ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মোবাইলে বিজয় কিবোর্ড বাধ্যতামূলক করা ভয়ংকর দুর্নীতি: ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২২:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মোবাইল ফোনে বিজয় কিবোর্ড বাধ্যতামূলক ব্যবহারের নির্দেশনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিজয় কিবোর্ড মোবাইল ফোনে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। কারণ এর মালিক মোস্তাফা জব্বার একজন মন্ত্রী। কোনো মন্ত্রীর কোম্পানি সরকারের লাভজনক প্রক্রিয়ায় জড়িত হওয়া- এটা ভয়ংকর দুর্নীতি।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পত্রিকায় দেখলাম লন্ডনে বেশি বাড়ি কিনেছেন বাংলাদেশিরা। এরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের সুবিধাভোগী, লুটেরা। যাদের চপ্পল ছিল না পায়ে, তারা এখন রোডমাস্টার নিয়ে ঘুরে বেড়ান। আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেছেন।

এ সময় ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের বিষয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এই সংগঠনের মাধ্যমে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মায়ের কান্না’- এরা কারা? ১৯৭৭ সালে বিমানবাহিনীতে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় সামরিক আদালতে বিচার হওয়া ঘটনা এগুলো। ১৯৭৭ থেকে ২০২৩ সাল এখন, কোথায় ছিলেন এতদিন? সশস্ত্র বাহিনীতে বিদ্রোহ হলে সামরিক আদালতে বিচার হওয়া এটা স্বাভাবিক। জিয়াউর রহমানকে ভিলেন বানানোর জন্য এখন এসব কথা বলে লাভ হবে না।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, যেমন করে হোক আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় যেতে চায়। তবে এখন মানুষ জেগে উঠেছে। আমরা দেখেছি মানুষ এই সরকারের পতন দেখতে চায়। আমাদের মা-বাবা, ভাই-বোনদের রক্ত-অশ্রু বৃথা যাবে না। জেল-জুলুম উপেক্ষা করে বিজয় অর্জন না করে ঘরে ফিরবো না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখন গণতন্ত্র উধাও হয়ে যায়। ৭৫-এর আগেও গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল, জিয়াউর রহমান এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে আওয়ামী লীগ দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরেছে, তারাই আবারও ক্ষমতায় যেতে চায়। মানুষ জেগে উঠেছে। আমরা দেখেছি মানুষ এই সরকারের পতন দেখতে চায়। আমাদের মা-বাবা ভাই-বোনদের রক্ত অশ্রু বৃথা যাবে না। জেল-জুলুম উপেক্ষা করে বিজয় অর্জন না করে ঘরে ফিরব না।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন এ্যানির সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন দলটির বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, মঈন খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, শাহাজাহান ওমর, আহমেদ আজম, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

মোবাইলে বিজয় কিবোর্ড বাধ্যতামূলক করা ভয়ংকর দুর্নীতি: ফখরুল

আপডেট সময় : ১১:২২:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মোবাইল ফোনে বিজয় কিবোর্ড বাধ্যতামূলক ব্যবহারের নির্দেশনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিজয় কিবোর্ড মোবাইল ফোনে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। কারণ এর মালিক মোস্তাফা জব্বার একজন মন্ত্রী। কোনো মন্ত্রীর কোম্পানি সরকারের লাভজনক প্রক্রিয়ায় জড়িত হওয়া- এটা ভয়ংকর দুর্নীতি।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পত্রিকায় দেখলাম লন্ডনে বেশি বাড়ি কিনেছেন বাংলাদেশিরা। এরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের সুবিধাভোগী, লুটেরা। যাদের চপ্পল ছিল না পায়ে, তারা এখন রোডমাস্টার নিয়ে ঘুরে বেড়ান। আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেছেন।

এ সময় ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের বিষয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এই সংগঠনের মাধ্যমে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মায়ের কান্না’- এরা কারা? ১৯৭৭ সালে বিমানবাহিনীতে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় সামরিক আদালতে বিচার হওয়া ঘটনা এগুলো। ১৯৭৭ থেকে ২০২৩ সাল এখন, কোথায় ছিলেন এতদিন? সশস্ত্র বাহিনীতে বিদ্রোহ হলে সামরিক আদালতে বিচার হওয়া এটা স্বাভাবিক। জিয়াউর রহমানকে ভিলেন বানানোর জন্য এখন এসব কথা বলে লাভ হবে না।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, যেমন করে হোক আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় যেতে চায়। তবে এখন মানুষ জেগে উঠেছে। আমরা দেখেছি মানুষ এই সরকারের পতন দেখতে চায়। আমাদের মা-বাবা, ভাই-বোনদের রক্ত-অশ্রু বৃথা যাবে না। জেল-জুলুম উপেক্ষা করে বিজয় অর্জন না করে ঘরে ফিরবো না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখন গণতন্ত্র উধাও হয়ে যায়। ৭৫-এর আগেও গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল, জিয়াউর রহমান এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে আওয়ামী লীগ দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরেছে, তারাই আবারও ক্ষমতায় যেতে চায়। মানুষ জেগে উঠেছে। আমরা দেখেছি মানুষ এই সরকারের পতন দেখতে চায়। আমাদের মা-বাবা ভাই-বোনদের রক্ত অশ্রু বৃথা যাবে না। জেল-জুলুম উপেক্ষা করে বিজয় অর্জন না করে ঘরে ফিরব না।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন এ্যানির সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন দলটির বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, মঈন খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, শাহাজাহান ওমর, আহমেদ আজম, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।