ঢাকা ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সবাই চায় দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক : ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৭০ বার পড়া হয়েছে

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সব মানুষই চায় দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। মানুষের অধিকারগুলো সুরক্ষিত হোক। আজ আমরা গণতান্ত্রিক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে যে আন্দোলন শুরু করেছি। সে আন্দোলনে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ উপস্থিত হচ্ছেন।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায় নেতাদের শারদীয় দুর্গাপূজা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র যদি না থাকে তাহলে কারো অধিকার সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মূল কথা হলো- হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয়তাবাদ। এই জাতীয়তাবাদই হচ্ছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।

তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে একটি কথা মনে রাখতে হবে, আমরা এখন বিপদে রয়েছি, সঙ্কট রয়েছি। সেই সঙ্কটটি হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের সঙ্কট, সেই সঙ্কটটি হচ্ছে স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষার সঙ্কট, সে সঙ্কট হচ্ছে আমাদের গণতন্ত্রের সঙ্কট। এই সঙ্কটকে আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে।

গোটা জাতি আজ সঙ্কটে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের কথা আমরা সবসময় বলি, স্বাধীনতার চেতনার কথা বলা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার চেতনাটা কী? স্বাধীনতার চেতনা ছিল আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা। স্বাধীনতার চেতনা হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের অধিকারকে সংরক্ষিত করা। স্বাধীনতার চেতনা হচ্ছে সাম্য মানবিক মূল্যবোধ এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সেটাই আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের, আগে দলের নেত্রী খালেদা জিয়া সবসময় আমাদের সঙ্গে বসতেন, আজ তাকে মিথ্যে মামলা দিয়ে সাজা দিয়ে প্রথমে অন্তরীন করে, এখন তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যে মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। কিন্তু সৌভাগ্য আমাদের তিনি আজ আট হাজার মাইল দূরে থেকেও যেভাবে আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন দলকে পরিচালনা করছেন, বাংলাদেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলছেন।

তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি, অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ যেভাবে করেছিল সেইভাবে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে জেগে উঠবে। এই ভয়াবহ অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে তারা সত্যিকার অর্থে একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি সরকার, সুকোমল বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সবাই চায় দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক : ফখরুল

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সব মানুষই চায় দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। মানুষের অধিকারগুলো সুরক্ষিত হোক। আজ আমরা গণতান্ত্রিক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে যে আন্দোলন শুরু করেছি। সে আন্দোলনে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ উপস্থিত হচ্ছেন।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায় নেতাদের শারদীয় দুর্গাপূজা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র যদি না থাকে তাহলে কারো অধিকার সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মূল কথা হলো- হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয়তাবাদ। এই জাতীয়তাবাদই হচ্ছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।

তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে একটি কথা মনে রাখতে হবে, আমরা এখন বিপদে রয়েছি, সঙ্কট রয়েছি। সেই সঙ্কটটি হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের সঙ্কট, সেই সঙ্কটটি হচ্ছে স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষার সঙ্কট, সে সঙ্কট হচ্ছে আমাদের গণতন্ত্রের সঙ্কট। এই সঙ্কটকে আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে।

গোটা জাতি আজ সঙ্কটে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের কথা আমরা সবসময় বলি, স্বাধীনতার চেতনার কথা বলা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার চেতনাটা কী? স্বাধীনতার চেতনা ছিল আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা। স্বাধীনতার চেতনা হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের অধিকারকে সংরক্ষিত করা। স্বাধীনতার চেতনা হচ্ছে সাম্য মানবিক মূল্যবোধ এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সেটাই আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের, আগে দলের নেত্রী খালেদা জিয়া সবসময় আমাদের সঙ্গে বসতেন, আজ তাকে মিথ্যে মামলা দিয়ে সাজা দিয়ে প্রথমে অন্তরীন করে, এখন তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যে মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। কিন্তু সৌভাগ্য আমাদের তিনি আজ আট হাজার মাইল দূরে থেকেও যেভাবে আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন দলকে পরিচালনা করছেন, বাংলাদেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলছেন।

তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি, অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ যেভাবে করেছিল সেইভাবে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে জেগে উঠবে। এই ভয়াবহ অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে তারা সত্যিকার অর্থে একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি সরকার, সুকোমল বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।