ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৭ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৮ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:২৪ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৬ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২২ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩২ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. ::::

রোগীদের হয়রানি করবেন না- রাষ্ট্রপতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বলেছেন, দেশে সরকারি ও বেসরকারি অনেক হাসপাতাল থাকার পরও প্রতিবছর প্রায় ২৫ লাখ মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যায়। এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। মানুষের চিকিৎসায় আরো বেশি মনোযোগী হতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আজ (সোমবার) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় চিকিৎসকদের গবেষণায় আরো মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপতি।

আজ (সোমবার) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তনে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আব্দুল হামিদ। অটিজম নিয়ে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। তাঁর পক্ষে এই সম্মান গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। সমাবর্তনে ৩৫ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চিকিৎসক ও সেবিকাকে স্বর্ণপদক ও ৭ জন চিকিৎসককে সনদ প্রদান করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বলেন, দেশের মানুষ কেন বিদেশে চিকিৎসা নিতে যায় তার কারণ খুুঁজে বের করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় বড়ো বড়ো টেস্ট দিয়ে রোগীদের হয়রানি না করতে ডাক্তারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘বড়ো ডাক্তার হয়ে অপ্রয়োজনীয় বড়ো বড়ো টেস্ট দিয়ে রোগীদের হয়রানি করবেন না… অসুস্থ ও অসৎ প্রতিযোগিতা পরিহার করতে হবে’। তিনি চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও সেবার মনোভাব নিয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্যও জোর তাগিদ দেন।

রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য আবদুল হামিদ ডাক্তার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিএসএমএমইউ এর সেবাদান পদ্ধতি সহজ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এসময় তিনি বলেন, ‘বিএসএমএমইউ এর আউটডোরে প্রায়ই সকালে ল্যাবরেটরি বিভাগ খোলা হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এর ফলে রোগীদের রিপোর্ট সংগ্রহে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে’। সক্ষমতার দিক থেকে বিএসএমএমইউকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরণের অবহেলা, দায়িত্বহীনতা ও প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগ নেই।

চিকিৎসার নামে সাইনর্বোডসর্বস্ব ও দালান-নির্ভর সব ধরনের প্রতারণা বন্ধ করতে প্রশাসনিক উদ্যোগের সাথে চিকিৎসকদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, কিছুসংখ্যক অসাধু ও প্রতারক চিকিৎসকের জন্য যাতে চিকিৎসার নামে গোটা চিকিৎসক সমাজের সুনাম ক্ষুন্ন না হয়, সেদিকেও সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ এই সমাবর্তনে ‘সমাবর্তন বক্তা’ হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতীয় ইউনিভার্সিটি সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রাজ-বর্ধন আজাদ। বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য তাকে ক্যাম্পাসের স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিএসএমএমইউ ক্যাম্পাসে এর প্রধান বক্তা হিসেবে তার উপস্থিতি দেশের গণমানুষকে আরও ভালো সেবা প্রদানের দিকে স্নাতকদের নির্দেশনা দিবে। ডিগ্রিপ্রাপ্ত গবেষক, চিকিৎসক ও নার্সগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মনে রাখবেন – ডিগ্রি অর্জনের পিছনে আপনাদের মা-বাবা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের যেমন অবদান রয়েছে, তেমনি রয়েছে এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষেরও বড় অবদান। তাই যাদের কারণে আপনাদের রুটিরুজি তাদের প্রতি আপনাদের আরো যত্নবান হওয়া উচিত। তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে থাকা হাসপাতাল-ক্লিনিক গুলোকে অবশ্যই গুণে-মানে সম্দ্ধৃ হতে হবে। চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধা থাকতে হবে।

হাসপাতালে নার্সদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘হাসপাতালে একজন রোগী সার্বক্ষণিক সেবা ও সহচার্য পায় নার্সদের কাছ থেকে। একজন নার্সের সুন্দর ব্যবহার ও উৎসাহব্যাঞ্জক কথা রোগীর হাসপাতালে অবস্থানকে আরামদায়ক ও তার আরোগ্য ত্বরান্বিত করে। তিনি নার্সদের রোগীর সেবায় আরো আন্তরিক হওয়ার তাগিদ দেন এবং একই সাথে নার্সদের কর্ম পরিবেশ উন্নয়ন, উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা ও তাদের যথাযথ সামাজিক মর্যাদা প্রদানও জরুরি। আমাদের দেশে অনেক স্বনামধন্য চিকিৎসক, চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান থাকা সত্তেও প্রতি বছর প্রায় ২৫ লক্ষ বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, তাই আমাদের ভাবতে হবে আসল সমস্যাটা কোথায়’।

তিনি বলেন, রোগীর আস্থা অর্জনে একজন ডাক্তারকে সবার আগে ভালো শ্রোতা হতে হবে। রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদেরও মনে রাখতে হবে যে, ডাক্তারগণ আল্লাহ বা ভগবান নন। তারাও মানুষ। তারা কেবল চিকিৎসা সেবা দিতে পারেন। তাই রোগীর কিছু হলেই ডাক্তারদের দায়ী করবেন আর হাসপাতাল ভাংচুর করবেন- এটাও কাম্য নয়। এজন্য ডাক্তার, রোগী ও আত্মীয়স্বজনদের আরো বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। এমন অবস্থা কারোরই কাম্যই নয়, যার ফলে সাধারণ মানুষ ও রোগীরা অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার হন। আচার্য আশা প্রকাশ করেন, বিএসএমএমইউ এদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিকাশ ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথ পরিক্রমায় এবং একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবে।

চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৩৫ জনকে “চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক” প্রদান করা হয়।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/18lu

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রোগীদের হয়রানি করবেন না- রাষ্ট্রপতি

আপডেট সময় : ১১:০০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বলেছেন, দেশে সরকারি ও বেসরকারি অনেক হাসপাতাল থাকার পরও প্রতিবছর প্রায় ২৫ লাখ মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যায়। এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। মানুষের চিকিৎসায় আরো বেশি মনোযোগী হতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আজ (সোমবার) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় চিকিৎসকদের গবেষণায় আরো মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপতি।

আজ (সোমবার) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তনে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আব্দুল হামিদ। অটিজম নিয়ে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। তাঁর পক্ষে এই সম্মান গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। সমাবর্তনে ৩৫ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চিকিৎসক ও সেবিকাকে স্বর্ণপদক ও ৭ জন চিকিৎসককে সনদ প্রদান করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বলেন, দেশের মানুষ কেন বিদেশে চিকিৎসা নিতে যায় তার কারণ খুুঁজে বের করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় বড়ো বড়ো টেস্ট দিয়ে রোগীদের হয়রানি না করতে ডাক্তারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘বড়ো ডাক্তার হয়ে অপ্রয়োজনীয় বড়ো বড়ো টেস্ট দিয়ে রোগীদের হয়রানি করবেন না… অসুস্থ ও অসৎ প্রতিযোগিতা পরিহার করতে হবে’। তিনি চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও সেবার মনোভাব নিয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্যও জোর তাগিদ দেন।

রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য আবদুল হামিদ ডাক্তার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিএসএমএমইউ এর সেবাদান পদ্ধতি সহজ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এসময় তিনি বলেন, ‘বিএসএমএমইউ এর আউটডোরে প্রায়ই সকালে ল্যাবরেটরি বিভাগ খোলা হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এর ফলে রোগীদের রিপোর্ট সংগ্রহে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে’। সক্ষমতার দিক থেকে বিএসএমএমইউকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরণের অবহেলা, দায়িত্বহীনতা ও প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগ নেই।

চিকিৎসার নামে সাইনর্বোডসর্বস্ব ও দালান-নির্ভর সব ধরনের প্রতারণা বন্ধ করতে প্রশাসনিক উদ্যোগের সাথে চিকিৎসকদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, কিছুসংখ্যক অসাধু ও প্রতারক চিকিৎসকের জন্য যাতে চিকিৎসার নামে গোটা চিকিৎসক সমাজের সুনাম ক্ষুন্ন না হয়, সেদিকেও সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ এই সমাবর্তনে ‘সমাবর্তন বক্তা’ হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতীয় ইউনিভার্সিটি সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রাজ-বর্ধন আজাদ। বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য তাকে ক্যাম্পাসের স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিএসএমএমইউ ক্যাম্পাসে এর প্রধান বক্তা হিসেবে তার উপস্থিতি দেশের গণমানুষকে আরও ভালো সেবা প্রদানের দিকে স্নাতকদের নির্দেশনা দিবে। ডিগ্রিপ্রাপ্ত গবেষক, চিকিৎসক ও নার্সগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মনে রাখবেন – ডিগ্রি অর্জনের পিছনে আপনাদের মা-বাবা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের যেমন অবদান রয়েছে, তেমনি রয়েছে এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষেরও বড় অবদান। তাই যাদের কারণে আপনাদের রুটিরুজি তাদের প্রতি আপনাদের আরো যত্নবান হওয়া উচিত। তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে থাকা হাসপাতাল-ক্লিনিক গুলোকে অবশ্যই গুণে-মানে সম্দ্ধৃ হতে হবে। চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধা থাকতে হবে।

হাসপাতালে নার্সদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘হাসপাতালে একজন রোগী সার্বক্ষণিক সেবা ও সহচার্য পায় নার্সদের কাছ থেকে। একজন নার্সের সুন্দর ব্যবহার ও উৎসাহব্যাঞ্জক কথা রোগীর হাসপাতালে অবস্থানকে আরামদায়ক ও তার আরোগ্য ত্বরান্বিত করে। তিনি নার্সদের রোগীর সেবায় আরো আন্তরিক হওয়ার তাগিদ দেন এবং একই সাথে নার্সদের কর্ম পরিবেশ উন্নয়ন, উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা ও তাদের যথাযথ সামাজিক মর্যাদা প্রদানও জরুরি। আমাদের দেশে অনেক স্বনামধন্য চিকিৎসক, চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান থাকা সত্তেও প্রতি বছর প্রায় ২৫ লক্ষ বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, তাই আমাদের ভাবতে হবে আসল সমস্যাটা কোথায়’।

তিনি বলেন, রোগীর আস্থা অর্জনে একজন ডাক্তারকে সবার আগে ভালো শ্রোতা হতে হবে। রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদেরও মনে রাখতে হবে যে, ডাক্তারগণ আল্লাহ বা ভগবান নন। তারাও মানুষ। তারা কেবল চিকিৎসা সেবা দিতে পারেন। তাই রোগীর কিছু হলেই ডাক্তারদের দায়ী করবেন আর হাসপাতাল ভাংচুর করবেন- এটাও কাম্য নয়। এজন্য ডাক্তার, রোগী ও আত্মীয়স্বজনদের আরো বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। এমন অবস্থা কারোরই কাম্যই নয়, যার ফলে সাধারণ মানুষ ও রোগীরা অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার হন। আচার্য আশা প্রকাশ করেন, বিএসএমএমইউ এদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিকাশ ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথ পরিক্রমায় এবং একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবে।

চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৩৫ জনকে “চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক” প্রদান করা হয়।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/18lu