ঢাকা ০৪:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রক্তাক্ত হাতে খাবার খেতে খেতেই জিয়া ফাঁসির আদেশে স্বাক্ষর করতেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:২১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
  • / ৪১৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, খুনি জিয়া রক্তাক্ত হাতেই খাবার খেতে বসতেন এবং খেতে খেতে ফাঁসির আদেশে স্বাক্ষর করতেন। জিয়ার নির্দেশে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে, যা স্বাধীন দেশের জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায়। স্বাধীনতা বিরোধীদের ছেড়ে দিয়ে প্রমাণ করেছে, সে পরাজিত শক্তির দালাল ছিল।

মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় জিয়াউর রহমান বিশ্বাস করতেন না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়ার সাড়ে ৫ বছরের শাসনামলে ২১টি ক্যু/পাল্টা ক্যু হয়। লে. কর্নেল তাহেরকে সে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছিল। সার্বিক প্রেক্ষাপটে জিয়া অত্যন্ত হিংস্র ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল।

বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজশাহী-৩ আসনের মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

অ্যান্থনি মাসকারেনাহাসের ‘বাংলাদেশ লিগ্যাসি অব ব্লাড’ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘সরকারি হিসাবমতে জিয়া ১৯৭৭ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র দুমাসের মধ্যে ১১৪৩ জন সৈনিককে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল।’

আসাদুজ্জামান আসাদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে একাধারে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন। ইতিহাসের এই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডে জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল। খুনি ফারুক-রশিদরা আগে থেকেই জাতির পিতাকে হত্যার পরিকল্পনা করে যেটা জিয়া জানতো। জিয়া সেনা ছাউনিতে বসে দলছুট রাজনীতিবিদদের নিয়ে বিএনপি গঠন করে। তিনি যেমন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন, তেমনি অবৈধভাবে বিএনপি সৃষ্টি করেন।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. আবদুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, ই-বর্জ্য ব্যবহার ও সঠিকভাবে রিসাইকেল করার লক্ষ্যে সরকার একটি কার্যকর নীতিমালা গ্রহণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান ও পরে অংশীজনের মতামত গ্রহণের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। ই-বর্জ্য রিসাইকেলের জন্য প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

ভোলা-২ আসনের আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ৫৭৫টি ইউনিটের মাধ্যমে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ২৭৪ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি শনাক্ত করে নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র (সুবর্ণ নাগরিক কার্ড) দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নারী প্রতিবন্ধী ১৩ লাখ ১২ হাজার ৫৯৪ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

রক্তাক্ত হাতে খাবার খেতে খেতেই জিয়া ফাঁসির আদেশে স্বাক্ষর করতেন

আপডেট সময় : ১১:২১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, খুনি জিয়া রক্তাক্ত হাতেই খাবার খেতে বসতেন এবং খেতে খেতে ফাঁসির আদেশে স্বাক্ষর করতেন। জিয়ার নির্দেশে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে, যা স্বাধীন দেশের জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায়। স্বাধীনতা বিরোধীদের ছেড়ে দিয়ে প্রমাণ করেছে, সে পরাজিত শক্তির দালাল ছিল।

মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় জিয়াউর রহমান বিশ্বাস করতেন না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়ার সাড়ে ৫ বছরের শাসনামলে ২১টি ক্যু/পাল্টা ক্যু হয়। লে. কর্নেল তাহেরকে সে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছিল। সার্বিক প্রেক্ষাপটে জিয়া অত্যন্ত হিংস্র ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল।

বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজশাহী-৩ আসনের মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

অ্যান্থনি মাসকারেনাহাসের ‘বাংলাদেশ লিগ্যাসি অব ব্লাড’ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘সরকারি হিসাবমতে জিয়া ১৯৭৭ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র দুমাসের মধ্যে ১১৪৩ জন সৈনিককে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল।’

আসাদুজ্জামান আসাদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে একাধারে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন। ইতিহাসের এই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডে জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল। খুনি ফারুক-রশিদরা আগে থেকেই জাতির পিতাকে হত্যার পরিকল্পনা করে যেটা জিয়া জানতো। জিয়া সেনা ছাউনিতে বসে দলছুট রাজনীতিবিদদের নিয়ে বিএনপি গঠন করে। তিনি যেমন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন, তেমনি অবৈধভাবে বিএনপি সৃষ্টি করেন।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. আবদুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, ই-বর্জ্য ব্যবহার ও সঠিকভাবে রিসাইকেল করার লক্ষ্যে সরকার একটি কার্যকর নীতিমালা গ্রহণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান ও পরে অংশীজনের মতামত গ্রহণের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। ই-বর্জ্য রিসাইকেলের জন্য প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

ভোলা-২ আসনের আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ৫৭৫টি ইউনিটের মাধ্যমে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ২৭৪ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি শনাক্ত করে নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র (সুবর্ণ নাগরিক কার্ড) দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নারী প্রতিবন্ধী ১৩ লাখ ১২ হাজার ৫৯৪ জন।