ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৭ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৮ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:২৪ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৬ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২২ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩২ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. ::::

লালমনিরহাটে হোটেলের খাবার খেয়ে অসুস্থ ২০ : আশংকাজনক ৩

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
  • / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// মোঃ রেজাউল করিম,  লালমনিরহাট //

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় চায়ের দোকানে নাস্তা করে ২০ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া বাজারে রেদওয়ান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে নাস্তা করে গরু ব্যবসায়ীসহ অনেকে। পরে মধ্যে রাতে পেট ব্যাথা ও ডায়েরিয়া শুরু হলে শনিবার হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একের পর এক রোগী ভর্তি হতে থাকে।

জানা গেছে, উপজেলার সিঙ্গীমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুবনী এলাকার জসিম উদ্দিন এর ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩০), দইখাওয়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে ওয়াজেদ আলী (১৮), দক্ষিণ গড্ডিমারী এলাকার মহুবর রহমানের ছেলে রায়েজ উদ্দিন (৪৫)সহ ১৫ জন গরু ব্যবসায়ীসহ আরো অনেকে রেদওয়ান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে ডাল ও সাদারুটি দিয়ে সেখানে নাস্তা করে। পরে মধ্যেরাতে পেট ব্যাথা ও ডায়রিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরিবারে সহযোগিতায় তাদেরকে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী পরিবারের জসিম উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে আসাদুল ইসলাম দইখাওয়া হাটে গরু ক্রয় করতে যায়। পরে সন্ধ্যায় ওই হোটেলে নাস্তা করে রাতে বাড়িতে ফিরলে মধ্যে রাতে অসুস্থ হয়। তার অবস্থা অবনতি হতে থাকলে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করাই।

ভুক্তভোগী রায়েজ উদ্দিন বলেন, দইখাওয়া হাট থেকে বাড়ি ফেরার সময় আমরা ৭ থেকে ৮ জন ব্যবসায়ী আতিয়ারের দোকানে ডাল ও সাদারুটি দিয়ে নাস্তা করি। পরে বাড়িতে ফিরলে রাত ১২টার দিকে ডায়েরিয়া ও বমি শুরু হয়।

রেদওয়ান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক আতিয়ার রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার হোটেলে কোন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নাস্তা তৈরী করি নাই। অসুস্থ্যতার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।

এ বিষয়ে অসুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের চিকিৎসা প্রদানকারী হাতীবান্ধা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: জুয়েল রানা জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়া অর্থাৎ ফুডপয়জন হওয়ার কারণে এটি হয়েছে। তবে ১৭ জন আশংকামুক্ত হলেও বাকি ৩ জন এখনো আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে।

 

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/naha

নিউজটি শেয়ার করুন

লালমনিরহাটে হোটেলের খাবার খেয়ে অসুস্থ ২০ : আশংকাজনক ৩

আপডেট সময় : ০৮:২৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

// মোঃ রেজাউল করিম,  লালমনিরহাট //

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় চায়ের দোকানে নাস্তা করে ২০ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া বাজারে রেদওয়ান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে নাস্তা করে গরু ব্যবসায়ীসহ অনেকে। পরে মধ্যে রাতে পেট ব্যাথা ও ডায়েরিয়া শুরু হলে শনিবার হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একের পর এক রোগী ভর্তি হতে থাকে।

জানা গেছে, উপজেলার সিঙ্গীমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুবনী এলাকার জসিম উদ্দিন এর ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩০), দইখাওয়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে ওয়াজেদ আলী (১৮), দক্ষিণ গড্ডিমারী এলাকার মহুবর রহমানের ছেলে রায়েজ উদ্দিন (৪৫)সহ ১৫ জন গরু ব্যবসায়ীসহ আরো অনেকে রেদওয়ান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে ডাল ও সাদারুটি দিয়ে সেখানে নাস্তা করে। পরে মধ্যেরাতে পেট ব্যাথা ও ডায়রিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরিবারে সহযোগিতায় তাদেরকে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী পরিবারের জসিম উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে আসাদুল ইসলাম দইখাওয়া হাটে গরু ক্রয় করতে যায়। পরে সন্ধ্যায় ওই হোটেলে নাস্তা করে রাতে বাড়িতে ফিরলে মধ্যে রাতে অসুস্থ হয়। তার অবস্থা অবনতি হতে থাকলে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করাই।

ভুক্তভোগী রায়েজ উদ্দিন বলেন, দইখাওয়া হাট থেকে বাড়ি ফেরার সময় আমরা ৭ থেকে ৮ জন ব্যবসায়ী আতিয়ারের দোকানে ডাল ও সাদারুটি দিয়ে নাস্তা করি। পরে বাড়িতে ফিরলে রাত ১২টার দিকে ডায়েরিয়া ও বমি শুরু হয়।

রেদওয়ান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক আতিয়ার রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার হোটেলে কোন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নাস্তা তৈরী করি নাই। অসুস্থ্যতার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।

এ বিষয়ে অসুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের চিকিৎসা প্রদানকারী হাতীবান্ধা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: জুয়েল রানা জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়া অর্থাৎ ফুডপয়জন হওয়ার কারণে এটি হয়েছে। তবে ১৭ জন আশংকামুক্ত হলেও বাকি ৩ জন এখনো আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে।

 

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/naha