ঢাকা ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাজশাহীতে ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট মালিকের বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩২:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
রাজশাহী ব্যুরো : 
রাজশাহী চারঘাট উপজেলায় ইসলামী ব্যাংক এজেন্টের মালিক মোসাদ্দেক হোসেনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন ও আয়কর ফাঁকির অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি পাঠিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি।
অভিযোগ উঠেছে মোসাদ্দেক ব্যক্তিগত জীবনে কোটিপতি ও একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েও তথ্য গোপন করে সরকারকে আয়কর ফাঁকি দিচ্ছেন। যার ই-টিন নং -৬৬৯০১৮২৯৩৫৩২ এর ট্যাক্স হোল্ডার এই মোসাদ্দেক হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এই মোসাদ্দেক হোসেনের  চারঘাট উপজেলায় একাধিক জমি ও আমবাগান রয়েছে।অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকও। তার ঔষধ ব্যবসার পাশাপাশি গোডাউনসহ মজুদ ঔষুধের দাম আনুমানিক ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা হবে। তিনি আমবাগান, জমি ও এজেন্ট ব্যাংকিং হতে বছরে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন। তিনি তথ্য গোপন করে তার আয়কর বিবরণীতে শুধুমাত্র ফার্মেসীর কথা উল্লেখ করেছেন।
গত কয়েক বছরের আয়কর নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, তিনি ফার্মেসী ব্যবসার বাহিরে জমি, বাগান ও এজেন্ট ব্যাংকের আয় গোপন করেছেন। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ আয়কর হতে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ্ আছে। এছাড়াও তার কন্যা সন্তান ও স্ত্রীর নামে পোস্ট অফিসে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র রাখা আছে। তার স্ত্রীর নামে চারঘাট ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকে ৫ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করা আছে, তার তিন সন্তান এর নামে ব্যাংকে একাধিক একাউন্ট আছে এবং নিজ নামে চারঘাট পল্লী বিদ্যুত অফিসের পূর্ব ৬ কাঠা জমি ক্রয় করা আছে, যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৬০ লক্ষের অধিক।
উল্লেখিত বিষয়গুলো তার আয়কর নথিতে নাই এবং জমি ও এজেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের ৩০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের তথ্য আয়কর নথিতে নাই। তার বাড়িতে স্ত্রী ও কন্যা মিলে ২০ ভরি স্বর্ণের মালিক এবং তার বাসার ফার্নিচার, টিভি ফ্রিজসহ ১০ লক্ষ টাকার গৃহসামগ্রী আছে, যা আয়কর নথিতে উল্লেখ নাই।
এমতাবস্থায় বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে আয়কর ফাইল হালনাগাদ করা ও ট্যাক্স ফাঁকির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এই অভিযোগকারী।
অভিযোগের বিষয়ে কর কমিশনার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান খান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে কর ফাঁকির সংশ্লিষ্টতা পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, এ সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কে বা কারা আমার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য এই অভিযোগটি করেছে।
বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজশাহীতে ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট মালিকের বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৫:৩২:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
রাজশাহী ব্যুরো : 
রাজশাহী চারঘাট উপজেলায় ইসলামী ব্যাংক এজেন্টের মালিক মোসাদ্দেক হোসেনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন ও আয়কর ফাঁকির অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি পাঠিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি।
অভিযোগ উঠেছে মোসাদ্দেক ব্যক্তিগত জীবনে কোটিপতি ও একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েও তথ্য গোপন করে সরকারকে আয়কর ফাঁকি দিচ্ছেন। যার ই-টিন নং -৬৬৯০১৮২৯৩৫৩২ এর ট্যাক্স হোল্ডার এই মোসাদ্দেক হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এই মোসাদ্দেক হোসেনের  চারঘাট উপজেলায় একাধিক জমি ও আমবাগান রয়েছে।অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকও। তার ঔষধ ব্যবসার পাশাপাশি গোডাউনসহ মজুদ ঔষুধের দাম আনুমানিক ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা হবে। তিনি আমবাগান, জমি ও এজেন্ট ব্যাংকিং হতে বছরে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন। তিনি তথ্য গোপন করে তার আয়কর বিবরণীতে শুধুমাত্র ফার্মেসীর কথা উল্লেখ করেছেন।
গত কয়েক বছরের আয়কর নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, তিনি ফার্মেসী ব্যবসার বাহিরে জমি, বাগান ও এজেন্ট ব্যাংকের আয় গোপন করেছেন। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ আয়কর হতে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ্ আছে। এছাড়াও তার কন্যা সন্তান ও স্ত্রীর নামে পোস্ট অফিসে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র রাখা আছে। তার স্ত্রীর নামে চারঘাট ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকে ৫ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করা আছে, তার তিন সন্তান এর নামে ব্যাংকে একাধিক একাউন্ট আছে এবং নিজ নামে চারঘাট পল্লী বিদ্যুত অফিসের পূর্ব ৬ কাঠা জমি ক্রয় করা আছে, যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৬০ লক্ষের অধিক।
উল্লেখিত বিষয়গুলো তার আয়কর নথিতে নাই এবং জমি ও এজেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের ৩০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের তথ্য আয়কর নথিতে নাই। তার বাড়িতে স্ত্রী ও কন্যা মিলে ২০ ভরি স্বর্ণের মালিক এবং তার বাসার ফার্নিচার, টিভি ফ্রিজসহ ১০ লক্ষ টাকার গৃহসামগ্রী আছে, যা আয়কর নথিতে উল্লেখ নাই।
এমতাবস্থায় বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে আয়কর ফাইল হালনাগাদ করা ও ট্যাক্স ফাঁকির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এই অভিযোগকারী।
অভিযোগের বিষয়ে কর কমিশনার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান খান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে কর ফাঁকির সংশ্লিষ্টতা পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, এ সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কে বা কারা আমার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য এই অভিযোগটি করেছে।
বা/খ: জই