ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মানুষ হত্যা করাই বিএনপির রাজনীতি : আমু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের নামে জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ হত্যা করাই বিএনপির রাজনীতি।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বর্তমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জনগণকে সংগঠিত করে বিএনপিকে মোকাবিলা করতে ১৪ দলের শরীক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না আসতে নানা টালবাহানা করছে। তার কারণ তাদের জনসমর্থন নেই। বিএনপির সমর্থকরা একাত্তরের পরাজিত শক্তি। আন্দোলন সংগ্রামের নামে মানুষ হত্যা করাই তাদের রাজনীতি। আন্দোলন সংগ্রামের কথা বলে গাড়িতে অগ্নি সংযোগ, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা— এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। এখন দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতিকে পুঁজি করে বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, আবার যদি আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে জনগণকে সংগঠিত করে বিএনপিকে মোকাবিলা করা হবে। নির্বাচনে না আসার জন্য বিএনপির নানা টালবাহানা করার কারণ হচ্ছে তাদের জনসমর্থন নেই।

আমির হোসেন আমু বলেন, আমরা কোনো স্কুল ঘর ভাঙি নাই। এমনকি কাউকে ফুলের টোকা দেননিও। কিন্তু তারা (বিএনপি) ভোট সেন্টার নষ্ট করার নামে ৬০০ স্কুল ধ্বংস করেছে। যারা একটি দেশের ৬০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে পারে, তারা যদি আন্দোলনে নামে, তাহলে তাদের মানুষ কি ভাবতে পারে। এটি হচ্ছে তাদের চরিত্র। মানুষ হত্যা কোনো আন্দোলনের অংশ হতে পারে না। আজকে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা!

তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তান আমল থেকে হাফপ্যান্ট পরা অবস্থায় আন্দোলন শুরু করেছি। এই খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান, এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। খালেদা জিয়াকে ৯৬ সালে এক মাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। পদত্যাগ করে বাধ্য হয়েছিলেন নির্বাচন দিতে। সেই আন্দোলনে কিন্তু আমরা অগ্নি সন্ত্রাস করিনি। কোনো আন্দোলনেই আমাদের অগ্নি সন্ত্রাস করার প্রয়োজন হয় না।

বিএনপি’র পার্লামেন্টটি ফর্মে গণতন্ত্র নাই উল্লেখ করে আমু বলেন, আমার বিশ্বাস এখন পর্যন্ত তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন করে পার্লামেন্টারি ফর্মে আসে নাই। এখন পর্যন্ত তাদের গঠনতন্ত্রের প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম। আজকে তারা বড় বড় গণতন্ত্রের বুলি আওড়ায়।

১৯ বার শেখ হাসিনার প্রাণনাশের চেষ্টা করেছে বিএনপি, মন্তব্য করে আমু বলেন, এরা রাজনৈতিকভাবেই শুধু আমাদেরকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করে নাই। বিভিন্ন সময় আন্দোলনে গণহত্যা চালিয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আমরা টানা ২১ বছর নির্যাতিত হয়েছি। মামলা হামলা খুন-খারাবি এমন কিছু নাই যার শিকার আমরা হইনি। তারপর ৯৬ সালে আমরা যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় গেলাম তখন আমরা তাদেরকে একটা ফুলের টোকা পর্যন্ত দিইনি।

চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, ৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করা হয়নি। প্রতিহিংসা তো দূরে থাক, আমরা কোনো বিজয় মিছিল করলে সেখানে আক্রমণ হতে পারে; সেই দুশ্চিন্তায় শেখ হাসিনা আমাদেরকে অনুমতি দেননি। ২০০১ এ (বিএনপি) ক্ষমতায় এসে প্রতিদান হিসেবে ৩০ হাজার লোককে হত্যা করল। আজকে তারা বড় বড় কথা বলে।

বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খানের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য সচিব হামিদুল কিবরিয়া চৌধুুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টি-জেপির এজাজ আহম্মেদ মুক্তা, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ওয়াজেদুল ইসলাম, গণআজাদী লীগের এস কে সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির ডা. শাহাদাত হোসেন, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির জাকির হোসেন, তরিকত ফেডারেশনের মোহাম্মদ আলী ফারুকী, বাসদের সদস্য সচিব হামিদুল কিবরিয়া চৌধুরী আজহার প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

মানুষ হত্যা করাই বিএনপির রাজনীতি : আমু

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের নামে জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ হত্যা করাই বিএনপির রাজনীতি।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বর্তমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জনগণকে সংগঠিত করে বিএনপিকে মোকাবিলা করতে ১৪ দলের শরীক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না আসতে নানা টালবাহানা করছে। তার কারণ তাদের জনসমর্থন নেই। বিএনপির সমর্থকরা একাত্তরের পরাজিত শক্তি। আন্দোলন সংগ্রামের নামে মানুষ হত্যা করাই তাদের রাজনীতি। আন্দোলন সংগ্রামের কথা বলে গাড়িতে অগ্নি সংযোগ, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা— এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। এখন দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতিকে পুঁজি করে বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, আবার যদি আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে জনগণকে সংগঠিত করে বিএনপিকে মোকাবিলা করা হবে। নির্বাচনে না আসার জন্য বিএনপির নানা টালবাহানা করার কারণ হচ্ছে তাদের জনসমর্থন নেই।

আমির হোসেন আমু বলেন, আমরা কোনো স্কুল ঘর ভাঙি নাই। এমনকি কাউকে ফুলের টোকা দেননিও। কিন্তু তারা (বিএনপি) ভোট সেন্টার নষ্ট করার নামে ৬০০ স্কুল ধ্বংস করেছে। যারা একটি দেশের ৬০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে পারে, তারা যদি আন্দোলনে নামে, তাহলে তাদের মানুষ কি ভাবতে পারে। এটি হচ্ছে তাদের চরিত্র। মানুষ হত্যা কোনো আন্দোলনের অংশ হতে পারে না। আজকে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা!

তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তান আমল থেকে হাফপ্যান্ট পরা অবস্থায় আন্দোলন শুরু করেছি। এই খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান, এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। খালেদা জিয়াকে ৯৬ সালে এক মাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। পদত্যাগ করে বাধ্য হয়েছিলেন নির্বাচন দিতে। সেই আন্দোলনে কিন্তু আমরা অগ্নি সন্ত্রাস করিনি। কোনো আন্দোলনেই আমাদের অগ্নি সন্ত্রাস করার প্রয়োজন হয় না।

বিএনপি’র পার্লামেন্টটি ফর্মে গণতন্ত্র নাই উল্লেখ করে আমু বলেন, আমার বিশ্বাস এখন পর্যন্ত তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন করে পার্লামেন্টারি ফর্মে আসে নাই। এখন পর্যন্ত তাদের গঠনতন্ত্রের প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম। আজকে তারা বড় বড় গণতন্ত্রের বুলি আওড়ায়।

১৯ বার শেখ হাসিনার প্রাণনাশের চেষ্টা করেছে বিএনপি, মন্তব্য করে আমু বলেন, এরা রাজনৈতিকভাবেই শুধু আমাদেরকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করে নাই। বিভিন্ন সময় আন্দোলনে গণহত্যা চালিয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আমরা টানা ২১ বছর নির্যাতিত হয়েছি। মামলা হামলা খুন-খারাবি এমন কিছু নাই যার শিকার আমরা হইনি। তারপর ৯৬ সালে আমরা যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় গেলাম তখন আমরা তাদেরকে একটা ফুলের টোকা পর্যন্ত দিইনি।

চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, ৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করা হয়নি। প্রতিহিংসা তো দূরে থাক, আমরা কোনো বিজয় মিছিল করলে সেখানে আক্রমণ হতে পারে; সেই দুশ্চিন্তায় শেখ হাসিনা আমাদেরকে অনুমতি দেননি। ২০০১ এ (বিএনপি) ক্ষমতায় এসে প্রতিদান হিসেবে ৩০ হাজার লোককে হত্যা করল। আজকে তারা বড় বড় কথা বলে।

বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খানের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য সচিব হামিদুল কিবরিয়া চৌধুুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টি-জেপির এজাজ আহম্মেদ মুক্তা, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ওয়াজেদুল ইসলাম, গণআজাদী লীগের এস কে সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির ডা. শাহাদাত হোসেন, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির জাকির হোসেন, তরিকত ফেডারেশনের মোহাম্মদ আলী ফারুকী, বাসদের সদস্য সচিব হামিদুল কিবরিয়া চৌধুরী আজহার প্রমুখ।