Deprecated: Optional parameter $avatar declared before required parameter $id_or_email is implicitly treated as a required parameter in /home/banglakhaborbd/public_html/wp-content/themes/Newspaper pro/lib/metabox/user-function.php on line 55
স্বস্তি নেই বাজারে - বাংলা খবর
ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

স্বস্তি নেই বাজারে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩৩:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে আটা, সবজি ও চিনির দাম বেড়েছে। তবে ব্রয়লার মুরগি, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম। স্বস্তি নেই বাজারে। দিন দিন সব কিছুর দাম বাড়ছে।

বাজারে কমেছে ডিমের দাম, প্রতি ডজন ডিমে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা কমেছে। অন্যদিকে দাম বেড়েছে সবজি ও চিনির দাম। প্রতি কেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। চিনি কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে শীতকালীন সবজির প্রচুর আমদানি রয়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী দাম কমেনি। এ নিয়ে ক্রেতাদের অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যদিও দোকান ভাড়া, আমদানি ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিকে দাম বাড়ার কারণ বলছেন খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা।

বাজারে প্রতি কেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। আকার ভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা। বাজারে শিমের কেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৬০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৬০-৮০, গাজর ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি, ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি ও মুলা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ট্রাকভর্তি ফুলকপি নিয়ে বিক্রি করতে কারওয়ান বাজারে এসেছেন আব্দুল মোতালেব। তিনি বলেন, আমার ফুলকপিগুলো মাঝারি সাইজের ১২ থেকে ১৫ টাকা দরে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি করেছি। অন্যান্য বারের থেকে এবছর দাম কিছুটা কম। শীতের শুরুর দিকে দাম সবসময় ভালো পাওয়া যায়। তবে এবার বাজারে চাহিদা একটু কম মনে হচ্ছে, ফলে দামটাও আশানুরূপ পাচ্ছি না।

এদিকে খুচরা সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি মূল্যের চেয়ে খুচরা মূল্যের প্রতিটি সবজি ১০ থেকে ২৫ টাকা কেজি প্রতি বেশি বিক্রি হচ্ছে। মতিঝিল বাজারের লাভলু মিয়া টমেটো বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা অথচ পাইকারি মূল্য কেজিপ্রতি ১০০ টাকা। ১ কেজি টমেটোতে ৩০ টাকা বেশি। এভাবে তার দোকানে সব সবজি পাইকারি দামের চেয়ে ১০-৩০ টাকা কেজিপ্রতি বেশিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।

শনির আখড়া সবজি বিক্রেতা মিজান বলেন, বাজারে নতুন সবজি আসলেও দাম কমেনি। তবে দ্রুতই সবজির দাম কমে যাবে।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে চিনির দাম। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। সাত দিন আগে চিনির কেজি ছিল ১১০-১১৫ টাকা। প্যাকেট চিনির কেজি ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আটা। খোলা আটার কেজি ৬০-৬২ টাকা ও প্যাকেট আটার কেজি ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়।
কমেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে লাল ডিমের ডজন ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। আগের দামে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫-২০০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২২০-২২৫ টাকা।

এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে মসুরের ডালের কেজি ছিল ১১০-১২০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা।

বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। আগে এক লিটার তেলের বোতল ছিল ১৭৮ টাকা। তেলের ৫ লিটারের বোতল আগে ছিল ৮৮০ টাকা। এখন পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯২৫ টাকায়। বাজারে লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা।

বাড্ডা ডিম বিক্রেতা আশিক বলেন, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম দাম কমেছে। বাজারের ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১১৫-১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম কমেনি।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়। কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমলেও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে সোনালি ও লেয়ার মুরগি। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩১০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ টাকায়।

মুরগির বিক্রেতা মো. নূর ইসলাম বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে সোনালি ও লেয়ার মুরগি। শীতকালে মুরগির উৎপাদন কম থাকায় দাম বাড়ে।

ডিম বিক্রেতা জামিল বলেন, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। বাজারের ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১১৫-১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম কমেনি।

ঢাকার বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়।

তবে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমলেও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে সোনালি ও লেয়ার মুরগি। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩১০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ টাকায়। আর দেশি মুরগি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, রুই মাছ ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়, পাবদা মাছ আকার ভেদে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, চাষের কই ২৪০ টাকায়, পাঙাস মাছ ২০০ টাকায়, সিলভার কার্প মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়, ছোট সাইজের শিং মাছ ৪০০ টাকায়, ট্যাংড়া মাঝারি ৬০০ টাকায়, ছোট চিংড়ি ৫০০ টাকা, মাঝারি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া টাকি মাছ ৪০০ টাকায়, আঁইড় মাছ ৮০০ টাকায়, রুপচাঁদা মাঝারিটা ৭০০ টাকায়, কাতল মাছ ৩০০ থেকে আকার ভেদে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনে বাজার করতে এসেছেন আকাশ হোসেন বলেন, সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ দেখছি না। একবার যে পণ্যগুলোর দাম বাড়ছে সেটা আর কমছে না। মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে কম বাজার করছেন। যেখানে ১০ টাকার জিনিস কেনা দরকার, সেখানে পাঁচ টাকার কিনেই বাড়ি ফিরছেন।

কারওয়ানবাজারে আসা হেলাল মিয়া জানান, ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে এসেছি। তাতে তেল, চিনি ও আটা কিনেই শেষ ৪০০ টাকা। মাছ-তরকারি কিনব কীভাবে সে চিন্তাই আছি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বস্তি নেই বাজারে

আপডেট সময় : ০২:৩৩:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে আটা, সবজি ও চিনির দাম বেড়েছে। তবে ব্রয়লার মুরগি, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম। স্বস্তি নেই বাজারে। দিন দিন সব কিছুর দাম বাড়ছে।

বাজারে কমেছে ডিমের দাম, প্রতি ডজন ডিমে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা কমেছে। অন্যদিকে দাম বেড়েছে সবজি ও চিনির দাম। প্রতি কেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। চিনি কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে শীতকালীন সবজির প্রচুর আমদানি রয়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী দাম কমেনি। এ নিয়ে ক্রেতাদের অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যদিও দোকান ভাড়া, আমদানি ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিকে দাম বাড়ার কারণ বলছেন খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা।

বাজারে প্রতি কেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। আকার ভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা। বাজারে শিমের কেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৬০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৬০-৮০, গাজর ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি, ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি ও মুলা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ট্রাকভর্তি ফুলকপি নিয়ে বিক্রি করতে কারওয়ান বাজারে এসেছেন আব্দুল মোতালেব। তিনি বলেন, আমার ফুলকপিগুলো মাঝারি সাইজের ১২ থেকে ১৫ টাকা দরে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি করেছি। অন্যান্য বারের থেকে এবছর দাম কিছুটা কম। শীতের শুরুর দিকে দাম সবসময় ভালো পাওয়া যায়। তবে এবার বাজারে চাহিদা একটু কম মনে হচ্ছে, ফলে দামটাও আশানুরূপ পাচ্ছি না।

এদিকে খুচরা সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি মূল্যের চেয়ে খুচরা মূল্যের প্রতিটি সবজি ১০ থেকে ২৫ টাকা কেজি প্রতি বেশি বিক্রি হচ্ছে। মতিঝিল বাজারের লাভলু মিয়া টমেটো বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা অথচ পাইকারি মূল্য কেজিপ্রতি ১০০ টাকা। ১ কেজি টমেটোতে ৩০ টাকা বেশি। এভাবে তার দোকানে সব সবজি পাইকারি দামের চেয়ে ১০-৩০ টাকা কেজিপ্রতি বেশিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।

শনির আখড়া সবজি বিক্রেতা মিজান বলেন, বাজারে নতুন সবজি আসলেও দাম কমেনি। তবে দ্রুতই সবজির দাম কমে যাবে।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে চিনির দাম। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। সাত দিন আগে চিনির কেজি ছিল ১১০-১১৫ টাকা। প্যাকেট চিনির কেজি ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আটা। খোলা আটার কেজি ৬০-৬২ টাকা ও প্যাকেট আটার কেজি ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়।
কমেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে লাল ডিমের ডজন ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। আগের দামে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫-২০০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২২০-২২৫ টাকা।

এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে মসুরের ডালের কেজি ছিল ১১০-১২০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা।

বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। আগে এক লিটার তেলের বোতল ছিল ১৭৮ টাকা। তেলের ৫ লিটারের বোতল আগে ছিল ৮৮০ টাকা। এখন পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯২৫ টাকায়। বাজারে লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা।

বাড্ডা ডিম বিক্রেতা আশিক বলেন, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম দাম কমেছে। বাজারের ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১১৫-১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম কমেনি।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়। কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমলেও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে সোনালি ও লেয়ার মুরগি। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩১০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ টাকায়।

মুরগির বিক্রেতা মো. নূর ইসলাম বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে সোনালি ও লেয়ার মুরগি। শীতকালে মুরগির উৎপাদন কম থাকায় দাম বাড়ে।

ডিম বিক্রেতা জামিল বলেন, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। বাজারের ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১১৫-১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম কমেনি।

ঢাকার বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়।

তবে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমলেও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে সোনালি ও লেয়ার মুরগি। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩১০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ টাকায়। আর দেশি মুরগি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, রুই মাছ ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়, পাবদা মাছ আকার ভেদে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, চাষের কই ২৪০ টাকায়, পাঙাস মাছ ২০০ টাকায়, সিলভার কার্প মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়, ছোট সাইজের শিং মাছ ৪০০ টাকায়, ট্যাংড়া মাঝারি ৬০০ টাকায়, ছোট চিংড়ি ৫০০ টাকা, মাঝারি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া টাকি মাছ ৪০০ টাকায়, আঁইড় মাছ ৮০০ টাকায়, রুপচাঁদা মাঝারিটা ৭০০ টাকায়, কাতল মাছ ৩০০ থেকে আকার ভেদে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনে বাজার করতে এসেছেন আকাশ হোসেন বলেন, সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ দেখছি না। একবার যে পণ্যগুলোর দাম বাড়ছে সেটা আর কমছে না। মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে কম বাজার করছেন। যেখানে ১০ টাকার জিনিস কেনা দরকার, সেখানে পাঁচ টাকার কিনেই বাড়ি ফিরছেন।

কারওয়ানবাজারে আসা হেলাল মিয়া জানান, ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে এসেছি। তাতে তেল, চিনি ও আটা কিনেই শেষ ৪০০ টাকা। মাছ-তরকারি কিনব কীভাবে সে চিন্তাই আছি।