ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যশোরের মানুষ প্রস্তুত হন, ডিসেম্বরে খেলা হবে: ওবায়দুল কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোর ব্যুরো অফিস : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যশোর ও খুলনার মানুষ প্রস্তুত হন, বিএনপির সঙ্গে ডিসেম্বরে খেলা হবে। খেলা হবে তাদের দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে যশোর শহরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু, মধুমতী সেতু করেছেন। এখন ঢাকা থেকে যশোর আসতে লাগে আড়াই ঘণ্টা, আগে লাগতো আট ঘণ্টা। যশোরের মহাসমাবেশ মহাসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এখানে এক মহাসমুদ্র, বাইরে আরেক মহাসমুদ্র।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল এখন বড় বড় কথা বলছেন। গণতন্ত্র হত্যাকারী। উনাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি শোভা যায় না। তিনি কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলেন? বিএনপি কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে? আইনের শাসনের কথা বলে? বিএনপি কোন মুখে নির্যাতনের কথা বলে?

তিনি বলেন, বিএনপি বেইমানের দল, বিশ্বাসঘাতকের দল। এরা ১৫ আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। খুনি জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছে। খুনিদের দায়মুক্তির জন্য আইন করেছে, এরা খুনি, এরা ঘাতক। এরা ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে। এরা ২১ আগস্ট আমাদের নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। এরা কারা? বাংলাদেশ নালিশ পার্টি, যেটা বিএনপির আরেক নাম। পলাশীর সেনাপতি ইয়ার লতিফ, আর পঁচাত্তরের বাংলাদেশে ১৫ আগস্টে বাংলাদেশের সেনাপতি জিয়া। বিশ্বাসঘাতকের অপর নাম জিয়াউর রহমান। সে যদি এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে না থাকতো, কারও সাহস ছিল না বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহরে বড় বড় লোকেরা বাড়ির সামনে কুকুর রাখেন, সেই কুকুর থেকে সাবধান। আমরা বলি বিএনপি থেকে সাবধান। তারা যখন ক্ষমতায় যখন ছিল তখন বিদ্যুৎ গিলেছে, রিজার্ভ গিলেছে, গণতন্ত্র গিলেছে, ভোট চুরি করেছে। ক্ষমতায় যখন ছিল এই বিএনপি হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। বিএনপি বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধুলায় লুণ্ঠিত করেছে। স্বাধীনতার আদর্শকে তারা ধুলায় পদদলিত করেছে। এই সেই বিএনপি, তারা যদি আরেকবার ক্ষমতায় আসতে পারে, গোটা দেশ গিলে খাবে।

যশোর-খুলনা মহাসড়কের দূরাবস্থা, খানাখন্দ ভরা রাস্তা ঠিক করতে একমাসের আল্টিমেটাম দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি ইঞ্জিনিয়ারদের বলছি, যশোর খুলনার রাস্তা ঠিক না হলে খবর আছে।

বিএনপি খুলনায় মঞ্জুরুল ইমাম, মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালু, যশোরের শামসুর রহমান কেবলকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ছাড় দিয়েছেন। কিন্তু আগুন নিয়ে এলে খেলা হবে, আমরা ছাড় দেব না। যশোরের মানুষ, খুলনার মানুষ প্রস্তুত হয়ে যান, খেলা হবে।
কাদের বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে, মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। উন্নয়নের জন্যে আরেকবার দরকার, শেখ হাসিনার সরকার।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে জনসভা শুরু হয়। এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান ও ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

যশোরের মানুষ প্রস্তুত হন, ডিসেম্বরে খেলা হবে: ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

যশোর ব্যুরো অফিস : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যশোর ও খুলনার মানুষ প্রস্তুত হন, বিএনপির সঙ্গে ডিসেম্বরে খেলা হবে। খেলা হবে তাদের দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে যশোর শহরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু, মধুমতী সেতু করেছেন। এখন ঢাকা থেকে যশোর আসতে লাগে আড়াই ঘণ্টা, আগে লাগতো আট ঘণ্টা। যশোরের মহাসমাবেশ মহাসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এখানে এক মহাসমুদ্র, বাইরে আরেক মহাসমুদ্র।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল এখন বড় বড় কথা বলছেন। গণতন্ত্র হত্যাকারী। উনাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি শোভা যায় না। তিনি কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলেন? বিএনপি কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে? আইনের শাসনের কথা বলে? বিএনপি কোন মুখে নির্যাতনের কথা বলে?

তিনি বলেন, বিএনপি বেইমানের দল, বিশ্বাসঘাতকের দল। এরা ১৫ আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। খুনি জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছে। খুনিদের দায়মুক্তির জন্য আইন করেছে, এরা খুনি, এরা ঘাতক। এরা ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে। এরা ২১ আগস্ট আমাদের নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। এরা কারা? বাংলাদেশ নালিশ পার্টি, যেটা বিএনপির আরেক নাম। পলাশীর সেনাপতি ইয়ার লতিফ, আর পঁচাত্তরের বাংলাদেশে ১৫ আগস্টে বাংলাদেশের সেনাপতি জিয়া। বিশ্বাসঘাতকের অপর নাম জিয়াউর রহমান। সে যদি এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে না থাকতো, কারও সাহস ছিল না বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহরে বড় বড় লোকেরা বাড়ির সামনে কুকুর রাখেন, সেই কুকুর থেকে সাবধান। আমরা বলি বিএনপি থেকে সাবধান। তারা যখন ক্ষমতায় যখন ছিল তখন বিদ্যুৎ গিলেছে, রিজার্ভ গিলেছে, গণতন্ত্র গিলেছে, ভোট চুরি করেছে। ক্ষমতায় যখন ছিল এই বিএনপি হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। বিএনপি বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধুলায় লুণ্ঠিত করেছে। স্বাধীনতার আদর্শকে তারা ধুলায় পদদলিত করেছে। এই সেই বিএনপি, তারা যদি আরেকবার ক্ষমতায় আসতে পারে, গোটা দেশ গিলে খাবে।

যশোর-খুলনা মহাসড়কের দূরাবস্থা, খানাখন্দ ভরা রাস্তা ঠিক করতে একমাসের আল্টিমেটাম দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি ইঞ্জিনিয়ারদের বলছি, যশোর খুলনার রাস্তা ঠিক না হলে খবর আছে।

বিএনপি খুলনায় মঞ্জুরুল ইমাম, মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালু, যশোরের শামসুর রহমান কেবলকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ছাড় দিয়েছেন। কিন্তু আগুন নিয়ে এলে খেলা হবে, আমরা ছাড় দেব না। যশোরের মানুষ, খুলনার মানুষ প্রস্তুত হয়ে যান, খেলা হবে।
কাদের বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে, মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। উন্নয়নের জন্যে আরেকবার দরকার, শেখ হাসিনার সরকার।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে জনসভা শুরু হয়। এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান ও ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।