ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৬ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৯ মি. ইফতার ৬:১০ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৪০ মি. ইফতার ৬:২৩ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৮ মি. ইফতার ৬:১৯ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৫ মি. ইফতার ৬:১৬ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৭ মি. ইফতার ৬:১০ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৮ মি. ইফতার ৬:২১ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৬ মি. ::::

রাজধানীজুড়ে বসন্তের রঙ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

‘মহাশূন্যের কোল থেকে আসা কণ্ঠধ্বনি/স্বপ্নে স্পর্শ/অনুভবে শিহরণ আর সত্তায় অনুরণন/করেছে তোমায় অনুপস্থিত/ওই কাজল কালো আঁখিযুগল/ভেজানো কোমল ঠোঁটের ছোঁয়া-/শিহরণ জাগায় প্রাণে/স্মিতা, তুমি সত্যিই অপরাজিতা’।

কে এ অপরাজিতা! চিরজনমের বাহু-ডোরাবদ্ধ কিংবা হৃদয়বেদীতে যার জন্য থরে থরে সাজানো পূজোর অর্ঘ্য, মোহ আর ভালোবাসার দেবী যে, সেই প্রিয়াই তো! পৃথিবীর তাবৎ বনলতা সেন অথবা মোনালিসা কিংবা মানসীকে উৎসর্গিত তরুণ কবির এ পঙক্তিমালা শুধুই কি মোহ আর মায়াচ্ছলে? নাকি ভালোবাসারও! হ্যাঁ, ভালোবাসারই।

আজ পয়লা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। ঋতুরাজের আগমনী রঙের ছোঁয়া শুধু প্রকৃতিতেই নয়, সেই রঙ লেগেছে সবার মনে। তার ওপর একই দিনে ভালোবাসা দিবস এবং পহেলা ফাগুন।

প্রকৃতিতে আজ কোকিল গান ধরেছে। হাওয়ায় লেগেছে ফাগুনের আগুন। মর্মে জেগেছে দোলা। প্রকৃতির এ অপরূপ আবাহন জানান দিচ্ছে, ঋতুচক্রে বছর ঘুরে আবার এসেছে বসন্ত। রাজধানী ঢাকার পথে পথে আজ হয়তো রক্তির পলাশের শোভা নেই। কোকিলের গান হয়তো হারিয়ে গেছে অজস্র যানবাহনের বিকট হর্নে। তাতে কী, বসন্ত যে আজ সত্যিই দুয়ারে দাঁড়িয়ে। শুধু তাই নয়, আজ ভালোবাসার দিনও। তাইতো বসন্ত আর ভালোবাসার মহামিলন মন্ত্রে মত্ত ফাল্গুনের প্রথম দিন।

বাংলা বর্ষপঞ্জিতে সংশোধনের ফলে ২০২০ সাল থেকে ফাল্গুন মাসের প্রথম দিন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস একই দিনে পড়ছে। পয়লা ফাল্গুন কিংবা বসন্ত যে নামেই ডাকা হোক না কেন, ভালোবাসার উষ্ণতা নিয়েই আজ বসন্ত এসেছে কোটি হৃদয়ের আঙিনায়।

ঋতুচক্রের পালাবদলে সবার শেষে আসে ঋতুরাজ বসন্ত। শীতের রুক্ষতা ঝেড়ে নতুন রূপে আবির্ভূত হয় প্রকৃতি। গাছে গাছে ফোটে ফুল, উঁকি দেয় কচি সবুজ পাতা। পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা বসন্তের দূত কোকিল কুহু কুহু সুর গান ধরে। প্রকৃতির পাশাপাশি মানবমনেও জাগে আনন্দের জোয়ার। প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাসন্তী রঙের শাড়ি-পাঞ্জাবি গায়ে জড়িয়ে ভালোবাসা বিনিময়ে মাতোয়ারা হন প্রেমিক-প্রেমিকারা। পয়লা ফাল্গুনের সঙ্গে ভালোবাসা দিবস যোগ হওয়ায় এ দিনটি দোলা দিয়ে যায় সব বয়সী মানুষের প্রাণে।

বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবস ঘিরে গত কদিন ধরেই ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিশেষত ফুলের দোকানগুলোতে ছিল ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। রাজধানীজুড়ে শুরু হয় উৎসব আমেজ। শাহবাগ, টিএসসি, চন্দ্রিমা উদ্যান কিংবা ধানমন্ডি লেক, রমনা পার্কে বাসন্তী সাজে তরুণ-তরুণীরা এরই মধ্যে বসন্তের উচ্ছ্বাস আর আনন্দ উদযাপন শুরু করেছেন।

বসন্ত উৎসব (7)

এদিকে বসন্তবরণ আর ভালবাসা দিবসে বর্ণিল রূপ ধারণ করেছে বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলা। ভার্চুয়াল দুনিয়াতেও লেগেছে বসন্ত আর ভালোবাসার ছোঁয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে চলছে বসন্তের শুভেচ্ছা বিনিময়। রেস্টুরেন্ট, খাবারের দোকান ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো সেজেছে নিজস্ব ঢঙে। সেসব স্থানে পরিবার-পরিজন নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন নগরবাসী।

প্রায় তিন দশক আগে ১৪০১ বঙ্গাব্দে দেশে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপনের রীতি চালু হয়। তখন থেকেই প্রতিবছর জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ এ উৎসব আয়োজন করে আসছে। রাজধানীতে বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানমালা আরও ব্যাপকতা লাভ করেছে। এর সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে যোগ হয়েছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।

শুধু তরুণ-তরুণী নয়, সব বয়সী মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশের দিন আজ। এ ভালোবাসা যেমন মা-বাবার প্রতি সন্তানের, তেমনই বন্ধুর প্রতি বন্ধুর কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকাদের। প্রায় তিন দশক ধরে এদেশে পশ্চিমা রীতির ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা ভালোবাসা দিবস বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশেই উদযাপন হচ্ছে।

ভালোবাসা দিবস উদযাপনের ইতিহাস নিয়ে প্রচলিত আছে একাধিক কাহিনি। সবচেয়ে বেশি প্রচলিত গল্পটি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের একজন রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাজকের ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের একটি ঘটনা নিয়ে।

দিনটিকে ঘিরে সারাদেশেই বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। হোটেল, রেস্তোরাঁ ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে চলছে আকর্ষণীয় অফার। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছে কনসার্টের। থাকছে বিভিন্ন সংগঠনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও।

বিপুল ঐশ্বর্যধারী ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। আর এ বসন্তকে জড়িয়ে ধরেছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। আজকের দিনে তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ প্রিয়জনকে ফুল দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করবেন। তাই সাধারণত ফুলের দোকানগুলোতে অন্যান্য দিনের তুলনায় ভিড় বেশি।

বসন্ত উৎসব (1)

তাইতো ভালোবাসা দিবসে ফুলেল বন্ধনে মেতে উঠেছে রাজধানীর শাহবাগ। তরুণ-তরুণীর সহস্র যুগল ফুলে ফুলে মন সাজিয়ে প্রেম বিনিময় করছেন। শাহবাগের ফুল মার্কেটের ব্যবসায়ীদের ফুল বিক্রির প্রত্যাশা অনেক। তবে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফুল মার্কেটে ক্রেতার ভিড় দেখা গেলেও বিক্রেতারা বলছেন, ফুলের ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি। সবাই ছবি ও সেলফি তোলার জন্য ভিড় করছেন।

প্রতিবছরই ভালোবাসা দিবস বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশেই উদযাপন হচ্ছে বাংলাদেশ। একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে এই দিনটাতে সঙ্গীকে নানারকম উপহার দেওয়ার রীতি আছে। তেমনই আছে নিজেকে চমৎকারভাবে সাজানোর রীতি। যেন প্রিয় মানুষটা আপনাকে দেখে রীতিমতো চমকে যায়, যেন চোখ সরাতে না পারে।

গত দুই বসন্তে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব ছিল করোনা অতিমারীর ব্যাপকতা। তাই, স্বাস্থ্যবিধি মানার বাধ্যবাধকতা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার প্রয়োজনীতার কারণে বসন্তবরণের স্বাভাবিক আয়োজনে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। এবার এ সময়ে করোনা মহামারি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় পুরনো রূপে ফিরছে বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসের সব আয়োজন।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/dm26

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজধানীজুড়ে বসন্তের রঙ

আপডেট সময় : ০৩:০৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

‘মহাশূন্যের কোল থেকে আসা কণ্ঠধ্বনি/স্বপ্নে স্পর্শ/অনুভবে শিহরণ আর সত্তায় অনুরণন/করেছে তোমায় অনুপস্থিত/ওই কাজল কালো আঁখিযুগল/ভেজানো কোমল ঠোঁটের ছোঁয়া-/শিহরণ জাগায় প্রাণে/স্মিতা, তুমি সত্যিই অপরাজিতা’।

কে এ অপরাজিতা! চিরজনমের বাহু-ডোরাবদ্ধ কিংবা হৃদয়বেদীতে যার জন্য থরে থরে সাজানো পূজোর অর্ঘ্য, মোহ আর ভালোবাসার দেবী যে, সেই প্রিয়াই তো! পৃথিবীর তাবৎ বনলতা সেন অথবা মোনালিসা কিংবা মানসীকে উৎসর্গিত তরুণ কবির এ পঙক্তিমালা শুধুই কি মোহ আর মায়াচ্ছলে? নাকি ভালোবাসারও! হ্যাঁ, ভালোবাসারই।

আজ পয়লা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। ঋতুরাজের আগমনী রঙের ছোঁয়া শুধু প্রকৃতিতেই নয়, সেই রঙ লেগেছে সবার মনে। তার ওপর একই দিনে ভালোবাসা দিবস এবং পহেলা ফাগুন।

প্রকৃতিতে আজ কোকিল গান ধরেছে। হাওয়ায় লেগেছে ফাগুনের আগুন। মর্মে জেগেছে দোলা। প্রকৃতির এ অপরূপ আবাহন জানান দিচ্ছে, ঋতুচক্রে বছর ঘুরে আবার এসেছে বসন্ত। রাজধানী ঢাকার পথে পথে আজ হয়তো রক্তির পলাশের শোভা নেই। কোকিলের গান হয়তো হারিয়ে গেছে অজস্র যানবাহনের বিকট হর্নে। তাতে কী, বসন্ত যে আজ সত্যিই দুয়ারে দাঁড়িয়ে। শুধু তাই নয়, আজ ভালোবাসার দিনও। তাইতো বসন্ত আর ভালোবাসার মহামিলন মন্ত্রে মত্ত ফাল্গুনের প্রথম দিন।

বাংলা বর্ষপঞ্জিতে সংশোধনের ফলে ২০২০ সাল থেকে ফাল্গুন মাসের প্রথম দিন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস একই দিনে পড়ছে। পয়লা ফাল্গুন কিংবা বসন্ত যে নামেই ডাকা হোক না কেন, ভালোবাসার উষ্ণতা নিয়েই আজ বসন্ত এসেছে কোটি হৃদয়ের আঙিনায়।

ঋতুচক্রের পালাবদলে সবার শেষে আসে ঋতুরাজ বসন্ত। শীতের রুক্ষতা ঝেড়ে নতুন রূপে আবির্ভূত হয় প্রকৃতি। গাছে গাছে ফোটে ফুল, উঁকি দেয় কচি সবুজ পাতা। পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা বসন্তের দূত কোকিল কুহু কুহু সুর গান ধরে। প্রকৃতির পাশাপাশি মানবমনেও জাগে আনন্দের জোয়ার। প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাসন্তী রঙের শাড়ি-পাঞ্জাবি গায়ে জড়িয়ে ভালোবাসা বিনিময়ে মাতোয়ারা হন প্রেমিক-প্রেমিকারা। পয়লা ফাল্গুনের সঙ্গে ভালোবাসা দিবস যোগ হওয়ায় এ দিনটি দোলা দিয়ে যায় সব বয়সী মানুষের প্রাণে।

বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবস ঘিরে গত কদিন ধরেই ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিশেষত ফুলের দোকানগুলোতে ছিল ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। রাজধানীজুড়ে শুরু হয় উৎসব আমেজ। শাহবাগ, টিএসসি, চন্দ্রিমা উদ্যান কিংবা ধানমন্ডি লেক, রমনা পার্কে বাসন্তী সাজে তরুণ-তরুণীরা এরই মধ্যে বসন্তের উচ্ছ্বাস আর আনন্দ উদযাপন শুরু করেছেন।

বসন্ত উৎসব (7)

এদিকে বসন্তবরণ আর ভালবাসা দিবসে বর্ণিল রূপ ধারণ করেছে বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলা। ভার্চুয়াল দুনিয়াতেও লেগেছে বসন্ত আর ভালোবাসার ছোঁয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে চলছে বসন্তের শুভেচ্ছা বিনিময়। রেস্টুরেন্ট, খাবারের দোকান ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো সেজেছে নিজস্ব ঢঙে। সেসব স্থানে পরিবার-পরিজন নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন নগরবাসী।

প্রায় তিন দশক আগে ১৪০১ বঙ্গাব্দে দেশে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপনের রীতি চালু হয়। তখন থেকেই প্রতিবছর জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ এ উৎসব আয়োজন করে আসছে। রাজধানীতে বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানমালা আরও ব্যাপকতা লাভ করেছে। এর সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে যোগ হয়েছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।

শুধু তরুণ-তরুণী নয়, সব বয়সী মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশের দিন আজ। এ ভালোবাসা যেমন মা-বাবার প্রতি সন্তানের, তেমনই বন্ধুর প্রতি বন্ধুর কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকাদের। প্রায় তিন দশক ধরে এদেশে পশ্চিমা রীতির ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা ভালোবাসা দিবস বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশেই উদযাপন হচ্ছে।

ভালোবাসা দিবস উদযাপনের ইতিহাস নিয়ে প্রচলিত আছে একাধিক কাহিনি। সবচেয়ে বেশি প্রচলিত গল্পটি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের একজন রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাজকের ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের একটি ঘটনা নিয়ে।

দিনটিকে ঘিরে সারাদেশেই বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। হোটেল, রেস্তোরাঁ ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে চলছে আকর্ষণীয় অফার। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছে কনসার্টের। থাকছে বিভিন্ন সংগঠনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও।

বিপুল ঐশ্বর্যধারী ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। আর এ বসন্তকে জড়িয়ে ধরেছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। আজকের দিনে তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ প্রিয়জনকে ফুল দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করবেন। তাই সাধারণত ফুলের দোকানগুলোতে অন্যান্য দিনের তুলনায় ভিড় বেশি।

বসন্ত উৎসব (1)

তাইতো ভালোবাসা দিবসে ফুলেল বন্ধনে মেতে উঠেছে রাজধানীর শাহবাগ। তরুণ-তরুণীর সহস্র যুগল ফুলে ফুলে মন সাজিয়ে প্রেম বিনিময় করছেন। শাহবাগের ফুল মার্কেটের ব্যবসায়ীদের ফুল বিক্রির প্রত্যাশা অনেক। তবে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফুল মার্কেটে ক্রেতার ভিড় দেখা গেলেও বিক্রেতারা বলছেন, ফুলের ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি। সবাই ছবি ও সেলফি তোলার জন্য ভিড় করছেন।

প্রতিবছরই ভালোবাসা দিবস বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশেই উদযাপন হচ্ছে বাংলাদেশ। একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে এই দিনটাতে সঙ্গীকে নানারকম উপহার দেওয়ার রীতি আছে। তেমনই আছে নিজেকে চমৎকারভাবে সাজানোর রীতি। যেন প্রিয় মানুষটা আপনাকে দেখে রীতিমতো চমকে যায়, যেন চোখ সরাতে না পারে।

গত দুই বসন্তে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব ছিল করোনা অতিমারীর ব্যাপকতা। তাই, স্বাস্থ্যবিধি মানার বাধ্যবাধকতা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার প্রয়োজনীতার কারণে বসন্তবরণের স্বাভাবিক আয়োজনে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। এবার এ সময়ে করোনা মহামারি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় পুরনো রূপে ফিরছে বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসের সব আয়োজন।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/dm26