ঢাকা ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মেসির ‌‘হার্টব্রেকে’র রাতে আর্জেন্টিনার জয়

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
  • / ৪২৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বের চিলির বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ সময়ে উতরে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মেসি অ্যান্ড কোং বাহিনী। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে লাউতারো মার্টিনেজের গোলে জয় পান স্কালোনির শিষ্যরা। ফলে এক ম্যাচ আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো আর্জেন্টিনা। বলা চলে, তীব্র প্রতিদ্বন্দিতার মুখে মেসি বাহিনী তিন পয়েন্ট নিয়ে পালাতে সক্ষম হলো।

মঙ্গলবার রাতে দুই দক্ষিণ আমেরিকান হেভিওয়েট নিউইয়র্কের বাইরে মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফিরে আসেন। লিওনেল মেসির সবচেয়ে বড় হার্টব্রেকগুলো একটি স্টেডিয়াম। আট বছর আগে ওই রাতেই জাতীয় দল থেকে সাময়িক অবসর নেন তিনি।

এদিন ৮১ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে আর্জেন্টিনা গ্রুপ গেমে তাদের দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়।

পুরো ম্যাচ একচেটিয়া খেলেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সামনে যেন চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন চিলির গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো। চিলিও বেশ কিছু দারুণ গোলের সুযোগ পেয়েছিলো। নিশ্চিত গোল থেকে আর্জেন্টিনাকে বাঁচান গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

চিলির বিপক্ষে প্রথমার্ধে ডান পায়ে আঘাত পান মেসি, যার কারণে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি তিনি। ম্যাচের ২৪ মিনিটে চিলির সুয়াজো বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের ডান পায়ে ট্যাকেল করেন। এতে কিছুক্ষণের জন্য মাঠের বাইরে যেতে হয় মেসিকে। যদিও অল্প সময়ের মধ্যেই মাঠে ফেরেন তিনি। তবে পুরো ম্যাচই অস্বস্তি নিয়ে খেলেছেন মেসি।

মেসি বলেন, ‘চোটের কারণে কিছুটা বিরক্ত লাগছিলো তবুও ম্যাচটা শেষ করেছি। আমি আশা করছি এটা বড় কোনো সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না। অস্বস্তির কারণে পুরোপুরিভাবে নিজের স্বাধীন মতো খেলতে পারছিলাম না। দেখা যাক আগামী দিনগুলো কিভাবে যায়, কত দ্রুত আমি সেরে উঠতে পারি।’

তবে, লিওনেল মেসিদের সয়লাব শেষ পর্যন্ত রুখতে পারেননি ক্লদিও ব্রাভো। ৮৮তম মিনিটে মেসির নেয়া কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বল ক্লিয়ার করলেও ফিরতি বলে দারুণ এক শটে চিলির জালে জড়িয়ে দেন পরিবর্তিত হিসেবে মাঠে নামা লওতারো মার্টিনেজ।

বিপরীতে চিলিকে সেই অর্থে সুযোগই দেয়নি আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠে রদ্রিগো ডি পল আর ডিফেন্সে রোমেরো-লিসান্দ্রো মার্টিনেজ জুটি ঠেকিয়েছে একের পর এক আক্রমণ। শেষদিকে আনহেল ডি মারিয়া মাঠে নামলে গতি পায় আলবিসেলেস্তেদের আক্রমণ। যোগ করা সময়ে ৪র্থ মিনিটে এই ডি মারিয়াই সহজ এক সুযোগ তৈরি করে দেন লাউতারোর উদ্দেশে। যদিও সেই সুযোগ অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দেন চিলি গোলরক্ষক।

আলবিসেলেস্তেদের পরের ম্যাচ পেরুর বিপক্ষে। ৩০ জুন মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে গ্রুপের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

মেসির ‌‘হার্টব্রেকে’র রাতে আর্জেন্টিনার জয়

আপডেট সময় : ০২:০৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বের চিলির বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ সময়ে উতরে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মেসি অ্যান্ড কোং বাহিনী। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে লাউতারো মার্টিনেজের গোলে জয় পান স্কালোনির শিষ্যরা। ফলে এক ম্যাচ আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো আর্জেন্টিনা। বলা চলে, তীব্র প্রতিদ্বন্দিতার মুখে মেসি বাহিনী তিন পয়েন্ট নিয়ে পালাতে সক্ষম হলো।

মঙ্গলবার রাতে দুই দক্ষিণ আমেরিকান হেভিওয়েট নিউইয়র্কের বাইরে মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফিরে আসেন। লিওনেল মেসির সবচেয়ে বড় হার্টব্রেকগুলো একটি স্টেডিয়াম। আট বছর আগে ওই রাতেই জাতীয় দল থেকে সাময়িক অবসর নেন তিনি।

এদিন ৮১ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে আর্জেন্টিনা গ্রুপ গেমে তাদের দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়।

পুরো ম্যাচ একচেটিয়া খেলেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সামনে যেন চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন চিলির গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো। চিলিও বেশ কিছু দারুণ গোলের সুযোগ পেয়েছিলো। নিশ্চিত গোল থেকে আর্জেন্টিনাকে বাঁচান গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

চিলির বিপক্ষে প্রথমার্ধে ডান পায়ে আঘাত পান মেসি, যার কারণে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি তিনি। ম্যাচের ২৪ মিনিটে চিলির সুয়াজো বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের ডান পায়ে ট্যাকেল করেন। এতে কিছুক্ষণের জন্য মাঠের বাইরে যেতে হয় মেসিকে। যদিও অল্প সময়ের মধ্যেই মাঠে ফেরেন তিনি। তবে পুরো ম্যাচই অস্বস্তি নিয়ে খেলেছেন মেসি।

মেসি বলেন, ‘চোটের কারণে কিছুটা বিরক্ত লাগছিলো তবুও ম্যাচটা শেষ করেছি। আমি আশা করছি এটা বড় কোনো সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না। অস্বস্তির কারণে পুরোপুরিভাবে নিজের স্বাধীন মতো খেলতে পারছিলাম না। দেখা যাক আগামী দিনগুলো কিভাবে যায়, কত দ্রুত আমি সেরে উঠতে পারি।’

তবে, লিওনেল মেসিদের সয়লাব শেষ পর্যন্ত রুখতে পারেননি ক্লদিও ব্রাভো। ৮৮তম মিনিটে মেসির নেয়া কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বল ক্লিয়ার করলেও ফিরতি বলে দারুণ এক শটে চিলির জালে জড়িয়ে দেন পরিবর্তিত হিসেবে মাঠে নামা লওতারো মার্টিনেজ।

বিপরীতে চিলিকে সেই অর্থে সুযোগই দেয়নি আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠে রদ্রিগো ডি পল আর ডিফেন্সে রোমেরো-লিসান্দ্রো মার্টিনেজ জুটি ঠেকিয়েছে একের পর এক আক্রমণ। শেষদিকে আনহেল ডি মারিয়া মাঠে নামলে গতি পায় আলবিসেলেস্তেদের আক্রমণ। যোগ করা সময়ে ৪র্থ মিনিটে এই ডি মারিয়াই সহজ এক সুযোগ তৈরি করে দেন লাউতারোর উদ্দেশে। যদিও সেই সুযোগ অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দেন চিলি গোলরক্ষক।

আলবিসেলেস্তেদের পরের ম্যাচ পেরুর বিপক্ষে। ৩০ জুন মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে গ্রুপের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে তারা।