ঢাকা ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রফতানি আয় কমেছে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪১:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় চলতি বছরের অক্টোবরে রফতানি আয় কমেছে। চলতি বছরের অক্টোবরে ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য অন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি হয়েছে। যা ২০২১ সালের অক্টোবরে ছিল ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

সে হিসাবে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের তুলনায় ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ৩৭ কোটি ৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রফতানি আয় কমেছে। যা শতাংশের হিসেবে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

আজ বুধবার (২ নভেম্বরর) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে সরকারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ রফতানি আয় কমেছে ২০২২ সালের অক্টোবরে। এই মাসে রফতানি আয় খাতে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। সেখানে রফতানি হয়েছে মাত্র ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার ইউএস ডলারের। অর্থাৎ ৬৪ কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার কম হয়েছে। যা শতাংশের হিসাবে প্রায় ১৩ শতাংশ।

এর ফলে ১৩ মাস টানা রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধির পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর টানা দুই মাস তার আগের বছরের তুলনায় রফতানি আয় কমলো।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় কমতে শুরু করেছে বাংলাদেশের রফতানি আয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক বেড়েছে। এ কারণে তারা পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছে। খাদ্যের পেছনেই অনেক বেশি খরচ করতে হচ্ছে তাদের। সে কারণে বাংলাদেশের রফতানি আয় কমছে।

অবশ্য তৈরি পোশাক মালিকসহ অন্য ব্যবসায়ীরা আগেই শঙ্কা প্রকাশ করছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজার থেকে ক্রয় আদেশ কমে যাবে। ফলে দেশের রফতানি আয়ও কমে আসবে।

ইপিবির তথ্য মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই থেকে অক্টোবর) বিশ্ববাজারে দেশের পণ্য রফতানি হয়েছে ১ হাজার ৬৮৫ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ইউএস ডলারের। এই চার মাসে সরকারের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭৪২ কোটি ইউএস ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৬ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার ইউএস ডলার বা ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ কম হয়েছে।

তবে একটু এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের একই সময়ে সঙ্গে তুলনা করলে এখনো রফতানি আয়ের হার পজেটিভ রয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর সময় পর্যন্ত রফতানি আয় হয়েছিল ১ হাজার ৫৭৪ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ইউএস ডলার। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় এখনো ৭ দশমিক ১ শতাংশ রফতানি আয়ে বেড়েছে।

ইপিএসের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম রফতানি আয়ে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। সেই মাসে বাংলাদেশ ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ (৩ দশমিক ৯০ বিলিয়ন) ৭ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি করেছিল। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রফতানি আয় হয়েছিল ৪১৬ কোটি ৫৪ লাখ ৫ ডলারের পণ্য।

একক মাসে হিসেবে সেপ্টেম্বর মাসে রফতানি আয় কমেছে। কিন্তু আগের দুই মাস জুলাই-আগস্টে আয় বেড়েছিল। সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এক হাজার ২৪৯ কোটি ৬৮ লাখ ৯ হাজার ডলারের পণ্য বিদেশে রফতানি করেছে বাংলাদেশ।

২০২১ সালের প্রথম তিন মাসের রফতানি আয় ছিল এক হাজার ১০২ কোটি ১৯ লাখ ৫ হাজার ডলার। সেই তুলনায় তুলনায় ২০২২ সালের একই সময়ে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

রফতানি আয় কমেছে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ

আপডেট সময় : ০৫:৪১:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় চলতি বছরের অক্টোবরে রফতানি আয় কমেছে। চলতি বছরের অক্টোবরে ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য অন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি হয়েছে। যা ২০২১ সালের অক্টোবরে ছিল ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

সে হিসাবে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের তুলনায় ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ৩৭ কোটি ৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রফতানি আয় কমেছে। যা শতাংশের হিসেবে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

আজ বুধবার (২ নভেম্বরর) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে সরকারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ রফতানি আয় কমেছে ২০২২ সালের অক্টোবরে। এই মাসে রফতানি আয় খাতে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। সেখানে রফতানি হয়েছে মাত্র ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার ইউএস ডলারের। অর্থাৎ ৬৪ কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার কম হয়েছে। যা শতাংশের হিসাবে প্রায় ১৩ শতাংশ।

এর ফলে ১৩ মাস টানা রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধির পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর টানা দুই মাস তার আগের বছরের তুলনায় রফতানি আয় কমলো।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় কমতে শুরু করেছে বাংলাদেশের রফতানি আয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক বেড়েছে। এ কারণে তারা পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছে। খাদ্যের পেছনেই অনেক বেশি খরচ করতে হচ্ছে তাদের। সে কারণে বাংলাদেশের রফতানি আয় কমছে।

অবশ্য তৈরি পোশাক মালিকসহ অন্য ব্যবসায়ীরা আগেই শঙ্কা প্রকাশ করছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজার থেকে ক্রয় আদেশ কমে যাবে। ফলে দেশের রফতানি আয়ও কমে আসবে।

ইপিবির তথ্য মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই থেকে অক্টোবর) বিশ্ববাজারে দেশের পণ্য রফতানি হয়েছে ১ হাজার ৬৮৫ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ইউএস ডলারের। এই চার মাসে সরকারের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭৪২ কোটি ইউএস ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৬ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার ইউএস ডলার বা ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ কম হয়েছে।

তবে একটু এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের একই সময়ে সঙ্গে তুলনা করলে এখনো রফতানি আয়ের হার পজেটিভ রয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর সময় পর্যন্ত রফতানি আয় হয়েছিল ১ হাজার ৫৭৪ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ইউএস ডলার। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় এখনো ৭ দশমিক ১ শতাংশ রফতানি আয়ে বেড়েছে।

ইপিএসের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম রফতানি আয়ে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। সেই মাসে বাংলাদেশ ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ (৩ দশমিক ৯০ বিলিয়ন) ৭ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি করেছিল। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রফতানি আয় হয়েছিল ৪১৬ কোটি ৫৪ লাখ ৫ ডলারের পণ্য।

একক মাসে হিসেবে সেপ্টেম্বর মাসে রফতানি আয় কমেছে। কিন্তু আগের দুই মাস জুলাই-আগস্টে আয় বেড়েছিল। সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এক হাজার ২৪৯ কোটি ৬৮ লাখ ৯ হাজার ডলারের পণ্য বিদেশে রফতানি করেছে বাংলাদেশ।

২০২১ সালের প্রথম তিন মাসের রফতানি আয় ছিল এক হাজার ১০২ কোটি ১৯ লাখ ৫ হাজার ডলার। সেই তুলনায় তুলনায় ২০২২ সালের একই সময়ে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ।