ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শাহজাদপুরে হযরত মখদুম শাহদৌলা শহিদ ইয়ামেনি (রহ.) এর দুদিনব্যাপী ওরশ শরীফ শুরু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪১:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • / ৫০৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আজ বৃহস্পতিবার  থেকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর এলাকার দরগাহপাড়াস্থ করতোয়া নদীর তীরে জগৎ বরেণ্য মহন অলী ইয়ামেন শাহজাদা হযরত মখদুম শাহদৌলা শহিদ ইয়মেনি (রহঃ) এর দুই দিনব্যাপী বাৎসরিক ওরশ শুরু হয়েছে।
এ ওরশ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অসংখ্য আশেকান, জাকেরান, ভক্তবৃন্দ ও ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীগণ ইতিমধ্যেই হযরত মখদুম শাহদৌলা শহিদ ইয়ামেনি (রহ:) এর মাজারে এসে পৌছেছেন। ওরশ শরীফে কোরআন ও হাদিসের আলোকে বয়ান করবেন দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ।
মখদুমিয়া জামে মসজিদ ও মাজার কমিটির সভাপতি ইউএনও সাদিয়া আফরিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ২দিনব্যাপী ওরশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে স্থানীয় এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা’র। শুক্রবার বাদ জুম্মা আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে উক্ত ওরশের পরিসমাপ্তি ঘটবে।  দু’দিন ব্যাপী ওরশ সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।  করতোয়া নদীর তীরে বসেছে গ্রামীণ মেলা।
কিংবদন্তী থেকে জানা যায়,  ইয়ামেন শাসনকর্তা মোয়াজ-ইবনে-জাবালের বংশধর ও শাহজাদা হযরত মখদুম শাহদৌলা (রহঃ) ১১৯২ থেকে ১১৯৬ সালের মধ্যে কোনো এক সময় পানিপথে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে অলী, আউলিয়া, সুফী সাধক, দরবেশসহ শাহজাদপুরে আগমন করেন।
শাহজাদপুরে তিনি একটি মসজিদ নির্মাণ করেন যা মখদুমিয়া জামে মসজিদ বা স্থানীয়ভাবে গায়েবী মসজিদ নামে পরিচিত । সে সময়ের অমুসলিম অধিপতি রাজা বিক্রম কেশরীর সঙ্গে তাঁর বেশ কয়েকবার ধর্মযুদ্ধ সংগঠিত হয় এবং প্রতিবারই রাজা বিক্রম কেশরীর সৈন্যদল পরাস্ত হয়ে ফিরে যায়। শেষ ধর্মযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় রাজা বিক্রম কেশরীর একজন বিশস্ত সৈন্য গুপ্তচর হিসেবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং একদিন আছরের নামাজে সিজদারত অবস্থায় হযরত মখদুম শাহদৌলা (রহঃ) এর মস্তক মোবারক দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে  তৎকালীন সুরে বিহারের রাজধানী মঙ্গলকোট মতান্তরে মহলকোটে রাজা বিক্রম কেশরীর কাছে নিয়ে যান । রাজা এসময় দেখতে পান হযরত মখদুম শাহদৌলা (রহ) এর দেহবিহীন মস্তক মোবারক থেকে অলৌকিকভাবে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা উচ্চারিত হচ্ছে। এটা থেকে রাজা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে মুসলমানদের ডেকে তাঁর মস্তক মোবারক সমাহিত করার নির্দেশ দেন যা আজও ছের মোকাম নামে পরিচিত।
অন্যদিকে তাঁর মস্তকবিহীন দেহ মোবারক শাহজাদপুরের দরগাহপাড়ার মখদুমিয়া জামে মসজিদের ১০রশি দক্ষিণে কফিনের মধ্যে সমাহিত করা হয়। এরপর থেকে প্রতি বছরের চৈত্র মাসের এ সময়ে হযরত মখদুম শাহদৌলা শহিদ ইয়ামেনি (রহঃ) এর এর মাজার শরীফ ও মখদুমিয়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দু’দিনব্যাপী ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, হযরত মখদুম শাহদৌলা শহিদ ইয়ামেনি (রহ.) এর নাম অনুসারে পরবর্তীে এ অঞ্চলের নামকরন করা হয় শাহজাদপুর।
বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহজাদপুরে হযরত মখদুম শাহদৌলা শহিদ ইয়ামেনি (রহ.) এর দুদিনব্যাপী ওরশ শরীফ শুরু

আপডেট সময় : ০৩:৪১:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আজ বৃহস্পতিবার  থেকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর এলাকার দরগাহপাড়াস্থ করতোয়া নদীর তীরে জগৎ বরেণ্য মহন অলী ইয়ামেন শাহজাদা হযরত মখদুম শাহদৌলা শহিদ ইয়মেনি (রহঃ) এর দুই দিনব্যাপী বাৎসরিক ওরশ শুরু হয়েছে।
এ ওরশ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অসংখ্য আশেকান, জাকেরান, ভক্তবৃন্দ ও ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীগণ ইতিমধ্যেই হযরত মখদুম শাহদৌলা শহিদ ইয়ামেনি (রহ:) এর মাজারে এসে পৌছেছেন। ওরশ শরীফে কোরআন ও হাদিসের আলোকে বয়ান করবেন দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ।
মখদুমিয়া জামে মসজিদ ও মাজার কমিটির সভাপতি ইউএনও সাদিয়া আফরিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ২দিনব্যাপী ওরশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে স্থানীয় এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা’র। শুক্রবার বাদ জুম্মা আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে উক্ত ওরশের পরিসমাপ্তি ঘটবে।  দু’দিন ব্যাপী ওরশ সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।  করতোয়া নদীর তীরে বসেছে গ্রামীণ মেলা।
কিংবদন্তী থেকে জানা যায়,  ইয়ামেন শাসনকর্তা মোয়াজ-ইবনে-জাবালের বংশধর ও শাহজাদা হযরত মখদুম শাহদৌলা (রহঃ) ১১৯২ থেকে ১১৯৬ সালের মধ্যে কোনো এক সময় পানিপথে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে অলী, আউলিয়া, সুফী সাধক, দরবেশসহ শাহজাদপুরে আগমন করেন।
শাহজাদপুরে তিনি একটি মসজিদ নির্মাণ করেন যা মখদুমিয়া জামে মসজিদ বা স্থানীয়ভাবে গায়েবী মসজিদ নামে পরিচিত । সে সময়ের অমুসলিম অধিপতি রাজা বিক্রম কেশরীর সঙ্গে তাঁর বেশ কয়েকবার ধর্মযুদ্ধ সংগঠিত হয় এবং প্রতিবারই রাজা বিক্রম কেশরীর সৈন্যদল পরাস্ত হয়ে ফিরে যায়। শেষ ধর্মযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় রাজা বিক্রম কেশরীর একজন বিশস্ত সৈন্য গুপ্তচর হিসেবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং একদিন আছরের নামাজে সিজদারত অবস্থায় হযরত মখদুম শাহদৌলা (রহঃ) এর মস্তক মোবারক দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে  তৎকালীন সুরে বিহারের রাজধানী মঙ্গলকোট মতান্তরে মহলকোটে রাজা বিক্রম কেশরীর কাছে নিয়ে যান । রাজা এসময় দেখতে পান হযরত মখদুম শাহদৌলা (রহ) এর দেহবিহীন মস্তক মোবারক থেকে অলৌকিকভাবে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা উচ্চারিত হচ্ছে। এটা থেকে রাজা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে মুসলমানদের ডেকে তাঁর মস্তক মোবারক সমাহিত করার নির্দেশ দেন যা আজও ছের মোকাম নামে পরিচিত।
অন্যদিকে তাঁর মস্তকবিহীন দেহ মোবারক শাহজাদপুরের দরগাহপাড়ার মখদুমিয়া জামে মসজিদের ১০রশি দক্ষিণে কফিনের মধ্যে সমাহিত করা হয়। এরপর থেকে প্রতি বছরের চৈত্র মাসের এ সময়ে হযরত মখদুম শাহদৌলা শহিদ ইয়ামেনি (রহঃ) এর এর মাজার শরীফ ও মখদুমিয়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দু’দিনব্যাপী ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, হযরত মখদুম শাহদৌলা শহিদ ইয়ামেনি (রহ.) এর নাম অনুসারে পরবর্তীে এ অঞ্চলের নামকরন করা হয় শাহজাদপুর।
বা/খ: জই