ঢাকা ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্তদের অর্ধেকই মারা গেছেন’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৭:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এই ভাইরাসের সংক্রমিত রোগীদের অর্ধেকেরই মৃত্যু হয়েছে।

উচ্চ সংক্রামক ভাইরাসটি ইবোলার সমগোত্রীয়। এর লক্ষণগুলো হচ্ছে- জ্বর, পেশিতে ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি এবং কখনও কখনও চরম রক্তক্ষরণ। পরে মারবার্গের নামানুসারেই এর নামকরণ করা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) তথ্যানুসারে ১৯৬৭ সালে জার্মানির মারবার্গ এবং ফ্রাঙ্কফুর্টে মারবার্গ ছড়িয়েছিল। এ ছাড়া সার্বিয়ার বেলগ্রেডেও ছড়িয়েছিল এই ভাইরাস। এসময় প্রথমে ৩১ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ও সাতজনের মৃত্যু হয়।

উগান্ডা থেকে আমদানি করা আফ্রিকান সবুজ বানর ভাইরাসটির জীবাণু বহন করছিল। ভাইরাসটি তখন থেকে অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। শুকর ও বাদুরও ভাইরাসটি বহন করে।

যেসব মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে গুহা এবং খনিতে কাজ করেছে যেখানে প্রচুর পরিমাণে বাদুর থাকে, সেসব মানুষের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যেসব দেশে দেখা গেছে সেগুলো হচ্ছে-ইকুয়েটরিয়াল গিনি, ঘানা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, উগান্ডা, জিম্বাবুয়ে। এছাড়া অ্যাঙ্গোলায় ২০০৫ সালে মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে তিনশোরো বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়।

যদিও বিশ্বের বাকি দেশগুলোতে গত ৪০ বছরে মাত্র দুজনের মৃত্যু হয়েছে মারবার্গ ভাইরাসে। এদের মধ্যে একজন ইউরোপের ও আরেকজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছিলেন। তারা দুজনই উগান্ডার গুহায় অভিযানে গিয়েছিলেন।

সম্প্রতি তানজানিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কাগেরা অঞ্চলে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে এ ভাইরাসের কারণে। আক্রান্ত তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভাইরাসের সান্নিধ্যে আরও ১৬১ জনকে খুঁজে বের করছে কর্তৃপক্ষ।

ফেব্র“য়ারিতে গিনিতে এই ভাইরাসের যে প্রাদুর্ভাব শুরু হয় তারই ধারাবাহিকতায় তানজানিয়ায় এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গিনিতে এই ভাইরাসে সংক্রমিত নয়জনের মধ্যে সাতজনেরই মৃত্যু হয়। এছাড়া আরও ২০ জন রোগীর বিষয়েও অনুসন্ধান চালাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।সূত্র- বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

‘মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্তদের অর্ধেকই মারা গেছেন’

আপডেট সময় : ০১:৩৭:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এই ভাইরাসের সংক্রমিত রোগীদের অর্ধেকেরই মৃত্যু হয়েছে।

উচ্চ সংক্রামক ভাইরাসটি ইবোলার সমগোত্রীয়। এর লক্ষণগুলো হচ্ছে- জ্বর, পেশিতে ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি এবং কখনও কখনও চরম রক্তক্ষরণ। পরে মারবার্গের নামানুসারেই এর নামকরণ করা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) তথ্যানুসারে ১৯৬৭ সালে জার্মানির মারবার্গ এবং ফ্রাঙ্কফুর্টে মারবার্গ ছড়িয়েছিল। এ ছাড়া সার্বিয়ার বেলগ্রেডেও ছড়িয়েছিল এই ভাইরাস। এসময় প্রথমে ৩১ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ও সাতজনের মৃত্যু হয়।

উগান্ডা থেকে আমদানি করা আফ্রিকান সবুজ বানর ভাইরাসটির জীবাণু বহন করছিল। ভাইরাসটি তখন থেকে অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। শুকর ও বাদুরও ভাইরাসটি বহন করে।

যেসব মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে গুহা এবং খনিতে কাজ করেছে যেখানে প্রচুর পরিমাণে বাদুর থাকে, সেসব মানুষের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যেসব দেশে দেখা গেছে সেগুলো হচ্ছে-ইকুয়েটরিয়াল গিনি, ঘানা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, উগান্ডা, জিম্বাবুয়ে। এছাড়া অ্যাঙ্গোলায় ২০০৫ সালে মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে তিনশোরো বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়।

যদিও বিশ্বের বাকি দেশগুলোতে গত ৪০ বছরে মাত্র দুজনের মৃত্যু হয়েছে মারবার্গ ভাইরাসে। এদের মধ্যে একজন ইউরোপের ও আরেকজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছিলেন। তারা দুজনই উগান্ডার গুহায় অভিযানে গিয়েছিলেন।

সম্প্রতি তানজানিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কাগেরা অঞ্চলে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে এ ভাইরাসের কারণে। আক্রান্ত তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভাইরাসের সান্নিধ্যে আরও ১৬১ জনকে খুঁজে বের করছে কর্তৃপক্ষ।

ফেব্র“য়ারিতে গিনিতে এই ভাইরাসের যে প্রাদুর্ভাব শুরু হয় তারই ধারাবাহিকতায় তানজানিয়ায় এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গিনিতে এই ভাইরাসে সংক্রমিত নয়জনের মধ্যে সাতজনেরই মৃত্যু হয়। এছাড়া আরও ২০ জন রোগীর বিষয়েও অনুসন্ধান চালাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।সূত্র- বিবিসি