ঢাকা ০৫:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মানুষ আওয়াজ তুলেছে সরকারকে বিদায় দিতে হবে: মোশাররফ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সারাদেশের মানুষ আজ আওয়াজ তুলেছে, তাদের দাবি একটাই, এই সরকারের হাত থেকে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করতে হবে। এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেনের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বিদায় দেওয়ার লক্ষ্যেই ১০ দফা দিয়েছি। ১০ দফা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে এর সারকথা হচ্ছে সরকারকে যত শিগগির সম্ভব বিদায় দেওয়া।

ড. মোশাররফ বলেন, জনগণ কেন এই সরকারকে বিদায় দিতে চাচ্ছে, কারণ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। দিনের ভোট রাতে করে এই সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে। গণতন্ত্র হত্যার কারণে তাদের জনগণের প্রতি দায়দায়িত্বও নেই।

তিনি বলেন, আজকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে বন্দি করা হয়েছে। একইভাবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ফরমায়েশি রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দেশে ফিরতে পারছেন না। দেশে যদি আইনের শাসন থাকতো তাহলে শুধু বিরোধী মতকে স্তব্ধ করার জন্য লক্ষাধিক মামলায় ৩৬ লাখ আসামি হয়েছে।

গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় খন্দকার মাহবুব হোসেনের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, যারা আইনের শাসন দলীয়করণ করে ধ্বংস করেছে, তারা এগুলো মেরামত করতে পারবে না।

ড. মোশাররফ বলেন, প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব সারাজীবন আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। তার দীর্ঘ জীবনে তিনি যা করেছেন তা স্বল্প সময়ে বলে শেষ হবে না। তার কাছে কেউ এলে তিনি সদয় মনোভাবাপন্ন হয়ে কথা বলতেন। সুপরামর্শ দিতেন। বিচার প্রত্যাশীকে তিনি ভালো পরামর্শ দিতেন।

ক্ষমতাসীন সরকার গায়ের জোরে দেশ চালাচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই অবস্থায় দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, যারা আইনের শাসন দলীয়করণ করে ধ্বংস করেছে, তারা এইগুলো মেরামত করতে পারবে না। এক লাখ মামলায় দেশের প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ আসামি। মরহুম খন্দকার মাহবুব হোসেনও একাধিক মামলার আসামি। হাজার হাজার মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে। এজন্য র‌্যাব-পুলিশের ওপর যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। আজকে এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশে আমাদের ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে খুন ও সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গুম করেছে। আমাদের দফা একটাই, সেটা হলো এই সরকারের পদত্যাগ।

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এবং আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বর্তমান সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির, আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নুরুল আমিন বেপারী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব ও বাংলাদেশ পিপলস লীগের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গরিব নেওয়াজ।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান, খন্দকার মাহবুব হোসেনের স্ত্রী ড. ফারহাত হোসেন, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজলসহ কয়েকশো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মানুষ আওয়াজ তুলেছে সরকারকে বিদায় দিতে হবে: মোশাররফ

আপডেট সময় : ১১:৩২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সারাদেশের মানুষ আজ আওয়াজ তুলেছে, তাদের দাবি একটাই, এই সরকারের হাত থেকে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করতে হবে। এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেনের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বিদায় দেওয়ার লক্ষ্যেই ১০ দফা দিয়েছি। ১০ দফা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে এর সারকথা হচ্ছে সরকারকে যত শিগগির সম্ভব বিদায় দেওয়া।

ড. মোশাররফ বলেন, জনগণ কেন এই সরকারকে বিদায় দিতে চাচ্ছে, কারণ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। দিনের ভোট রাতে করে এই সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে। গণতন্ত্র হত্যার কারণে তাদের জনগণের প্রতি দায়দায়িত্বও নেই।

তিনি বলেন, আজকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে বন্দি করা হয়েছে। একইভাবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ফরমায়েশি রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দেশে ফিরতে পারছেন না। দেশে যদি আইনের শাসন থাকতো তাহলে শুধু বিরোধী মতকে স্তব্ধ করার জন্য লক্ষাধিক মামলায় ৩৬ লাখ আসামি হয়েছে।

গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় খন্দকার মাহবুব হোসেনের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, যারা আইনের শাসন দলীয়করণ করে ধ্বংস করেছে, তারা এগুলো মেরামত করতে পারবে না।

ড. মোশাররফ বলেন, প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব সারাজীবন আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। তার দীর্ঘ জীবনে তিনি যা করেছেন তা স্বল্প সময়ে বলে শেষ হবে না। তার কাছে কেউ এলে তিনি সদয় মনোভাবাপন্ন হয়ে কথা বলতেন। সুপরামর্শ দিতেন। বিচার প্রত্যাশীকে তিনি ভালো পরামর্শ দিতেন।

ক্ষমতাসীন সরকার গায়ের জোরে দেশ চালাচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই অবস্থায় দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, যারা আইনের শাসন দলীয়করণ করে ধ্বংস করেছে, তারা এইগুলো মেরামত করতে পারবে না। এক লাখ মামলায় দেশের প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ আসামি। মরহুম খন্দকার মাহবুব হোসেনও একাধিক মামলার আসামি। হাজার হাজার মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে। এজন্য র‌্যাব-পুলিশের ওপর যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। আজকে এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশে আমাদের ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে খুন ও সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গুম করেছে। আমাদের দফা একটাই, সেটা হলো এই সরকারের পদত্যাগ।

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এবং আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বর্তমান সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির, আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নুরুল আমিন বেপারী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব ও বাংলাদেশ পিপলস লীগের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গরিব নেওয়াজ।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান, খন্দকার মাহবুব হোসেনের স্ত্রী ড. ফারহাত হোসেন, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজলসহ কয়েকশো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।