মাদারগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে হরতাল, স্মারকলিপি প্রদান
![](https://banglakhaborbd.com/wp-content/uploads/2023/08/cropped-Bangla_khobor_logo-02-removebg-preview.png)
- আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
- / ৪২৩ বার পড়া হয়েছে
জামালপুরের মাদারগঞ্জে সার ও কিটনাশক ব্যাবসায়ী হত্যা মামলায় শ্রীঘরে মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রায়হান রহমতুল্যাহ রিমু।তার মুক্তির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সন্ধা হরতাল পালন করছেন তাঁর সমর্থকরা।
তার সমর্থকরা সকাল থেকে উপজেলার সদরে বিছিন্নভাবে সড়কে নেমে কাঠের গুড়ি ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে আন্দোলন করে। দোকানপাটসহ সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়।
রায়হান রহমতুল্যাহ রিমুর সমর্থক মাদারগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর ও মাদারগঞ্জ শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান সাগর বলেন, সোমবার এই হত্যা মামলায় সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান রহমতুল্যাহ রিমু জামালপুর কোর্টে হাজিরা দিলে, বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামন্জুরকরে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আমরা চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করছি ।
দুপুরে উপেজলা চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ইউএনও ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত এর কাছে জয়নাল আবেদীনসহ তিনজনের স্বাক্ষরে একটি স্মারক লিপি প্রদাণ করেন। তার সমর্থকরা জানান,বিকালে বিক্ষোভ মিছিল করাহবে। এদিকে, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য হরতাল শিথিল করা হয়েছে বলে জানায় আন্দোলনকারীরা।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, হরতালের কারণে সকাল থেকে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।তিনি হরতালকারীদের কোনপ্রকার সহিংসতা না করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন,পরীক্ষার্থীরা কোন প্রকার বাধা ছাড়াই পরীক্ষা হলে যেতে পেরেছেন।
উল্লেখ্য ২০২০ সালে ২৫ এপ্রিল সার ব্যবসায়ী নওশের আলীর সাথে প্রতিবেশী উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান রহমতুল্যা গংদের সাথে বিরোধে সংঘর্ষে নওশের আলী গুরুত্ব আহত হয়। তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মার যান। নিহতের ঘটনায় মামলা হয়। এই মামলায় রহমতুল্যাহ রিমু হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। সোমবার নিম্নআদালতে জামালপুর কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে বিঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জেলা কারাগারে পাঠান।
বাখ//আর