সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে জামায়াতের বিক্ষোভ
- আপডেট সময় : ০৩:৩৪:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩
- / ৪৫৯ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ (৪ আগস্ট) সমাবেশ করতে না পেরে রাজধানীর মিরপুর ও মতিঝিলে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মিরপুরের মিছিলের নেতৃত্ব দেন দলটির ঢাকা মহনগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করীম এবং মতিঝিলে মিছিলের নেতৃত্ব দেন মহানগর দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল এবং সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
বৃষ্টিতে ভিজে দুই মহানগরের মিছিলে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। এসময় নেতাকর্মীরা তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। মিরপুর- ১ এ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ড. রেজাউল করীম বলেন, এই সরকারের প্রশাসন অন্যায়ভাবে তাদের সমাবেশ করতে দেয়নি। হামলা মামলা করে দমিয়ে রাখতে পারবে না বলেও দাবি করেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জীবন দেয়ার কথা জানিয়ে রেজাউল করীম বলেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতের ইসলামী রাজপথে থাকবে। আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
রাজধানীর মতিঝিল থেকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহনগর দক্ষিণ। এতে নেতৃত্ব দেন দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল ও সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ১ আগস্ট প্রশাসনের সহযোগিতায় সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। আমাদেরকে অনুমতি দেয়া হয়নি। পরে আমরা ছুটির দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম সেখানে প্রশাসন অসহযোগীতা করেছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে রাজপথে নেমেছি। কারো সহযোগিতার জামায়াতে ইসলামী বসে থাকে না। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে।
ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপির ১৮ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা
তিনি বলেন, কেয়ারটেকার দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবো। অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিন। জনগণকে মুক্তি দিন। আমরা দাবি আদায় করেই ছাড়বো। আটক নেতাকর্মী ও আলেমদের মুক্তি দিন।
এরআগে সকালে দলের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ স্থগিত করে আগামী ৬ আগস্ট সকল বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি প্রশাসনের অগণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার বিরোধী কর্মকান্ড বন্ধ করার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কোন দল বিশেষ নয়, দেশের পক্ষে, জনগনের পক্ষে এবং নিরপেক্ষ ভাবে তাদের প্রজাতন্ত্রের দায়িত্ব পালনের কথা মনে করিয়ে দেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে ডা. তাহের অভিযোগ করেন, সমাবেশের সুযোগ না দিয়ে সারাদেশে জামায়াত নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে রাজধানীসহ সারাদেশে জামায়াতের আট শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াত নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর ও তছনছ করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মহিলাদেরকে নাজেহাল করেছে। বিভিন্ন এলাকায় পুরুষ নেতাকর্মীদের না পেয়ে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এসব কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ বেআইনী ও মানবাধিকার পরিপন্থি।
মিরপুরের মিছিল শেষে জামায়াতের পাঁচকর্মীকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।