ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সুকেশ আমার ইমোশন নিয়ে খেলেছে : জ্যাকুলিন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিনোদন ডেস্ক : 

সুকেশ চন্দ্রশেখর কাণ্ডে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে। ২০০ কোটি রুপির আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় আদালতে বক্তব্য দিয়েছেন জ্যাকুলিন। তিনি বলেন, সুকেশ চন্দ্রশেখর আমার জীবনটা নরক বানিয়ে দিয়েছে। আমার ইমোশন নিয়ে খেলেছে।

এ নিয়ে গত এক বছর ধরে আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন জ্যাকলিন। এ মামলায় জামিন পেলেও অসুস্থ বাবা-মাকে দেখতে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি মেলেনি।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দিল্লি পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে মুখ খুলেন জ্যাকুলিন। তিনি বলেন, সুকেশ আমাকে ভুল পথে চালিত করেছে। আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে। আমার জীবন বিপর্যস্ত করে দিয়েছে।

জ্যাকুলিনের দাবি, অভিনেত্রীর কাছে চন্দ্রশেখর নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। মনে হয়েছিল, কেউ তার গতিবিধির ওপরে নজর রাখছে।

তিনি জানান, তাদের দুজনের মধ্যে কথা শুরু হয়েছিল পিঙ্কি ইরানি নামে এক নারীর মাধ্যমে। সেই নারী জ্যাকুলিনের মেকআপ আর্টিস্ট শান মুথাথিলের মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জ্যাকুলিনকে জানানো হয়, সুকেশ চন্দ্রশেখর ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা।

জ্যাকুলিন বলেন, সুকেশ নিজের পরিচয়ে বলেন, তিনি সান টিভির মালিক ও জয়ললিতা তার আন্টি। চন্দ্রশেখর বলেছিল যে, ও আমার বড় ফ্যান। আমার দক্ষিণ ভারতেও সিনেমা করা উচিত। সান টিভির মালিক হিসেবে ও বলে যে, ওদের অনেক কাজ শিডিউল করা আছে। সেখানে একসঙ্গে কাজ করা যাবে।

জেল থেকেও জ্যাকলিনকে ফোন করতেন সুকেশ। এ বিষয়ে আদালতকে জ্যাকলিন বলেন, প্রতিদিন সকালে শুটিং শুরুর আগে আমাকে কল বা ভিডিও কল করতেন সুকেশ। কখনো কখনো রাতে ঘুমানোর আগেও কল করতেন। দিনে অন্তত তিনবার ফোন করতেন। কিন্তু কখনো বলতেন না তিনি জেলে আছেন। ভিডিও কলে কথা বলার সময়ে তার ব্যাকগ্রাউন্ডে পর্দা থাকত, সোফায় বসে কথা বলতেন। যা দেখে বোঝার উপায় ছিল না।

Who is Sukesh Chandrasekhar? The Millionaire Conman Whose Cosy Pics With  Jacqueline Fernandez Went Viral

২০২১ সালের ৮ আগস্টের পর সুকেশের সঙ্গে কথা হয়নি জ্যাকলিনের। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, এ দিনের পর সুকেশের সঙ্গে আর কথা হয়নি। পরে জানতে পারি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাদের ছদ্মবেশ ধারণ করার অপরাধে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জ্যাকুলিন বলেন, সুকেশ ও পিঙ্কি ইরানি একসঙ্গে আমাকে ঠকিয়েছে। শেখর আমাকে দিনের পর দিন ঠকিয়েছে। পরে জানতে পারি যে, শেখরের আসল নাম সুকেশ। তখনই জানতে পারি ওর ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা। পিঙ্কি এসব জানত। কিন্তু কখনোই আমাকে বলেনি। যখনই আমি কেরালা যেতাম, তখনই প্রাইভেট জেটে যেতাম। ওই হেলিকপ্টার দিত আমায়। প্রাইভেট জেটে আমি দুবার চেন্নাই যাই, সুকেশের সঙ্গে দেখা হয়।

জ্যাকলিন অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘বিক্রান্ত রোনা’। এছাড়া ‘সার্কাস’, ‘রামসেতু’ সিনেমাগুলো তার ঝুলিতে রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সুকেশ আমার ইমোশন নিয়ে খেলেছে : জ্যাকুলিন

আপডেট সময় : ১১:১৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : 

সুকেশ চন্দ্রশেখর কাণ্ডে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে। ২০০ কোটি রুপির আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় আদালতে বক্তব্য দিয়েছেন জ্যাকুলিন। তিনি বলেন, সুকেশ চন্দ্রশেখর আমার জীবনটা নরক বানিয়ে দিয়েছে। আমার ইমোশন নিয়ে খেলেছে।

এ নিয়ে গত এক বছর ধরে আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন জ্যাকলিন। এ মামলায় জামিন পেলেও অসুস্থ বাবা-মাকে দেখতে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি মেলেনি।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দিল্লি পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে মুখ খুলেন জ্যাকুলিন। তিনি বলেন, সুকেশ আমাকে ভুল পথে চালিত করেছে। আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে। আমার জীবন বিপর্যস্ত করে দিয়েছে।

জ্যাকুলিনের দাবি, অভিনেত্রীর কাছে চন্দ্রশেখর নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। মনে হয়েছিল, কেউ তার গতিবিধির ওপরে নজর রাখছে।

তিনি জানান, তাদের দুজনের মধ্যে কথা শুরু হয়েছিল পিঙ্কি ইরানি নামে এক নারীর মাধ্যমে। সেই নারী জ্যাকুলিনের মেকআপ আর্টিস্ট শান মুথাথিলের মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জ্যাকুলিনকে জানানো হয়, সুকেশ চন্দ্রশেখর ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা।

জ্যাকুলিন বলেন, সুকেশ নিজের পরিচয়ে বলেন, তিনি সান টিভির মালিক ও জয়ললিতা তার আন্টি। চন্দ্রশেখর বলেছিল যে, ও আমার বড় ফ্যান। আমার দক্ষিণ ভারতেও সিনেমা করা উচিত। সান টিভির মালিক হিসেবে ও বলে যে, ওদের অনেক কাজ শিডিউল করা আছে। সেখানে একসঙ্গে কাজ করা যাবে।

জেল থেকেও জ্যাকলিনকে ফোন করতেন সুকেশ। এ বিষয়ে আদালতকে জ্যাকলিন বলেন, প্রতিদিন সকালে শুটিং শুরুর আগে আমাকে কল বা ভিডিও কল করতেন সুকেশ। কখনো কখনো রাতে ঘুমানোর আগেও কল করতেন। দিনে অন্তত তিনবার ফোন করতেন। কিন্তু কখনো বলতেন না তিনি জেলে আছেন। ভিডিও কলে কথা বলার সময়ে তার ব্যাকগ্রাউন্ডে পর্দা থাকত, সোফায় বসে কথা বলতেন। যা দেখে বোঝার উপায় ছিল না।

Who is Sukesh Chandrasekhar? The Millionaire Conman Whose Cosy Pics With  Jacqueline Fernandez Went Viral

২০২১ সালের ৮ আগস্টের পর সুকেশের সঙ্গে কথা হয়নি জ্যাকলিনের। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, এ দিনের পর সুকেশের সঙ্গে আর কথা হয়নি। পরে জানতে পারি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাদের ছদ্মবেশ ধারণ করার অপরাধে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জ্যাকুলিন বলেন, সুকেশ ও পিঙ্কি ইরানি একসঙ্গে আমাকে ঠকিয়েছে। শেখর আমাকে দিনের পর দিন ঠকিয়েছে। পরে জানতে পারি যে, শেখরের আসল নাম সুকেশ। তখনই জানতে পারি ওর ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা। পিঙ্কি এসব জানত। কিন্তু কখনোই আমাকে বলেনি। যখনই আমি কেরালা যেতাম, তখনই প্রাইভেট জেটে যেতাম। ওই হেলিকপ্টার দিত আমায়। প্রাইভেট জেটে আমি দুবার চেন্নাই যাই, সুকেশের সঙ্গে দেখা হয়।

জ্যাকলিন অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘বিক্রান্ত রোনা’। এছাড়া ‘সার্কাস’, ‘রামসেতু’ সিনেমাগুলো তার ঝুলিতে রয়েছে।