স্বাধীনতার ৫২ বছরে উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ
- আপডেট সময় : ০৩:০৯:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩
- / ৪৭০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তান থেকে পরাধীনতা আর অর্থনৈতিক বৈষম্যের শেকল ছিড়ে স্বাধীনতার ৫২ বছরে বাংলাদেশ পাড়ি দিয়েছে বহুপথ। অর্থনীতির আকার, জিডিপি প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি গড় আয়ু, নারীর কর্মসংস্থান-শিক্ষাসহ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে এসেছে বিস্ময়কর অর্জন। পদ্মাসেতু, পারমাণবিক বিদ্যুতের মত মেগা প্রকল্প বিশ্বকেও জানান দিচ্ছে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির বাংলাদেশ।
ভৌগোলিক দূরত্ব, ভাষা, সংস্কৃতিকে পাশ কাটিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে জন্ম হয় পাকিস্তান রাষ্ট্রের। ১৯৪৭ এর দেশভাগের সময় পূর্ব-পশ্চিমের জনগণের মাথাপিছু আয় ছিল প্রায় সমান। দু-অংশের অর্থনীতির আকারও ছিল সমান।
বাংলার পাট রপ্তানির আয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে শিল্পায়ন হয়। চাকরি, উন্নয়ন বরাদ্দসহ সকল খাতে বৈষম্য প্রকট আকার নেয়। ২৪ বছরের ব্যবধানে পশ্চিম পাকিস্তানের জিডিপি পূর্ব পাকিস্তানের দ্বিগুণ ছাড়ায়।
বৈষম্য আর শোষণমুক্ত হতে, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর হাতে দেশের অর্থনীতির পথচলা শুরু হয় জোরেশোরে। কিন্তু ৭৫ এর মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞের পর দীর্ঘদিন মন্থর গতিতে চলে অর্থনীতি।
তবে গত প্রায় দেড় দশকের ধারাবাহিক উন্নয়নে যোগ হয়েছে চোখ ধাঁধানো বড় বড় প্রকল্প। কৃষি-শিল্প-সেবা সবখাতেই লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া। বৈশ্বিক নানা সংকটেও সচল মাথাপিছু আয়, জিডিপি প্রবৃদ্ধির চাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বরেন, আমাদের মাথাপিছু গড় আয় অনেকগুণ বেড়েছে, আমাদের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ গেছে, আমাদের সড়ক-মহাসড়ক, স্কুল কলেজ, হাসপাতাল নির্মাণ হচ্ছে। স্থিতিশীলতা, সাহসী নেতৃত্ব এবং দায়বোধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন। স্বক্ষরতার হার ও গড় আয়ুতে আমরা ভারতকে পেছনে ফেলেছি। আর পাকিস্তান তো এই মুহুর্তে অনেক দূরে আজ আামাদের থেকে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক গবেষণা বলছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৮ তম অর্থনীতি। আকার ছাড়াবে এক ট্রিলিয়ন ডলার। পাকিস্তান যখন দেউলিয়া হওয়ার পথে, বাংলাদেশ তখন হাঁটছে বিশ্বের অন্যতম ভোক্তা বাজার হওয়ার পথে।
স্বল্পোন্নত থেকে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উঠবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণে চলছে নানা কর্মযজ্ঞ।