ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শেখ হাসিনা আইনের শাসন বাস্তবায়ন করেছেন : আইনমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাটোর প্রতিনিধি

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনের শাসন বাস্তবায়ন করেছেন। করোনাকালীন সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে প্রায় চার লাখ মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে। দেশ ডিজিটাল হয়েছে বলেই সংকট মেটানো সম্ভব হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির নব নির্মিত ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিচারক ও আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালে আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে দেখিয়ে দিয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। এমনকি ২১০০ সালের জন্য একটি পরিকল্পনাও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন বিদেশি ঋণ ছাড়াই দেশের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু হতে পারে। এটাই হচ্ছে তার গভীর ভালোবাসা। বাংলাদেশকে অপমান করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা তা হতে দেননি, বরং বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি গণপরিষদ গঠন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু আদালত, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থীদের শ্রদ্ধা করতেন। কারণ তিনি জানতেন একটি দেশকে চালাতে হলে একটি সংবিধান প্রয়োজন। দেশ যারা পরিচালনা করবে কীভাবে তাদের হাতে আইন থাকবে তার নির্ণয়ক হচ্ছে সংবিধান। তিনি তা গণপরিষদে পাস করান।

আনিসুল হক বলেন, ২০০৫ সালে দেশের ৬১টি আদালতে বোমাবাজি করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। অথচ তার কোনো মামলা হয়নি।

আইনজীবীদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, বার এবং বেঞ্চ একই পরিবারের দুটি সন্তান। আপনারদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হলে সেবাগ্রহীতারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এজন্য বার এবং বেঞ্চের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেই হবে। দু-একটি জায়গায় অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু অধিকাংশ বার নেতারা আমাকে বলেছেন বিচারক এবং আইনজীবীদের মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এটি খুবই প্রয়োজন। তা নাহলে আইনজীবী, বিচারক এবং বিচারপ্রার্থী সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছেন। কোভিডে ২৯ হাজার মানুষ মারা গেছেন কিন্তু না খেয়ে কেউ মরেনি।

সরকার এখন কিছুটা কৃচ্ছ্রসাধন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। আমরা কৃচ্ছ্রসাধন না করলে আমাদের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

নাটোর আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন টগরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাস শিমুল, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।

পরে আইনমন্ত্রী বার সমিতি, জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কম্পিউটার তুলে দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেখ হাসিনা আইনের শাসন বাস্তবায়ন করেছেন : আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:৫১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নাটোর প্রতিনিধি

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনের শাসন বাস্তবায়ন করেছেন। করোনাকালীন সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে প্রায় চার লাখ মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে। দেশ ডিজিটাল হয়েছে বলেই সংকট মেটানো সম্ভব হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির নব নির্মিত ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিচারক ও আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালে আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে দেখিয়ে দিয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। এমনকি ২১০০ সালের জন্য একটি পরিকল্পনাও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন বিদেশি ঋণ ছাড়াই দেশের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু হতে পারে। এটাই হচ্ছে তার গভীর ভালোবাসা। বাংলাদেশকে অপমান করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা তা হতে দেননি, বরং বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি গণপরিষদ গঠন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু আদালত, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থীদের শ্রদ্ধা করতেন। কারণ তিনি জানতেন একটি দেশকে চালাতে হলে একটি সংবিধান প্রয়োজন। দেশ যারা পরিচালনা করবে কীভাবে তাদের হাতে আইন থাকবে তার নির্ণয়ক হচ্ছে সংবিধান। তিনি তা গণপরিষদে পাস করান।

আনিসুল হক বলেন, ২০০৫ সালে দেশের ৬১টি আদালতে বোমাবাজি করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। অথচ তার কোনো মামলা হয়নি।

আইনজীবীদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, বার এবং বেঞ্চ একই পরিবারের দুটি সন্তান। আপনারদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হলে সেবাগ্রহীতারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এজন্য বার এবং বেঞ্চের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেই হবে। দু-একটি জায়গায় অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু অধিকাংশ বার নেতারা আমাকে বলেছেন বিচারক এবং আইনজীবীদের মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এটি খুবই প্রয়োজন। তা নাহলে আইনজীবী, বিচারক এবং বিচারপ্রার্থী সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছেন। কোভিডে ২৯ হাজার মানুষ মারা গেছেন কিন্তু না খেয়ে কেউ মরেনি।

সরকার এখন কিছুটা কৃচ্ছ্রসাধন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। আমরা কৃচ্ছ্রসাধন না করলে আমাদের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

নাটোর আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন টগরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাস শিমুল, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।

পরে আইনমন্ত্রী বার সমিতি, জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কম্পিউটার তুলে দেন।