সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি :
পাবনার সাঁথিয়ায় সাবেক ও বর্তমান দুই ইউপি চেয়ারম্যানের এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে হামলা ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নাগডেমরা ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের মৃত খোরশেদ ফকিরের ছেলে নূর বক্স ফকির(৫৫) ও ইসহাক আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম(৪২)। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে এবং এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ এর সাথে বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সাবেক চেয়াম্যান ও আ’লীগ নেতা হারুন অর রশিদ ও বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান শান্তি মিছিল বের করেন। মিছিল থেকে আপত্তিকর শ্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওই দিন সন্ধ্যায় উভয় গ্রুপের মিমাংসা করতে গেলে হারুন গ্রুপের লোকজনের সাথে বাগবিতন্ডা হয়। এ সময় সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সাঁথিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই জের ধরে গত রোববার (১২ ফেব্রুয়ারী) সোনাতলা পশ্চিম পাড়া গ্রামে বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় মামলা করেন যার নং-১৩, তারিখ-১৩/০২/২৩ ইং। এ ঘটনায় থানা পুলিশ ওই দিন দুজনকে আটক করেন।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, দুজনকে আটক করে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, একটি হত্যা মামলার কারণে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য,গত বছরের ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাঁথিয়া পৌর সদরের ফেঁচুয়ান ছোটপুটিপাড়া গ্রামের আওলঘাটা ঘোনারচক ইছামতি নদীর দক্ষিণ তীরে আব্দুল মতিনকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
বা/খ: জই
প্রকাশক
মানিক কুমার সরকার
সম্পাদক
শামছুর রহমান শিশির
Copyright © 2024 বাংলা খবর. All rights reserved.