সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়ায় সাবেক ও বর্তমান দুই চেয়ারম্যানের এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে দফায় দফায় হামলা বাড়িঘর ভাংচুরসহ লুটপাটের ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে । ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের সোনাতলা পশ্চিম পাড়া মহল্লায়।
এলাকাবাসী ও থানায় লিখিত অভিযোগে জানা যায়, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের সাথে বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল । এরই জের ধরে রোববার এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সাবেক চেয়াম্যান ও নাগডেমরা ইউনিয়নের (খ) শাখার সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশিদ তার দলবল নিয়ে শান্তি মিছিল বের করে। এ সময় সাবেক চেয়াম্যান হারুন অর রশিদ এর মিছিল থেকে আপত্তিকর শ্লোগান হতে থাকে। এর আগে বর্তমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে আরও একটি মিছিল বের হয়। সে মিছিলেও আপত্তিকর শ্লোগান দেওয়া হয় । এ ঘটনায় সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওই দিন সন্ধ্যায় উভয় গ্রুপের মিমাংশা করতে গেলে হারুন গ্রুপের লোকজনের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ও হাফিজ চেয়ারম্যানের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সাঁথিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানায় সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের দেওয়া লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গতকাল রোববার (১২ফেব্রুয়ারি) সকালে পুনরায় তার বাড়িতে আবার হামলা চালিয়ে ঘরে থাকা মালামাল ভাংচুর করে নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করা হয়।
সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে আমার বাড়িসহ অন্যান্যদের ঘর-বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
নাগডেমরা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান জানান, সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। নিজের ঘর নিজেই ভেঙ্গে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। সঠিক তদন্ত করলেই আসল তথ্য বের হয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ওসি (তদন্ত) কমল কুমার দেবনাথ জানান, গতকাল শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। রোববার সকালেও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে ঘরে থাকা মালামাল ভাংচুরের দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে। একটি হত্যা মামলার কারণে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য,গত বছরের ৪ জুন রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সাঁথিয়া পৌর এলাকার ফেঁচুয়ান ছোটপুটিপাড়া গ্রামের আওলঘাটা ঘোনারচক ইছামতি নদীর দক্ষিণ তীরে আব্দুল মতিনকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
প্রকাশক
মানিক কুমার সরকার
সম্পাদক
শামছুর রহমান শিশির
Copyright © 2024 বাংলা খবর. All rights reserved.