ঢাকা ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মুজিব হত্যার নেপথ্যে কারা তদন্তে কমিশন কেন নয়, হাইকোর্টের রুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের খুঁজে বের করতে স্বাধীন কমিশন গঠনের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

এ রিট শুনানিতে মোট ২২ বার সময় নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। সোমবারও রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাইলে আদালত তা নাকচ করে দেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাসের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. আসফাকোজ্জোহা এ রিট দায়ের করেন।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব সচিব, আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে সপরিবারে খুন করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এ ঘটনায় সরাসরি জড়িতদের বিচার হলেও নেপথ্যের কুশীলবদের বিচার হয়নি। কয়েক বছর ধরেই রাজনীতির মাঠে নতুন উত্তাপ ছিল বঙ্গবন্ধুর খুনের পেছনে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে কমিশন করবে সরকার।

আওয়ামী লীগ সরাসরি এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করে জিয়াউর রহমানকে। এমন বাস্তবতায় হাইকোর্টে রিট করেন ৪ আইনজীবী। রিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিশন গঠনের নজিরসহ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনের আলোকে বিভিন্ন দেশের আদালত কর্তৃক প্রকাশিত রায়ের নজির রিট আবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধী এবং কেনেডি হত্যার পেছনে কারা ছিল তা জানতে অন্যান্য দেশে কমিশন হলেও এদেশে কোনো কমিশন হয়নি। এ বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয় সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

১৯৮২ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যদের গঠিত বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ বিষয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র এবং তৎপরবর্তী পদক্ষেপসমূহ সম্পূর্ণ পর্যালোচনা ও নিরীক্ষার লক্ষ্যে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

মুজিব হত্যার নেপথ্যে কারা তদন্তে কমিশন কেন নয়, হাইকোর্টের রুল

আপডেট সময় : ০১:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের খুঁজে বের করতে স্বাধীন কমিশন গঠনের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

এ রিট শুনানিতে মোট ২২ বার সময় নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। সোমবারও রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাইলে আদালত তা নাকচ করে দেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাসের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. আসফাকোজ্জোহা এ রিট দায়ের করেন।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব সচিব, আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে সপরিবারে খুন করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এ ঘটনায় সরাসরি জড়িতদের বিচার হলেও নেপথ্যের কুশীলবদের বিচার হয়নি। কয়েক বছর ধরেই রাজনীতির মাঠে নতুন উত্তাপ ছিল বঙ্গবন্ধুর খুনের পেছনে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে কমিশন করবে সরকার।

আওয়ামী লীগ সরাসরি এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করে জিয়াউর রহমানকে। এমন বাস্তবতায় হাইকোর্টে রিট করেন ৪ আইনজীবী। রিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিশন গঠনের নজিরসহ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনের আলোকে বিভিন্ন দেশের আদালত কর্তৃক প্রকাশিত রায়ের নজির রিট আবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধী এবং কেনেডি হত্যার পেছনে কারা ছিল তা জানতে অন্যান্য দেশে কমিশন হলেও এদেশে কোনো কমিশন হয়নি। এ বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয় সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

১৯৮২ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যদের গঠিত বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ বিষয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র এবং তৎপরবর্তী পদক্ষেপসমূহ সম্পূর্ণ পর্যালোচনা ও নিরীক্ষার লক্ষ্যে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।