ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৬ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৯ মি. ইফতার ৬:১০ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৪০ মি. ইফতার ৬:২৩ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৮ মি. ইফতার ৬:১৯ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৫ মি. ইফতার ৬:১৬ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৭ মি. ইফতার ৬:১০ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৮ মি. ইফতার ৬:২১ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৬ মি. ::::

রুমায় প্রকাশ্যে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন : বিপর্যয়ের শংকা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • / ৪৭১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// অংবাচিং মারমা, রুমা (বান্দরবান) প্রতিনিধি //
বান্দরবানে রুমা উপজেলার সদর ইউনিয়ন থেকে ১ কিলোমিটার দুরত্বে সাংগু নদীর চর হতে তিন-চার পয়েন্টে বালু উত্তোলন ও ৩ কিলোমিটারে দুরত্বে ৯নং ওয়ার্ডের সামাখাল পাড়া পাশ্ববর্তী বগাঝিড়ি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করেই চলেছে প্রভাবশালী নেতারা।
গত মঙ্গলবারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলে, মুনলাই পাড়া যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে তিন-চারটি পয়েন্ট থেকে ট্রাক দিয়ে  বিভিন্ন জায়গায় বালু সরবরাহ করা হচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, রুমা উপজেলার আওয়ামী লীগের সহ- দপ্তর সম্পাদক পনলাল চক্রবর্তী নেতৃত্বে একটি গ্রুপ ও  ঠিকাদার জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন মিলে বালু উত্তোলন করেছে।
অপরদিকে, রুমা সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সামাখাল পাড়া বগা ঝিড়ি থেকে পাথর উত্তোলন করে সরকারি রাস্তায় প্রকাশ্যের মিশিন দিয়ে পাথর কংক্রিট করতে দেখা যাচ্ছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকরা বলেন, আমাদেরকে বান্দরবান থেকে ঠিকাদার মংওয়েনু মারমা কাজ করার জন্য পাঠিয়েছে, তাই আমরা দিন মজুরি হিসেবে কাজ করছি। ১ কিলোমিটার রাস্তার কাজে চারটি কালভার্ট  তৈরির কাজে ২-৩ হাজারের ফুট পাথর তুলেছি।
পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে ১ বছর ধরে রুমাখাল মুখ সাংগু নদী থেকে বালু  উত্তোলন করছিল প্রভাবশালীরা। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও কৌশল বদল করে রুমা খাল মুখ সাংগু নদী থেকে বালু উত্তোলনে মরিয়া হয়ে উঠেছে তিনটি -চারটি চিহ্নিত চক্র।
বস্তুত বেআইনি হলেও প্রভাবশালী ও দুর্নীতিগ্রস্থ কিছু মানুষ প্রশাসনের নাকের ডগায় সামাখাল পাড়া বগা ঝিড়ি থেকে ও পাথর উত্তলন ও সাংগু নদী থেকে বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রায়ই সেখানে পরিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি হলেও প্রশাসন ও পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে।
অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ না হওয়ার কারণ ও বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের পরপর আবারও শুরু হয় বালু ও পাথর উত্তোলন।
জনমনে প্রশ্ন জেগেছে, অভিযান পরিচালনার আগেই যদি অপরাধীরা খবর পেয়ে যায়, তাহলে সেই অভিযানের অর্থ কী?  তাহলে কি শর্ষের ভেতরেই রয়েছে ভূত? এই ভূত তাড়াতে কর্তৃপক্ষকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুল হকের সরকারি মোবাইল ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে, এলাকাবাসী বড় ধরনের বিপর্যয় এড়াতে অনতিবিলম্বে অবৈধ পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/v75s

নিউজটি শেয়ার করুন

রুমায় প্রকাশ্যে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন : বিপর্যয়ের শংকা

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
// অংবাচিং মারমা, রুমা (বান্দরবান) প্রতিনিধি //
বান্দরবানে রুমা উপজেলার সদর ইউনিয়ন থেকে ১ কিলোমিটার দুরত্বে সাংগু নদীর চর হতে তিন-চার পয়েন্টে বালু উত্তোলন ও ৩ কিলোমিটারে দুরত্বে ৯নং ওয়ার্ডের সামাখাল পাড়া পাশ্ববর্তী বগাঝিড়ি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করেই চলেছে প্রভাবশালী নেতারা।
গত মঙ্গলবারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলে, মুনলাই পাড়া যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে তিন-চারটি পয়েন্ট থেকে ট্রাক দিয়ে  বিভিন্ন জায়গায় বালু সরবরাহ করা হচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, রুমা উপজেলার আওয়ামী লীগের সহ- দপ্তর সম্পাদক পনলাল চক্রবর্তী নেতৃত্বে একটি গ্রুপ ও  ঠিকাদার জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন মিলে বালু উত্তোলন করেছে।
অপরদিকে, রুমা সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সামাখাল পাড়া বগা ঝিড়ি থেকে পাথর উত্তোলন করে সরকারি রাস্তায় প্রকাশ্যের মিশিন দিয়ে পাথর কংক্রিট করতে দেখা যাচ্ছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকরা বলেন, আমাদেরকে বান্দরবান থেকে ঠিকাদার মংওয়েনু মারমা কাজ করার জন্য পাঠিয়েছে, তাই আমরা দিন মজুরি হিসেবে কাজ করছি। ১ কিলোমিটার রাস্তার কাজে চারটি কালভার্ট  তৈরির কাজে ২-৩ হাজারের ফুট পাথর তুলেছি।
পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে ১ বছর ধরে রুমাখাল মুখ সাংগু নদী থেকে বালু  উত্তোলন করছিল প্রভাবশালীরা। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও কৌশল বদল করে রুমা খাল মুখ সাংগু নদী থেকে বালু উত্তোলনে মরিয়া হয়ে উঠেছে তিনটি -চারটি চিহ্নিত চক্র।
বস্তুত বেআইনি হলেও প্রভাবশালী ও দুর্নীতিগ্রস্থ কিছু মানুষ প্রশাসনের নাকের ডগায় সামাখাল পাড়া বগা ঝিড়ি থেকে ও পাথর উত্তলন ও সাংগু নদী থেকে বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রায়ই সেখানে পরিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি হলেও প্রশাসন ও পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে।
অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ না হওয়ার কারণ ও বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের পরপর আবারও শুরু হয় বালু ও পাথর উত্তোলন।
জনমনে প্রশ্ন জেগেছে, অভিযান পরিচালনার আগেই যদি অপরাধীরা খবর পেয়ে যায়, তাহলে সেই অভিযানের অর্থ কী?  তাহলে কি শর্ষের ভেতরেই রয়েছে ভূত? এই ভূত তাড়াতে কর্তৃপক্ষকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুল হকের সরকারি মোবাইল ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে, এলাকাবাসী বড় ধরনের বিপর্যয় এড়াতে অনতিবিলম্বে অবৈধ পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/v75s