ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক নয় : ইসি আলমগীর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদ নিয়ে কোনো কোনো মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে। তবে সেই প্রশ্ন নাকচ করে দিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, রাষ্ট্রপতি পদটি লাভজনক কোনো পদ নয়। সুতরাং তার রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হতে কোনো বাধা নেই।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

আইনে আছে, দুদক কমিশনাররা লাভজনক কোনো পদে যেতে পারেন না। রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক, নাকি লাভজনক নয় এটি নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চান। এর জবাবে আলমগীর বলেন, দুদকের আইনে বলা আছে যে, কমিশনাররা লাভজনক পদে যেতে পারবেন না। কিন্তু আপনারা জানবেন যে, নির্বাচন কমিশন যখন এটা করেছে, তখন আইন কানুন জেনেই এটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন সাহেব যখন রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন, তখন এটি নিয়ে কোর্টে একটি মামলা হয়েছিল। কারণ বিচারপতির ক্ষেত্রেও একই আইন যে, উনারা লাভজনক পদে যেতে পারবেন না।

ইসি আলমগীর বলেন, যেহেতু ওই সময়ে একটি মামলা হয়েছিল এবং ওই মামলায় হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। সেখানে বলে দিয়েছেন যে, না। এতে কোনো বাধা নেই এবং সেই আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিলও হয়নি। অতএব যেহেতু আমাদের সামনে উচ্চ আদালতের একটি সুনির্দিষ্ট উদাহরণ রয়েছে যে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদকে লাভজনক পদ বলা যাবে না এবং ওই রায়ে বলা আছে, লাভজনক পদ বলতে বুঝাবে প্রজাতন্ত্রের যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদেরকে। এটি স্পষ্ট বলা আছে। অতএব এটি উনার (মো. সাহাবুদ্দিন) জন্য প্রযোজ্য নয়। উনার রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হতে আইনগত কোনো বাধা নাই।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটা জিনিস বুঝতে হবে যে, লাভজনক পদের বিষয়ে একেবারে স্পষ্টভাবে বলা আছে যে, লাভজনক পদ বলতে কী বোঝায়, যদিও তালিকা দেওয়া নাই। তবে লাভজনক পদের ক্ষেত্রে বলা আছে যে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত এবং কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি সরকারের ৫০ ভাগের অধিক অর্থ থাকে, তাহলে সেই পদে নিয়োগকে বলা হবে লাভজনক পদ। তো এখানে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী উনারা কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী না।

তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, যেহেতু সাংবিধানিক পদ। অতএব লাভজনক পদের ডেফিনেশনে এরা পড়ে না। আর যেহেতু এটি নিয়ে একটি মামলাই হয়েছিল এবং আমাদের আইন যেটা বলে সেটি হলো, হাইকোর্ট বা আপিল বিভাগের যদি কোনো রায় থাকে, সেই রায় আইন হিসেবে গ্রহণ করা হবে। যেহেতু বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের ক্ষেত্রে উনি যখন রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে নেওয়ার সময় মামলা হয়, তখন এই মামলাটা খারিজ হয়ে গিয়েছিল এবং আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদটি লাভজনক পদ নয়। এটি সাংবিধানিক পদ। অতএব এটি তার জন্য প্রযোজ্য হবে না।

সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, যেহেতু সাংবিধানিক পদ। অতএব লাভজনক পদের ডেফিনেশনে এরা পরে না। আর যেহেতু এটি নিয়ে একটি মামলাই হয়েছিল এবং আমাদের আইন যেটা বলে সেটি হলো, হাইকোর্ট বা আপিল বিভাগের যদি কোনো রায় থাকে, সেই রায় আইন হিসেবে গ্রহণ করা হবে। যেহেতু বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের ক্ষেত্রে উনি যখন রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে নেওয়ার সময় মামলা হয়, তখন এই মামলাটা খারিজ হয়ে গিয়েছিল এবং আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদটি লাভজনক পদ নয়। এটি সাংবিধানিক পদ। অতএব এটি তার জন্য বার হবে না।

আজকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন। তাকে বাছাইয়ের দিন (১৩ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচিত ঘোষণা করে গেজেট করলেন। আইন অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগটা বন্ধ করে দেওয়া হলো কি না বা বিষয়টি আইনসিদ্ধ হলো কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই আইনসিদ্ধ। আইনে স্পষ্ট লেখা আছে যে, যদি একাধিক প্রার্থী না থাকে এবং মনোনয়নপত্র বাছাই করার পরে যদি দেখা যায় যে, উনার মনোনয়নপত্র সঠিক আছে, বৈধ আছে। তাহলে ওই সময় তাকে নির্বাচিত হিসেবে ঘোষণা দিয়ে দেবেন। এটির জন্য আর প্রত্যাহার করার জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নাই।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মো. আলমগীর আরো বলেন, আমরা কখনো বলিনি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হবে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। আমরা বলেছি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মাধ্যমে নির্বাচন হবে।

কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের জন্য এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। কখন ভোট হবে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে চূড়ান্ত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক নয় : ইসি আলমগীর

আপডেট সময় : ০৬:৩৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদ নিয়ে কোনো কোনো মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে। তবে সেই প্রশ্ন নাকচ করে দিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, রাষ্ট্রপতি পদটি লাভজনক কোনো পদ নয়। সুতরাং তার রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হতে কোনো বাধা নেই।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

আইনে আছে, দুদক কমিশনাররা লাভজনক কোনো পদে যেতে পারেন না। রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক, নাকি লাভজনক নয় এটি নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চান। এর জবাবে আলমগীর বলেন, দুদকের আইনে বলা আছে যে, কমিশনাররা লাভজনক পদে যেতে পারবেন না। কিন্তু আপনারা জানবেন যে, নির্বাচন কমিশন যখন এটা করেছে, তখন আইন কানুন জেনেই এটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন সাহেব যখন রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন, তখন এটি নিয়ে কোর্টে একটি মামলা হয়েছিল। কারণ বিচারপতির ক্ষেত্রেও একই আইন যে, উনারা লাভজনক পদে যেতে পারবেন না।

ইসি আলমগীর বলেন, যেহেতু ওই সময়ে একটি মামলা হয়েছিল এবং ওই মামলায় হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। সেখানে বলে দিয়েছেন যে, না। এতে কোনো বাধা নেই এবং সেই আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিলও হয়নি। অতএব যেহেতু আমাদের সামনে উচ্চ আদালতের একটি সুনির্দিষ্ট উদাহরণ রয়েছে যে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদকে লাভজনক পদ বলা যাবে না এবং ওই রায়ে বলা আছে, লাভজনক পদ বলতে বুঝাবে প্রজাতন্ত্রের যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদেরকে। এটি স্পষ্ট বলা আছে। অতএব এটি উনার (মো. সাহাবুদ্দিন) জন্য প্রযোজ্য নয়। উনার রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হতে আইনগত কোনো বাধা নাই।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটা জিনিস বুঝতে হবে যে, লাভজনক পদের বিষয়ে একেবারে স্পষ্টভাবে বলা আছে যে, লাভজনক পদ বলতে কী বোঝায়, যদিও তালিকা দেওয়া নাই। তবে লাভজনক পদের ক্ষেত্রে বলা আছে যে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত এবং কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি সরকারের ৫০ ভাগের অধিক অর্থ থাকে, তাহলে সেই পদে নিয়োগকে বলা হবে লাভজনক পদ। তো এখানে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী উনারা কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী না।

তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, যেহেতু সাংবিধানিক পদ। অতএব লাভজনক পদের ডেফিনেশনে এরা পড়ে না। আর যেহেতু এটি নিয়ে একটি মামলাই হয়েছিল এবং আমাদের আইন যেটা বলে সেটি হলো, হাইকোর্ট বা আপিল বিভাগের যদি কোনো রায় থাকে, সেই রায় আইন হিসেবে গ্রহণ করা হবে। যেহেতু বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের ক্ষেত্রে উনি যখন রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে নেওয়ার সময় মামলা হয়, তখন এই মামলাটা খারিজ হয়ে গিয়েছিল এবং আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদটি লাভজনক পদ নয়। এটি সাংবিধানিক পদ। অতএব এটি তার জন্য প্রযোজ্য হবে না।

সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, যেহেতু সাংবিধানিক পদ। অতএব লাভজনক পদের ডেফিনেশনে এরা পরে না। আর যেহেতু এটি নিয়ে একটি মামলাই হয়েছিল এবং আমাদের আইন যেটা বলে সেটি হলো, হাইকোর্ট বা আপিল বিভাগের যদি কোনো রায় থাকে, সেই রায় আইন হিসেবে গ্রহণ করা হবে। যেহেতু বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের ক্ষেত্রে উনি যখন রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে নেওয়ার সময় মামলা হয়, তখন এই মামলাটা খারিজ হয়ে গিয়েছিল এবং আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদটি লাভজনক পদ নয়। এটি সাংবিধানিক পদ। অতএব এটি তার জন্য বার হবে না।

আজকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন। তাকে বাছাইয়ের দিন (১৩ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচিত ঘোষণা করে গেজেট করলেন। আইন অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগটা বন্ধ করে দেওয়া হলো কি না বা বিষয়টি আইনসিদ্ধ হলো কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই আইনসিদ্ধ। আইনে স্পষ্ট লেখা আছে যে, যদি একাধিক প্রার্থী না থাকে এবং মনোনয়নপত্র বাছাই করার পরে যদি দেখা যায় যে, উনার মনোনয়নপত্র সঠিক আছে, বৈধ আছে। তাহলে ওই সময় তাকে নির্বাচিত হিসেবে ঘোষণা দিয়ে দেবেন। এটির জন্য আর প্রত্যাহার করার জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নাই।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মো. আলমগীর আরো বলেন, আমরা কখনো বলিনি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হবে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। আমরা বলেছি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মাধ্যমে নির্বাচন হবে।

কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের জন্য এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। কখন ভোট হবে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে চূড়ান্ত হবে।