ঢাকা ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরকার পতনের উস্কানি দিচ্ছে বিএনপি : কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে

সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : 
বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে হাওয়া ভবন ও দুর্নীতিকে ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। তারা নাকি ১০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিছিল করবে। শেখ হাসিনা সরকার সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করছে। সেই সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি সাধারণ জনগণকে উস্কানি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতু মন্ত্রী বলেন, খেলা হবে আগামী নির্বাচনে। আন্দোলনের বিরুদ্ধে খেলা ও মোকাবিলা দুইই হবে। , খেলা হবে দুর্নীতি, অপশাসন, অপশক্তি, ভুয়া ভোটার তালিকা, হত্যা ও মানুষ পুড়িয়ে মারার বিরুদ্ধে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল, খুনিদের বিচার কাজ বন্ধ করতে চেয়েছিল। খেলা হবে এই খুনিদের বিরুদ্ধে। সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খুনিদের ক্ষমা করা যায় না। আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। উত্তর জনপদে বাঁশের কেল্লা তৈরি করুন।

মন্ত্রী আরো বলেন, ১৩ বছরে ১৩ দিনেও একটি মিছিল বের করতে পারেনি। তারাই আবার আন্দোলন করবে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিজয় মিছিল করবে। তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে বিদেশে চলে গিয়েছেন। কার নেতৃত্বে বিএনপি আন্দোলন করবে? শেখ হাসিনা ডাক দিলে ঢাকায় লাখ লাখ লোক বের হবে। অলিগলি ভরে যাবে। বাইরের লোক লাগবে না। পালিয়ে যাওয়ার দল আওয়ামী লীগ না। পালানো দল বিএনপি। এবার কোথায় পালাবেন? এই দিন দিন না, আরো দিন আছে।

মন্ত্রী বলেন, হারানো ক্ষমতা ফিরে পেতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন চলছে। আসলে হারানো হাওয়া ভবন পেতে আন্দোলন চলছে। বিএনপি নেতৃত্বের রিমোর্ট কন্ট্রোল তারেক রহমান। আন্দোলনের নেতা টেমস নদীর তীরে বসে ডাক দেবে আন্দোলন হবে। বাংলাদেশের মানুষ তা বিশ্বাস করে না।

তিনি বলেন, বরিশালে নাকি ঢল। কীর্তনখোলার তীরে ঢল। মির্জা ফখরুল রংপুরে এক বস্তা টাকা শেষ করে গেছে। টাকার বস্তার ওপর বসেছিল। সেই দুবাইয়ের টাকা ওড়ে বরিশালে। মির্জা ফখরুল টাকার ওপর বসে আছে।

সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি।

পরে সম্মেলনে আগামী তিন বছরের জন্য ফজলুর রহমান খান ফারুক ও জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরকে পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এমপি আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মণি। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। বিশেষ বক্তা ছিলেন প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সানজিদা খানম, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, ইকবাল হোসেন অপু ও মোহাম্মদ সাঈদ খোকনসহ টাঙ্গাইলের সব আসনের সংসদ সদস্য। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকার পতনের উস্কানি দিচ্ছে বিএনপি : কাদের

আপডেট সময় : ০৯:২৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : 
বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে হাওয়া ভবন ও দুর্নীতিকে ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। তারা নাকি ১০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিছিল করবে। শেখ হাসিনা সরকার সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করছে। সেই সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি সাধারণ জনগণকে উস্কানি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতু মন্ত্রী বলেন, খেলা হবে আগামী নির্বাচনে। আন্দোলনের বিরুদ্ধে খেলা ও মোকাবিলা দুইই হবে। , খেলা হবে দুর্নীতি, অপশাসন, অপশক্তি, ভুয়া ভোটার তালিকা, হত্যা ও মানুষ পুড়িয়ে মারার বিরুদ্ধে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল, খুনিদের বিচার কাজ বন্ধ করতে চেয়েছিল। খেলা হবে এই খুনিদের বিরুদ্ধে। সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খুনিদের ক্ষমা করা যায় না। আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। উত্তর জনপদে বাঁশের কেল্লা তৈরি করুন।

মন্ত্রী আরো বলেন, ১৩ বছরে ১৩ দিনেও একটি মিছিল বের করতে পারেনি। তারাই আবার আন্দোলন করবে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিজয় মিছিল করবে। তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে বিদেশে চলে গিয়েছেন। কার নেতৃত্বে বিএনপি আন্দোলন করবে? শেখ হাসিনা ডাক দিলে ঢাকায় লাখ লাখ লোক বের হবে। অলিগলি ভরে যাবে। বাইরের লোক লাগবে না। পালিয়ে যাওয়ার দল আওয়ামী লীগ না। পালানো দল বিএনপি। এবার কোথায় পালাবেন? এই দিন দিন না, আরো দিন আছে।

মন্ত্রী বলেন, হারানো ক্ষমতা ফিরে পেতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন চলছে। আসলে হারানো হাওয়া ভবন পেতে আন্দোলন চলছে। বিএনপি নেতৃত্বের রিমোর্ট কন্ট্রোল তারেক রহমান। আন্দোলনের নেতা টেমস নদীর তীরে বসে ডাক দেবে আন্দোলন হবে। বাংলাদেশের মানুষ তা বিশ্বাস করে না।

তিনি বলেন, বরিশালে নাকি ঢল। কীর্তনখোলার তীরে ঢল। মির্জা ফখরুল রংপুরে এক বস্তা টাকা শেষ করে গেছে। টাকার বস্তার ওপর বসেছিল। সেই দুবাইয়ের টাকা ওড়ে বরিশালে। মির্জা ফখরুল টাকার ওপর বসে আছে।

সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি।

পরে সম্মেলনে আগামী তিন বছরের জন্য ফজলুর রহমান খান ফারুক ও জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরকে পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এমপি আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মণি। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। বিশেষ বক্তা ছিলেন প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সানজিদা খানম, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, ইকবাল হোসেন অপু ও মোহাম্মদ সাঈদ খোকনসহ টাঙ্গাইলের সব আসনের সংসদ সদস্য। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম।