ঢাকা ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শাহজাদপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত লক্ষাধিক পশু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০৩:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩
  • / ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// এম. এ হান্নান, শাহজাদপুর //
ঈদুল আযহার বাকি প্রায় মাসখানেক। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার পৌর এলাকাসহ ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে শতশত গো-খামারে দেশি ও বিদেশি জাতের ষাঁড় গরু হৃষ্টপুষ্টকরণের কাজে ব্যতিব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে গো-খামারিরা। দেশীয় ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন তারা। স্থানীয় পশুর হাটগুলোর পাশাপাশি এগুলো রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার কোরবানীর পশুর হাটে বিক্রি হবে।
বিভিন্ন বাড়ি ও গো-খামারে এবার ৭৬ হাজার ৮শ’ ৩৪ টি ষাঁড় হৃষ্টপুষ্ট করছে খামারিরা। তারা স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগে দেশি ও বিদেশি জাতের ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল, দেশি শংকর, অষ্ট্রেলিয়ান, জার্সিসহ বিভিন্ন জাতের ষাঁড় বাছুর ক্রয় করে হৃষ্টপুষ্ট করছেন। মাত্র ৬-৮ মাসে এঁড়ে বাছুর লালন পালন করে কোরবানীর ঈদের গরুর হাটে বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়েও বিনিয়োগের চেয়ে বেশী অর্থ আয় করতে পারবে বলে খামারিরা আশা প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় গো-খামারি মো. শহিদুল ইসলাম ঠান্ডু জানান, বিগত বছরের ন্যায় এবারও ফসলের মাঠে কৃষিকাজ বা বাড়ির অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ষাঁড় গরু হৃষ্টপুষ্ট করে অতি অল্প সময়ে স্বাবলম্বী হয়েছি। এ বছর তার ফার্মে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ছোলা, সবুজ ঘাস, খৈল, ভূষি, চিটা গুড়, ছোলা, গম, মসুর, কালাই, খেশারী, জব, ভুট্টা খাওয়ায়েও ১২ টি ষাঁড় গরু লালন পালন করছেন। তার ফার্মের সব চেয়ে বড় ৩০ মন ওজনের সাদা-কালো রঙের পারহা-পারহি ‘অস্ট্রেলিয়ান জাতের ফ্রিজিয়ান’ ষাঁড় গরু এবার এলাকা কাঁপিয়ে তুলছে। গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা।  গো-খাদ্যের মূল্য বিদ্ধিতে দাম নিয়ে দূর চিন্তায় খামারীরা।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. বিল্লাল হোসেন জানান, আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে শাহজাদপুরে লক্ষাধিক পশু প্রস্তুত করছে খামারিরা। এর মধ্যে ষাঁড় গরু রয়েছে ৭৬ হাজার ৮শ’ ৩৪ টি, ছাগল রয়েছে ২১ হাজার ৩শ’ ৬৫টি ও ভেড়া রয়েছে ১৩ হাজার ৬শ’ ৪৬ টি। আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ষাঁড় হৃষ্টপুষ্ট করার কাজে উপজেলা পাণিসম্পদ অফিস থেকে খামারিদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা ও ভ্যাকসিন প্রদান করার মাধ্যমে তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। বেশী অর্থ আয় করতে পারবে বলে খামারিরা আশা প্রকাশ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহজাদপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত লক্ষাধিক পশু

আপডেট সময় : ০৩:০৩:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩
// এম. এ হান্নান, শাহজাদপুর //
ঈদুল আযহার বাকি প্রায় মাসখানেক। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার পৌর এলাকাসহ ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে শতশত গো-খামারে দেশি ও বিদেশি জাতের ষাঁড় গরু হৃষ্টপুষ্টকরণের কাজে ব্যতিব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে গো-খামারিরা। দেশীয় ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন তারা। স্থানীয় পশুর হাটগুলোর পাশাপাশি এগুলো রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার কোরবানীর পশুর হাটে বিক্রি হবে।
বিভিন্ন বাড়ি ও গো-খামারে এবার ৭৬ হাজার ৮শ’ ৩৪ টি ষাঁড় হৃষ্টপুষ্ট করছে খামারিরা। তারা স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগে দেশি ও বিদেশি জাতের ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল, দেশি শংকর, অষ্ট্রেলিয়ান, জার্সিসহ বিভিন্ন জাতের ষাঁড় বাছুর ক্রয় করে হৃষ্টপুষ্ট করছেন। মাত্র ৬-৮ মাসে এঁড়ে বাছুর লালন পালন করে কোরবানীর ঈদের গরুর হাটে বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়েও বিনিয়োগের চেয়ে বেশী অর্থ আয় করতে পারবে বলে খামারিরা আশা প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় গো-খামারি মো. শহিদুল ইসলাম ঠান্ডু জানান, বিগত বছরের ন্যায় এবারও ফসলের মাঠে কৃষিকাজ বা বাড়ির অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ষাঁড় গরু হৃষ্টপুষ্ট করে অতি অল্প সময়ে স্বাবলম্বী হয়েছি। এ বছর তার ফার্মে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ছোলা, সবুজ ঘাস, খৈল, ভূষি, চিটা গুড়, ছোলা, গম, মসুর, কালাই, খেশারী, জব, ভুট্টা খাওয়ায়েও ১২ টি ষাঁড় গরু লালন পালন করছেন। তার ফার্মের সব চেয়ে বড় ৩০ মন ওজনের সাদা-কালো রঙের পারহা-পারহি ‘অস্ট্রেলিয়ান জাতের ফ্রিজিয়ান’ ষাঁড় গরু এবার এলাকা কাঁপিয়ে তুলছে। গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা।  গো-খাদ্যের মূল্য বিদ্ধিতে দাম নিয়ে দূর চিন্তায় খামারীরা।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. বিল্লাল হোসেন জানান, আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে শাহজাদপুরে লক্ষাধিক পশু প্রস্তুত করছে খামারিরা। এর মধ্যে ষাঁড় গরু রয়েছে ৭৬ হাজার ৮শ’ ৩৪ টি, ছাগল রয়েছে ২১ হাজার ৩শ’ ৬৫টি ও ভেড়া রয়েছে ১৩ হাজার ৬শ’ ৪৬ টি। আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ষাঁড় হৃষ্টপুষ্ট করার কাজে উপজেলা পাণিসম্পদ অফিস থেকে খামারিদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা ও ভ্যাকসিন প্রদান করার মাধ্যমে তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। বেশী অর্থ আয় করতে পারবে বলে খামারিরা আশা প্রকাশ করেছেন।