ঢাকা ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে আশা ছাড়েনি ইসি : ইসি আলমগীর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৩:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে সংশয় থাকলেও আশা ছাড়েনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ইভিএম কেনার বিষয় আছে, সফটওয়্যার ইন্সটল করার ব্যাপার আছে। তারপর সেটা চেকিং, ট্রেনিং, ভোটার এডুকেশন; সবকিছু মিলিয়েই আমরা বলেছি জানুয়ারির মধ্যে না হলে দেড়শ আসনে সেটা ব্যবহার করা সম্ভব নয়। এখনো আমরা সেই অবস্থানেই আছি। কারণ এটা তো একটা হিউজ কাজ। নানা রকম ব্যাকআপ সার্ভিস তৈরি করার জন্য অনেক সময় লাগবে।

তিনি বলেন, প্রজেক্ট এখনো অনুমোদন পায়নি। তবে লেটেস্ট কী অবস্থায় আছে তা এখনো পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানানো হয়নি। এটা নিয়ে সভায় আলোচনা হতে পারে। যদিও এজেন্ডাভুক্ত নয়, তবুও আলোচনা হতে পারে। আলোচনা হলে একটা সিদ্ধান্ত আসবে।

আলমগীর বলেন, প্রজেক্টের কর্মকর্তা যারা আছেন, তাদের বক্তব্য বৈঠকে শোনা হবে। এরপর নির্বাচন অধি-শাখার কর্মকর্তা এবং টেকনিক্যাল কর্মকর্তার বক্তব্য শুনতে হবে। তারপর বলা যাবে, কতদিনের মধ্যে, কতটা সময় পেলে, কত আসনে ভোট করতে পারব ইভিএমে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন এখনো ইয়েস বা নো কোনোটাই বলেনি। তারা চূড়ান্তভাবে কিছু বললে আমরাও বলতে পারব।

সাবেক এই ইসি সচিব আরও বলেন, ১৫ তারিখ বলা মানেই তো ১৫ তারিখ নয়। দু’এক দিন এদিক-সেদিকও হতে পারে। পরিকল্পনা কমিশন যদিও এ মাসেও দেয় এতটুকু পারবো, তাহলে আমরা আপনাদের চূড়ান্তভাবে বলতে পারবো। এ মাসের মধ্যে পাশ না হলে, দেড়শ আসন তখন করা কঠিন হবে আমাদের তখন জানিয়েছিলেন। এজন্যই আগামী সভায় প্রাথমিক আলোচনা হয়তো নির্ধারণ হতে পারে শেষ টাইম কবে হবে।

ছয় সংসদীয় উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার অর্থাভাবে বন্ধ হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কী করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থটা তো বাৎসরিক ভিত্তিতে দেওয়া হয়। বর্তমান অর্থ বছরে যে টাকা দেয়া আছে, যেসব নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছি সেগুলোর ব্যয় কিন্তু এক্সিজটিং টাকার মধ্যেই। এটা জন্য কিন্তু আমরা সরকারের কাছে আমরা এক্সট্রা বাজেট চাইনি। এই আর্থিক মন্দার মধ্যে আমাদের চাওয়াও যুক্তিযুক্ত না। এখন যে টাকা আছে এই টাকা দিয়ে যে পাঁচ-ছয়টি উপ-নির্বাচন হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি, সেখানে এটা দিতে সেই টাকাটা তো আমাদের কাছে নাই। সিসি ক্যামেরার জন্য আমাদের কোনো বাজেট ছিল না। এক্সিজটিং টাকা থেকে করেছি। এখন তো টাকা নাই।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন হবে তখন তো পরবর্তী অর্থবছরের বাজেট থেকে ব্যয় হবে। তখন কী লাগবে না লাগবে সেটা ধরে আমরা বাজেট করবো। তখন বাজেট দিলে, সেটা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। ওইটার সঙ্গে এইটার কোনো সম্পর্ক নেই।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, সিসি ক্যামেরা তো কেবল বললেই হবে না। অর্থের ব্যাপার যেমন আছে ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারও আছে। চার লাখ সিসি ক্যামেরা মনিটর করবেন কীভাবে, সেইটার একটা ওয়েআউট যদি বের করা যায় তাহলে অবশ্যই আমরা ব্যবহার করবো।

১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম প্রকল্প পাশ না হলে দেড়শ আসনে এই যন্ত্র ব্যবহার করা সম্ভব নয় বলেছিলেন, এখন আপনাদের কী অবস্থান-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো বলেছিলাম সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করবো। ইভিএম কেনার বিষয় আছে, সফটওয়্যার ইনস্টল করার ব্যাপার আছে। তারপর সেটা চেকিং, ট্রেনিং, ভোটার এডুকেশন; সবকিছু মিলিয়েই আমরা বলেছি জানুয়ারির মধ্যে না হলে দেড়শ আসনে করা সম্ভব না। এখনো আমরা সেই অবস্থানেই আছি। কারণ এটা তো একটা হিউজ কাজ। নানা রকম ব্যাকআপ সার্ভিস তৈরি করার জন্য অনেক সময় লাগবে।

তিনি বলেন, দুই লাখ না হয়ে আরও কম হতে পারে। হয়তো এক লক্ষ হতে পারে। কমও তো হতে পারে। তবে পরিকল্পনা কমিশন থেকে আমরা এখনো ইয়েস বা নো কোনোটাই তো বলেন নাই। যেহেতু ইয়েস, নো কোনোটাই বলেন নাই, সেহেতু চূড়ান্তভাবে তারা কিছু বললে আমরাও বলতে পারবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে আশা ছাড়েনি ইসি : ইসি আলমগীর

আপডেট সময় : ০৯:৪৩:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে সংশয় থাকলেও আশা ছাড়েনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ইভিএম কেনার বিষয় আছে, সফটওয়্যার ইন্সটল করার ব্যাপার আছে। তারপর সেটা চেকিং, ট্রেনিং, ভোটার এডুকেশন; সবকিছু মিলিয়েই আমরা বলেছি জানুয়ারির মধ্যে না হলে দেড়শ আসনে সেটা ব্যবহার করা সম্ভব নয়। এখনো আমরা সেই অবস্থানেই আছি। কারণ এটা তো একটা হিউজ কাজ। নানা রকম ব্যাকআপ সার্ভিস তৈরি করার জন্য অনেক সময় লাগবে।

তিনি বলেন, প্রজেক্ট এখনো অনুমোদন পায়নি। তবে লেটেস্ট কী অবস্থায় আছে তা এখনো পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানানো হয়নি। এটা নিয়ে সভায় আলোচনা হতে পারে। যদিও এজেন্ডাভুক্ত নয়, তবুও আলোচনা হতে পারে। আলোচনা হলে একটা সিদ্ধান্ত আসবে।

আলমগীর বলেন, প্রজেক্টের কর্মকর্তা যারা আছেন, তাদের বক্তব্য বৈঠকে শোনা হবে। এরপর নির্বাচন অধি-শাখার কর্মকর্তা এবং টেকনিক্যাল কর্মকর্তার বক্তব্য শুনতে হবে। তারপর বলা যাবে, কতদিনের মধ্যে, কতটা সময় পেলে, কত আসনে ভোট করতে পারব ইভিএমে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন এখনো ইয়েস বা নো কোনোটাই বলেনি। তারা চূড়ান্তভাবে কিছু বললে আমরাও বলতে পারব।

সাবেক এই ইসি সচিব আরও বলেন, ১৫ তারিখ বলা মানেই তো ১৫ তারিখ নয়। দু’এক দিন এদিক-সেদিকও হতে পারে। পরিকল্পনা কমিশন যদিও এ মাসেও দেয় এতটুকু পারবো, তাহলে আমরা আপনাদের চূড়ান্তভাবে বলতে পারবো। এ মাসের মধ্যে পাশ না হলে, দেড়শ আসন তখন করা কঠিন হবে আমাদের তখন জানিয়েছিলেন। এজন্যই আগামী সভায় প্রাথমিক আলোচনা হয়তো নির্ধারণ হতে পারে শেষ টাইম কবে হবে।

ছয় সংসদীয় উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার অর্থাভাবে বন্ধ হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কী করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থটা তো বাৎসরিক ভিত্তিতে দেওয়া হয়। বর্তমান অর্থ বছরে যে টাকা দেয়া আছে, যেসব নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছি সেগুলোর ব্যয় কিন্তু এক্সিজটিং টাকার মধ্যেই। এটা জন্য কিন্তু আমরা সরকারের কাছে আমরা এক্সট্রা বাজেট চাইনি। এই আর্থিক মন্দার মধ্যে আমাদের চাওয়াও যুক্তিযুক্ত না। এখন যে টাকা আছে এই টাকা দিয়ে যে পাঁচ-ছয়টি উপ-নির্বাচন হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি, সেখানে এটা দিতে সেই টাকাটা তো আমাদের কাছে নাই। সিসি ক্যামেরার জন্য আমাদের কোনো বাজেট ছিল না। এক্সিজটিং টাকা থেকে করেছি। এখন তো টাকা নাই।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন হবে তখন তো পরবর্তী অর্থবছরের বাজেট থেকে ব্যয় হবে। তখন কী লাগবে না লাগবে সেটা ধরে আমরা বাজেট করবো। তখন বাজেট দিলে, সেটা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। ওইটার সঙ্গে এইটার কোনো সম্পর্ক নেই।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, সিসি ক্যামেরা তো কেবল বললেই হবে না। অর্থের ব্যাপার যেমন আছে ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারও আছে। চার লাখ সিসি ক্যামেরা মনিটর করবেন কীভাবে, সেইটার একটা ওয়েআউট যদি বের করা যায় তাহলে অবশ্যই আমরা ব্যবহার করবো।

১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম প্রকল্প পাশ না হলে দেড়শ আসনে এই যন্ত্র ব্যবহার করা সম্ভব নয় বলেছিলেন, এখন আপনাদের কী অবস্থান-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো বলেছিলাম সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করবো। ইভিএম কেনার বিষয় আছে, সফটওয়্যার ইনস্টল করার ব্যাপার আছে। তারপর সেটা চেকিং, ট্রেনিং, ভোটার এডুকেশন; সবকিছু মিলিয়েই আমরা বলেছি জানুয়ারির মধ্যে না হলে দেড়শ আসনে করা সম্ভব না। এখনো আমরা সেই অবস্থানেই আছি। কারণ এটা তো একটা হিউজ কাজ। নানা রকম ব্যাকআপ সার্ভিস তৈরি করার জন্য অনেক সময় লাগবে।

তিনি বলেন, দুই লাখ না হয়ে আরও কম হতে পারে। হয়তো এক লক্ষ হতে পারে। কমও তো হতে পারে। তবে পরিকল্পনা কমিশন থেকে আমরা এখনো ইয়েস বা নো কোনোটাই তো বলেন নাই। যেহেতু ইয়েস, নো কোনোটাই বলেন নাই, সেহেতু চূড়ান্তভাবে তারা কিছু বললে আমরাও বলতে পারবো।