শ্রীমঙ্গল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন
![](https://banglakhaborbd.com/wp-content/uploads/2023/08/cropped-Bangla_khobor_logo-02-removebg-preview.png)
- আপডেট সময় : ০৬:২২:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
- / ৪৪৪ বার পড়া হয়েছে
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করণের দুই দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী।
১ জুলাই সোমবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছে তারা। আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে শ্রীমঙ্গলস্থ মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ে সামনে গিয়ে দেখা যায় বিশেষ ব্যবস্থায় গ্রাহকদের জরুরী বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখেই কর্মবিরতির পালন করছেন তারা।
কর্ম বিরতিতে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) মেহেদী হাসান তালুকদার, কুলাউড়া সাব জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) তারেক মাহমুদ, এজিএম (প্রশাসন) ক্লিনটন তালুকদার, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম, লাইনম্যান গ্রেড -১ মহব্বত আলী, মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার আনিসুজ্জামান।
এসময় বক্তারা বলেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দৈত্ব নীতির কারনে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
তারা বলেন দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবী, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে।
বিআরইবির অদক্ষতা ও নিম্নমানের সামগ্রীর কারনে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের দাবিতে চলতি বছরের ৫মে থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। সমস্যা সমাধানে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসবে বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আশ্বাসে কাজে ফিরে যান তারা।
বক্তারা আরো বলেন বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩৭,৫৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিআরইবিতে জমা দেয়া হয়। যেখানে বোর্ডের প্রতি অনাস্থা জানানো হয়।
এছাড়া বক্তারা এখন তাদের সকল দাবি-দাওয়া দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান তারা।
বাখ//আর