ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৭ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৮ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:২৪ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৬ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২২ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩২ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. ::::

রমজানকে সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র হচ্ছে যানজট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কামাল আতাতুর্ক মিসেল, বিশেষ প্রতিনিধি :

রমজানকে কেন্দ্রে করে সড়কে অতিরিক্ত পণ্যবাহী গাড়ীর চাপ বাড়তে থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র হচ্ছে যানজট। তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকায় ঘরমুখী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে নিত্য বাড়ছে যানজট। দেশের লাইফ লাইন হিসেবে বিবেচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়েই দেশের আমদানি-রপ্তানির ৯০ শতাংশ সমুদ্রপথ দিয়ে হয়ে থাকে। যানজট হলে রপ্তানি পণ্য সঠিক সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। অনেক সময় রপ্তানিকৃত পণ্য জাহাজীকরণ (জাহাজে তুলে দেওয়া) সম্ভব হয় না। তাই গাড়ির মালিকেরা এক-দেড় দিন বেশি সময় নিয়ে ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যানে পণ্য তুলে দিয়েও যানজটের কারণে সঠিক সময়ে গৌন্তবে পৌঁছতে না পারায় কাঁচা ও পচনশীল পণ্য বহনকারী যানবাহনের চালক ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ছেন।

শনিবার সকাল ৭ টায় ট্রাকবোঝাই তরমুজ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করেন ট্রাক চালক মনির হোসেন। তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এসে যানজটে আটকা পড়েন। বেলা ১১টায় মনির হোসেন বাংলা খবর’কে বলেন, তীব্র তাপে তরমুজ থেকে পানি বের হতে শুরু করেছে। অনেক তরমুজই নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি যা আছে তাও মনে হয় নষ্ট হয়ে যাবে। যানজটে আটকা থাকার কারণে নিদিষ্ট সময়ে গৌন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না। দুপুরের মধ্যে চট্টগ্রাম পৌছতে না পারলে বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে বলে জানান তিনি।

ঢাকা থেকে আসা বাসের যাত্রী তানজিনা জানান, সকাল ৮টায় নোয়াখালী যাবার উদ্দেশ্যে গাড়িতে ওঠে দুপুর ১২টায় মেঘনা ব্রিজে এসে পৌঁছেছি। সড়কজুড়ে এলোমেলোভাবে যানবাহন পার্কিং করে রাখায় শেষ দুই কিলোমিটার পার হতে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। প্রায় ৪ ঘণ্টায় মেঘনা ব্রিজে পৌঁছাতে পেড়েছি। দুপুর ২টায় নোয়াখালী থাকার কথা থাকলেও সন্ধ্যা নাগাদ পৌঁছাতে পারব কিনা নিশ্চিত নই।

ফরিদপুর থেকে পেঁয়াজ নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন খলিলুর রহমান। দীর্ঘ সময় মহাসড়কে আটকা থাকায় তার পেঁয়াজে পচন ধরেছে। রোদের উত্তাপ থেকে বাঁচতে মহাসড়কের পাশে দাউদকান্দি এলাকায় একটি গাছের তলায় ট্রাকটি পার্ক করে অপেক্ষা করছেন। খলিলুর রহমান বলেন, পেঁয়াজ সব নষ্ট হইয়া যাইতাছে। বিকাল ৫ টার মধ্যে চট্টগ্রাম পৌঁছতে না পরলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। কিন্তু মহাসড়কে ঠিক কি কারণে যানজট কিছুই বুঝলাম না!

ঢাকা থেকে ব্যাবসায়ীক কাজে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন মো. আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে সকাল ৭টায় তিনি বাসে উঠেছেন। বেলা ১১ টায় দাউদকান্দির মেঘনা-গোমতী সেতু এলাকায় এসে যানজটে আটকা পড়েছেন। ধীরে ধীরে দুপুর ১২টায় তিনি গৌরীপুর পৌঁছেছেন। অথচ অন্যান্য সময় মেঘনা-গোমতী সেতু থেকে গৌরীপুর যেতে ২০ মিনিট লাগে।

স্টার লাইন পরিবহনের বাস চালক শাহাজাহান মিয়া বলেন, শনিরআখড়া থেকে মদনপুর পর্যন্ত গাড়ির অনেক চাপ। যাত্রীবাহী গাড়ির পাশাপাশি মহাসড়কে প্রচুর পরিমাণ পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করায় মহাসড়কে যানজট দীর্ঘ হচ্ছে।

চট্টগ্রামগামী ট্রাকচালক মো. মমতাজ উদ্দিন ও কাভার্ড ভ্যানের চালক মানিক মিয়া বলেন, রমজান মাসকে কেন্দ্রে করে সড়কে পণ্যবাহী গাড়ীর চলাচল বহুলাংশে বেড়েছে। সড়কের এক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ যানজটে বসে থাকায় গরমে শরীর জ্বালাপোড়া করছে।

দাউদকান্দি গোমতী সেতুর টোল প্লাজায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বেড়ে গেছে। পণ্যবাহী গাড়ীগুলো ধীর গতিতে চলাচলের কারণে দীর্ঘ সময় যানজটে ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পণ্যবাহী গাড়ী ধীর গতিতে চলাচল ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং গড়ে ওঠার ফলে অনেক সময় বাস, মাইক্রোবাস, বেবি টেক্সি, রিক্সা মহাসড়কের মাঝপথে থামিয়ে যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উঠানামা করতে হচ্ছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা বিরক্তবোধ করছেন। মহাসড়কের ভবেরচর, দাউদকান্দি, গৌরীপুর, কুটম্বপুর, মাধাইয়া, চান্দিনা, কাঠের পুল, গৌবিন্দপুর, নিমসার, কাবিলা, সৈয়দপুর, কালাকচুয়া, আলেখারচর বিশ্বরোড, পদুয়া বাজার বিশ্বরোড, মিয়ারবাজার প্রভূতি স্থানে অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং স্থান গড়ে উঠেছে। নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া গাড়ী পার্কিং গড়ে তোলা যাবে না এমন আইন শুধুমাত্র কাগজ-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে। বাস্তবে প্রয়োগ করতে গড়িমসি করছে মহাসড়কে কর্তব্যরত হাইওয়ে পুলিশ। আইনের এই অপপ্রয়োগের কারণেই দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম এই মহাসড়কে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। বাড়ছে প্রাণহানী ও পঙ্গুত্ব বরণকারীর সংখ্যা, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন দুর্ঘটনায় পতিত যাত্রী, যানবাহন মালিক ও শ্রমিকেরা।

ওই মহাসড়কে রাজধানী ঢাকার সাথে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম ছাড়াও কুমিল্লা, নোয়াখালি, ফেনী, চাঁদপুর ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোর সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। তাই দেশের সর্বোচ্চ ব্যস্ততম এই মহাসড়কে অত্যাধিক যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু অবৈধভাবে গাড়ী র্পাকিং এভাবে মহাসড়কে ওপর গাড়ী চালকরা স্থান করে নেয়ায় প্রতিদিনই যানজটের কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহুরুল হক বলেন, রমজানের কারণে সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি। এছাড়া পণ্যবাহী গাড়ীগুলো মালামাল নিয়ে ধীরগতিতে চলাচলের কারণে যানজট আরও বেড়েছে। তবে হাইওয়ের ওপর কোন গাড়ি পার্কিং করতে আমরা দিচ্ছি না। অবৈধ পার্কিং ও যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করছে বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে পূর্বাঞ্চলীয় হাইওয়ে পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ গতকাল বলেন, সকাল থেকেই মহাসড়কে গাড়ির বেশ উপস্থিতি ছিল। অতিরিক্ত গাড়ির চাপ থাকলেও মহাসড়কে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে, তবে কোথাও যানজট নেই। তিনি আরও বলেন, মূলতঃ চট্টগ্রামমুখী পণ্যবাহী পরিবহনগুলোর সংখ্যাই বেশি। রপ্তানিমুখী পণ্যবাহী কন্টেইনারের চাপ রয়েছে। মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা ছিল। কোথাও কোথাও চালকের অসচেতনতার জন্য কিছু জটলা তৈরি হলেও তা সহজেই নিরসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বা/খ: এসআর।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/5kn5

নিউজটি শেয়ার করুন

রমজানকে সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র হচ্ছে যানজট

আপডেট সময় : ০৬:২৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

কামাল আতাতুর্ক মিসেল, বিশেষ প্রতিনিধি :

রমজানকে কেন্দ্রে করে সড়কে অতিরিক্ত পণ্যবাহী গাড়ীর চাপ বাড়তে থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র হচ্ছে যানজট। তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকায় ঘরমুখী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে নিত্য বাড়ছে যানজট। দেশের লাইফ লাইন হিসেবে বিবেচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়েই দেশের আমদানি-রপ্তানির ৯০ শতাংশ সমুদ্রপথ দিয়ে হয়ে থাকে। যানজট হলে রপ্তানি পণ্য সঠিক সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। অনেক সময় রপ্তানিকৃত পণ্য জাহাজীকরণ (জাহাজে তুলে দেওয়া) সম্ভব হয় না। তাই গাড়ির মালিকেরা এক-দেড় দিন বেশি সময় নিয়ে ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যানে পণ্য তুলে দিয়েও যানজটের কারণে সঠিক সময়ে গৌন্তবে পৌঁছতে না পারায় কাঁচা ও পচনশীল পণ্য বহনকারী যানবাহনের চালক ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ছেন।

শনিবার সকাল ৭ টায় ট্রাকবোঝাই তরমুজ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করেন ট্রাক চালক মনির হোসেন। তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এসে যানজটে আটকা পড়েন। বেলা ১১টায় মনির হোসেন বাংলা খবর’কে বলেন, তীব্র তাপে তরমুজ থেকে পানি বের হতে শুরু করেছে। অনেক তরমুজই নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি যা আছে তাও মনে হয় নষ্ট হয়ে যাবে। যানজটে আটকা থাকার কারণে নিদিষ্ট সময়ে গৌন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না। দুপুরের মধ্যে চট্টগ্রাম পৌছতে না পারলে বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে বলে জানান তিনি।

ঢাকা থেকে আসা বাসের যাত্রী তানজিনা জানান, সকাল ৮টায় নোয়াখালী যাবার উদ্দেশ্যে গাড়িতে ওঠে দুপুর ১২টায় মেঘনা ব্রিজে এসে পৌঁছেছি। সড়কজুড়ে এলোমেলোভাবে যানবাহন পার্কিং করে রাখায় শেষ দুই কিলোমিটার পার হতে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। প্রায় ৪ ঘণ্টায় মেঘনা ব্রিজে পৌঁছাতে পেড়েছি। দুপুর ২টায় নোয়াখালী থাকার কথা থাকলেও সন্ধ্যা নাগাদ পৌঁছাতে পারব কিনা নিশ্চিত নই।

ফরিদপুর থেকে পেঁয়াজ নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন খলিলুর রহমান। দীর্ঘ সময় মহাসড়কে আটকা থাকায় তার পেঁয়াজে পচন ধরেছে। রোদের উত্তাপ থেকে বাঁচতে মহাসড়কের পাশে দাউদকান্দি এলাকায় একটি গাছের তলায় ট্রাকটি পার্ক করে অপেক্ষা করছেন। খলিলুর রহমান বলেন, পেঁয়াজ সব নষ্ট হইয়া যাইতাছে। বিকাল ৫ টার মধ্যে চট্টগ্রাম পৌঁছতে না পরলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। কিন্তু মহাসড়কে ঠিক কি কারণে যানজট কিছুই বুঝলাম না!

ঢাকা থেকে ব্যাবসায়ীক কাজে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন মো. আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে সকাল ৭টায় তিনি বাসে উঠেছেন। বেলা ১১ টায় দাউদকান্দির মেঘনা-গোমতী সেতু এলাকায় এসে যানজটে আটকা পড়েছেন। ধীরে ধীরে দুপুর ১২টায় তিনি গৌরীপুর পৌঁছেছেন। অথচ অন্যান্য সময় মেঘনা-গোমতী সেতু থেকে গৌরীপুর যেতে ২০ মিনিট লাগে।

স্টার লাইন পরিবহনের বাস চালক শাহাজাহান মিয়া বলেন, শনিরআখড়া থেকে মদনপুর পর্যন্ত গাড়ির অনেক চাপ। যাত্রীবাহী গাড়ির পাশাপাশি মহাসড়কে প্রচুর পরিমাণ পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করায় মহাসড়কে যানজট দীর্ঘ হচ্ছে।

চট্টগ্রামগামী ট্রাকচালক মো. মমতাজ উদ্দিন ও কাভার্ড ভ্যানের চালক মানিক মিয়া বলেন, রমজান মাসকে কেন্দ্রে করে সড়কে পণ্যবাহী গাড়ীর চলাচল বহুলাংশে বেড়েছে। সড়কের এক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ যানজটে বসে থাকায় গরমে শরীর জ্বালাপোড়া করছে।

দাউদকান্দি গোমতী সেতুর টোল প্লাজায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বেড়ে গেছে। পণ্যবাহী গাড়ীগুলো ধীর গতিতে চলাচলের কারণে দীর্ঘ সময় যানজটে ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পণ্যবাহী গাড়ী ধীর গতিতে চলাচল ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং গড়ে ওঠার ফলে অনেক সময় বাস, মাইক্রোবাস, বেবি টেক্সি, রিক্সা মহাসড়কের মাঝপথে থামিয়ে যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উঠানামা করতে হচ্ছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা বিরক্তবোধ করছেন। মহাসড়কের ভবেরচর, দাউদকান্দি, গৌরীপুর, কুটম্বপুর, মাধাইয়া, চান্দিনা, কাঠের পুল, গৌবিন্দপুর, নিমসার, কাবিলা, সৈয়দপুর, কালাকচুয়া, আলেখারচর বিশ্বরোড, পদুয়া বাজার বিশ্বরোড, মিয়ারবাজার প্রভূতি স্থানে অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং স্থান গড়ে উঠেছে। নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া গাড়ী পার্কিং গড়ে তোলা যাবে না এমন আইন শুধুমাত্র কাগজ-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে। বাস্তবে প্রয়োগ করতে গড়িমসি করছে মহাসড়কে কর্তব্যরত হাইওয়ে পুলিশ। আইনের এই অপপ্রয়োগের কারণেই দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম এই মহাসড়কে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। বাড়ছে প্রাণহানী ও পঙ্গুত্ব বরণকারীর সংখ্যা, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন দুর্ঘটনায় পতিত যাত্রী, যানবাহন মালিক ও শ্রমিকেরা।

ওই মহাসড়কে রাজধানী ঢাকার সাথে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম ছাড়াও কুমিল্লা, নোয়াখালি, ফেনী, চাঁদপুর ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোর সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। তাই দেশের সর্বোচ্চ ব্যস্ততম এই মহাসড়কে অত্যাধিক যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু অবৈধভাবে গাড়ী র্পাকিং এভাবে মহাসড়কে ওপর গাড়ী চালকরা স্থান করে নেয়ায় প্রতিদিনই যানজটের কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহুরুল হক বলেন, রমজানের কারণে সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি। এছাড়া পণ্যবাহী গাড়ীগুলো মালামাল নিয়ে ধীরগতিতে চলাচলের কারণে যানজট আরও বেড়েছে। তবে হাইওয়ের ওপর কোন গাড়ি পার্কিং করতে আমরা দিচ্ছি না। অবৈধ পার্কিং ও যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করছে বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে পূর্বাঞ্চলীয় হাইওয়ে পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ গতকাল বলেন, সকাল থেকেই মহাসড়কে গাড়ির বেশ উপস্থিতি ছিল। অতিরিক্ত গাড়ির চাপ থাকলেও মহাসড়কে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে, তবে কোথাও যানজট নেই। তিনি আরও বলেন, মূলতঃ চট্টগ্রামমুখী পণ্যবাহী পরিবহনগুলোর সংখ্যাই বেশি। রপ্তানিমুখী পণ্যবাহী কন্টেইনারের চাপ রয়েছে। মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা ছিল। কোথাও কোথাও চালকের অসচেতনতার জন্য কিছু জটলা তৈরি হলেও তা সহজেই নিরসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বা/খ: এসআর।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/5kn5