ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সার্কের বিশেষ সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত বঙ্গবন্ধু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৩:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বিশেষ সাহিত্য সম্মাননা’য় ভূষিত করেছে ফেডারেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার (এফওএসডব্লিউএএল)। তিনটি বইয়ের জন্য বঙ্গবন্ধুকে এই পুরস্কার প্রদান করে এফওএসডব্লিউএএল। আজ (রোববার) দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়। সংগঠনটির আঞ্চলিক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর তিনটি বই হলো- ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং ‘আমার দেখা নয়াচীন ১৯৫২’।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও বিশিষ্ট গবেষক, লেখক মফিদুল হক।

ভারতের বিখ্যাত সাহিত্য একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত পদ্মশ্রী ভূষিত ঔপন্যাসিক অজিত কৌরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা লেখক, চিন্তাবিদ, সাহিত্যিক, শিল্পী, গবেষকরা অংশ নেন। ২০০১ সাল থেকে ফাউন্ডেশন অফ সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনের পুরস্কারের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে অজিত কৌর বলেন, ‘বাংলাদেশের বিজয় কোনো সাধারণ ঘটনা ছিল না। এ ছিল এক অনন্য বিজয়, যা বাঙালি জাতির পিতা, মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত বঙ্গবন্ধুর আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ অনন্য সাহসিকতার পরিচয় বহন করে। ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করেছেন সিংহের মতো। বস্তুত মানুষের জীবনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্বদেশের মর্যাদা রক্ষা করা। বঙ্গবন্ধুকে আজকের এই দিনে এই পুরস্কারে ভূষিত করতে পেরে আমরাও গর্বিত’।

এফওএসডব্লিউএএল বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিবীর মুক্তিকামী নিপীড়িত মানুষের স্বাধীনতা আন্দোলনের মহান নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু, ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের মতো নেতা পরাজিত শক্তির হাতে নিহত হলেও তার আদর্শ ও চেতনাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। তার লিখিত তিনটি বই— ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘আমার দেখা নয়াচীন’ প্রকাশের মাধ্যমে তার জীবন সংগ্রামের নবদিক উন্মোচিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মধ্যে নেই, তবে রেখে গেছেন তিন অমূল্য গ্রন্থ, যা এখন প্রকাশিত হয়েছে। সেজন্য এফওএসডব্লিউএএল লিটারেচার ফেস্টিভালের সম্মানজনক পুরস্কারে তাকে ভূষিত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সার্কের বিশেষ সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত বঙ্গবন্ধু

আপডেট সময় : ১২:৩৩:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বিশেষ সাহিত্য সম্মাননা’য় ভূষিত করেছে ফেডারেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার (এফওএসডব্লিউএএল)। তিনটি বইয়ের জন্য বঙ্গবন্ধুকে এই পুরস্কার প্রদান করে এফওএসডব্লিউএএল। আজ (রোববার) দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়। সংগঠনটির আঞ্চলিক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর তিনটি বই হলো- ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং ‘আমার দেখা নয়াচীন ১৯৫২’।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও বিশিষ্ট গবেষক, লেখক মফিদুল হক।

ভারতের বিখ্যাত সাহিত্য একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত পদ্মশ্রী ভূষিত ঔপন্যাসিক অজিত কৌরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা লেখক, চিন্তাবিদ, সাহিত্যিক, শিল্পী, গবেষকরা অংশ নেন। ২০০১ সাল থেকে ফাউন্ডেশন অফ সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনের পুরস্কারের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে অজিত কৌর বলেন, ‘বাংলাদেশের বিজয় কোনো সাধারণ ঘটনা ছিল না। এ ছিল এক অনন্য বিজয়, যা বাঙালি জাতির পিতা, মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত বঙ্গবন্ধুর আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ অনন্য সাহসিকতার পরিচয় বহন করে। ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করেছেন সিংহের মতো। বস্তুত মানুষের জীবনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্বদেশের মর্যাদা রক্ষা করা। বঙ্গবন্ধুকে আজকের এই দিনে এই পুরস্কারে ভূষিত করতে পেরে আমরাও গর্বিত’।

এফওএসডব্লিউএএল বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিবীর মুক্তিকামী নিপীড়িত মানুষের স্বাধীনতা আন্দোলনের মহান নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু, ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের মতো নেতা পরাজিত শক্তির হাতে নিহত হলেও তার আদর্শ ও চেতনাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। তার লিখিত তিনটি বই— ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘আমার দেখা নয়াচীন’ প্রকাশের মাধ্যমে তার জীবন সংগ্রামের নবদিক উন্মোচিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মধ্যে নেই, তবে রেখে গেছেন তিন অমূল্য গ্রন্থ, যা এখন প্রকাশিত হয়েছে। সেজন্য এফওএসডব্লিউএএল লিটারেচার ফেস্টিভালের সম্মানজনক পুরস্কারে তাকে ভূষিত করা হয়েছে।