মীরসরাইয়ে দুই শতাধিক প্রতিবন্ধীর মাঝে গোশত ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
![](https://banglakhaborbd.com/wp-content/uploads/2024/06/ইমাম-হোসেন-মীরসরাই-প্রতিনিধি.jpg)
ইমাম হোসেন, মীরসরাই থেকে
- আপডেট সময় : ১০:১০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪
- / ৪২০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ
(Google News) ফিডটি
দুই শতাধিক শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মাঝে রান্না করা গোশত, বুটের ডাল, মাসকলাই ডাল ও ভাত তুলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা মীরসরাই উপজেলা শাখা। মঙ্গলবার দুপুরে মীরসরাই উপজেলার সৈদালী এলাকায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দাওয়াত পেয়ে সেখানে প্যান্ডেলে আগে থেকে অবস্থান করছিল কামাল হোসেন, নুরুল আলম, হোসনে আরা, হেঞ্জু মিয়া, বাদশাসহ প্রায় ২শতাধিক প্রতিবন্ধী লোকজন। কেউ শারীরিক, কেউ মানসিক আবার কেউ শ্রবণ বা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে তাদের হাতে দুই বক্স রান্না করা গোশত, এক বক্স বুটের ডাল, এক বক্স মাসকলাই ডাল ও এক বক্স ভাত তুলে দেয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা মীরসরাই উপজেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ মহসিনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক নাফিজ মোহাম্মদ রুবাইয়াতের সঞ্চালনায় এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত চট্টগ্রাম উপ-ভিসি (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক বেণু কুমার দে, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ( মীরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী খাইরুল মোস্তফা, নারী নেত্রী রুহি মোস্তফা, জোরারগঞ্জ মহিলা কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি রাশেদা আক্তার মুন্নি, আবুতোরাব বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন বাবুল, উপজেলা ছাত্রলীগের মাসুদ করিম রানা, সাংবাদিক মাঈন উদ্দিন, মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ হোসাইন সবুজ, তরুণ ব্যবসায়ী, সমাজকর্মী এ.জেড.এম সাইফুল ইসলাম টুটুল, ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন, চিটাগাং ইভেন্টস এর সিইও রায়হান ইসলামসহ প্রমুখ।
রান্না করা গোশত পেয়ে প্রতিবন্ধী হেঞ্জু মিয়া বলেন, ‘আমরা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হওয়ায় কেউ আমাদের কথা ভাবে না। যারা আমিসহ দুই শতাধিক প্রতিবন্ধী মানুষকে রান্না করা গরুর গোশতসহ খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
আরেক প্রতিবন্ধী হোসনে আরা বলেন, ‘রান্না করা খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুব ভালো লাগছে। বাড়িতে গিয়ে স্বামী-সন্তানদের নিয়ে খাবো। তারা প্রতি বছর এই আয়োজন করে থাকেন।’
সংগঠনের সভাপতি মো: মহসিন বলেন, ‘কোরবানির ঈদে সবাই গোশত খেলেও প্রতিবন্ধীরা অবহেলিত থাকে। কারণ তারা চলাফেরা করতে পারে না। চলাফেরা করতে সক্ষম ব্যক্তিরা গোশত সংগ্রহ করে থাকে। তাই আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক প্রতিবন্ধীর মাঝে আমরা সাধ্য অনুযায়ী প্রতিজনকে দুই কেজি করে গোশত ও ডাল-ভাত বিতরণ করেছি। তাদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে পেরে আমরাও তৃপ্তি পেয়েছি।’