটর সাইকেল, সিএনজি ও অটোরিক্সা চালকরাও। টাকা না দিলে হাতি বিকট শব্দে হুংকার দেয়। তখন দোকানদার ও গাড়ির চালকরা ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী প্রদীপ কুমার। তিনি বলেন, কয়েকদিন পরপর মাহুত হাতি দিয়ে চাাঁদাবাজি করতে আসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে। বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর। মাহুতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
আল-আমিন নামের এক অটোরিক্সা চালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তায় প্রায় সময়ই হাতির চাঁদাবাজির কবলে পড়তে হয়। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দেয় । টাকা না দিলে সামনে থেকে সরে না। তখন ভয়ে বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে দেই।
হাতির পিঠে বসা মাহুতের কাছে নাম পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার নাম কিরণ। তিনি হাতি নিয়ে বরিশাল এলাকা থেকে এসেছেন। হাতি নিয়ে এভাবে কেন টাকা নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা না নিলে হাতিকে খাওয়াবো কি ?
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরি বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। তবে এরপর যদি আবারও কোনোদিন আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বা/খ: এসআর।