ঢাকা ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রেশমশিল্পকে মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছে সরকার: পাটমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশের রেশম শিল্পকে একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)।

রোববার (৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, রেশম শিল্পকে লাভজনক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার এখাতে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের রেশমশিল্পকে এমন মডেল হিসেবে তৈরি করতে চাই যাতে ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী এ মডেল অনুসরণ করতে পারে।

পাটমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্মৃতিকে ধরে রেখে রেশম শিল্পকে এগিয়ে নিতে উদ্যোগী হতে হবে। রেশম বাংলাদেশের ঐতিহ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এ শিল্পকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে কাজ করছে। এ শিল্পের ঐতিহ্য বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে এ শিল্পকে আধুনিকায়ন করা হবে। রেশমের সুতা উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার তাঁত শিল্পকে অধিকতর মানসম্পন্ন করে তুলবে।

তিনি বলেন, কিভাবে রেশম শিল্পকে লাভজনক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায় এখন আমাদেরকে সে বিষয়ে তৎপর থাকতে হবে। এটা নিয়ে আমাদেরকে অনেক কাজ করে যেতে হবে। যেন আমরা রেশম ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারি। রেশম শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী তুঁতচাষ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

মন্ত্রী বলেন, কম খরচে উন্নতমানের রেশম কাপড় তৈরি করার জন্য প্রযুক্তির উৎকর্ষ অপরিহার্য। এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করা সুতার উপরে প্রায় ৬০ শতাংশ কর আরোপ করার পরও প্রতিযোগী দেশের সঙ্গে পেরে উঠছি না। সুতরাং আমাদের হয়তো প্রযুক্তিগত কোথাও না কোথাও ঘাটতি রয়েছে। আমাদের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে সমস্যা অনুযায়ী সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। যাতে আমরা বিদেশের চেয়ে ভালো মানের সুতা ও কাপড় উৎপাদন করতে পারি।রাজশাহী মানে রাজশাহীর সিল্ক। এটাকে টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা সরকার করবে। এজন্য এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। রেশম শিল্পকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকার বদ্ধপরিকর।

সভায় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, রাজশাহী বিভাগীয় কমমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্শ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

রেশমশিল্পকে মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছে সরকার: পাটমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:২৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশের রেশম শিল্পকে একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)।

রোববার (৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, রেশম শিল্পকে লাভজনক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার এখাতে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের রেশমশিল্পকে এমন মডেল হিসেবে তৈরি করতে চাই যাতে ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী এ মডেল অনুসরণ করতে পারে।

পাটমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্মৃতিকে ধরে রেখে রেশম শিল্পকে এগিয়ে নিতে উদ্যোগী হতে হবে। রেশম বাংলাদেশের ঐতিহ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এ শিল্পকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে কাজ করছে। এ শিল্পের ঐতিহ্য বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে এ শিল্পকে আধুনিকায়ন করা হবে। রেশমের সুতা উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার তাঁত শিল্পকে অধিকতর মানসম্পন্ন করে তুলবে।

তিনি বলেন, কিভাবে রেশম শিল্পকে লাভজনক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায় এখন আমাদেরকে সে বিষয়ে তৎপর থাকতে হবে। এটা নিয়ে আমাদেরকে অনেক কাজ করে যেতে হবে। যেন আমরা রেশম ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারি। রেশম শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী তুঁতচাষ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

মন্ত্রী বলেন, কম খরচে উন্নতমানের রেশম কাপড় তৈরি করার জন্য প্রযুক্তির উৎকর্ষ অপরিহার্য। এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করা সুতার উপরে প্রায় ৬০ শতাংশ কর আরোপ করার পরও প্রতিযোগী দেশের সঙ্গে পেরে উঠছি না। সুতরাং আমাদের হয়তো প্রযুক্তিগত কোথাও না কোথাও ঘাটতি রয়েছে। আমাদের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে সমস্যা অনুযায়ী সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। যাতে আমরা বিদেশের চেয়ে ভালো মানের সুতা ও কাপড় উৎপাদন করতে পারি।রাজশাহী মানে রাজশাহীর সিল্ক। এটাকে টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা সরকার করবে। এজন্য এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। রেশম শিল্পকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকার বদ্ধপরিকর।

সভায় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, রাজশাহী বিভাগীয় কমমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্শ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।