ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মাগুরায় অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবী করা চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২ নারী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০০:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
  • / ৪৬৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// আশরাফ হোসেন পল্টু, শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি //
মাগুরায় নারীর ফাঁদ পেতে অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও অপহরণের পর জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবীর অভিযোগে ঘটনার মূলহোতা মাগুরার নিজনান্দুয়ালী এলাকার মৃত সালেক শেখের ছেলে শাহিনুর শেখ (৪২)সহ অপর দুই  নারী সহযোগী একই এলাকার কুদ্দুসের স্ত্রী জুলেখা (৩৫) ও জাকির ওরফে অপুর স্ত্রী নদী (৩৫)কে আটক করেছে মাগুরা  ডিবি পুলিশ ।
মাগুরা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায় , রবিবার (২৮ মে ) মাগুরার ডেফুলিয়া গ্রামের শামসু বিশ্বাস (৩৬) নামের এক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা নতুনবাজার এলাকা থেকে রবিবার বিকেলে অপহরণ করে আটক রেখে ভিকটিমের মোবাইল দিয়ে ফোন করে তার পরিবারের কাছে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হচ্ছে এবং  ভিকটিমসহ তার পরিবারকে ভয় দেখানো হচ্ছে টাকা না দিলে ভিকটিমকে নারী দিয়ে ফাঁসিয়ে অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে এবং ভিকটিমকে মেরে গুম করা হবে । এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মাগুরা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ভিকটিম উদ্ধারসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, সিসিআইসি টিমকে নির্দেশ প্রদান করলে সাইবার টিম ও ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম এটা নিয়ে ওইদিন বিকেল থেকেই অভিযান শুরু করেন।  অভিযোগকারীর সাথে উদ্ধার অভিযানের সদস্যরা যোগাযোগ রক্ষা করতে থাকে। একপর্যায়ে অভিযোগকারীর কাছ থেকে জানা যায় দুস্কৃতিকারীরা মুক্তিপণ গ্রহণের জন্য একটা বিকাশ মোবাইল নাম্বার প্রদান করেছে। উক্ত বিকাশ নাম্বারে আধা ঘন্টার মধ্যে মুক্তিপনের টাকা প্রদান না করলে ভিকটিমকে মেরে ফেলবে এবং ভিকটিমের খারাপ ভিডিও করে ছেড়ে দেবে বলে ভয় দেখাতে থাকে।  উদ্ধারকারি টিম আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ও স্থানীয় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাগুরার নিজনান্দুয়ালি এলাকায় রবিবার রাতে অভিযান করে চক্রের মুলহোতা  শাহিনুর শেখ (৪২)সহ অপর দুই  নারী সহযোগী একই এলাকার কুদ্দুসের স্ত্রী জুলেখা (৩৫) ও জাকির ওরফে অপুর স্ত্রী নদী (৩৫)কে আটক আটক করতে করতে সক্ষম হন এবং আটককৃতদের কাছে বন্ধি থাকা ভিকটিম  শামসু বিশ্বাস (৩৬)কে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন । এই দুষ্টু চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সহায়তায় নদীর মোবাইল নাম্বার থেকে টার্গেট ব্যক্তিদেরকে ফোন করে সম্পর্ক গড়ে তোলে, এক পর্যায়ে একসাথে দেখা করার কথা বলে টার্গেট ব্যক্তিকে মাগুরায় নতুন বাজার এলাকায় ডেকে এনে কৌশলে নিজনান্দুয়ালি এলাকায় জুলেখার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই মুলহোতা শাহিন ওৎপেতে থাকে, ভিকটিমকে রুমে নিয়েই তাকে বিবস্ত্র করে চক্রের নারী সদস্যরা তাদের সাথে আপত্তিকর অবস্থা তৈরি করে আর লম্পট শাহিন তার নিজ মোবাইল দিয়ে সেটা ভিডিও করে । তারপর ভিকটিমের ফোন থেকেই তার পরিবার,বন্ধু অথবা নিকট আত্মীয়দের কাছে কল করে মুক্তিপণ দাবি করে আর শারীরীক নির্যাতন করতে থাকে। আটককৃত শাহিনের মোবাইল ডিভাইস থেকে এরকম কয়েকজনের জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণের প্রমান মিলেছে। এই বিষয়ে পুলিশী  তদন্ত চলমান রয়েছে ।  আটককৃত শাহিনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে অস্ত্রসহ অপহরণ করে ২টি খুনের মামলাসহ একাধিক মাদক ও চুরির মামলাসহ  ৬টি মামলা রয়েছে। এই  বিষয়ে মাগুরা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মাগুরায় অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবী করা চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২ নারী

আপডেট সময় : ১০:০০:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
// আশরাফ হোসেন পল্টু, শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি //
মাগুরায় নারীর ফাঁদ পেতে অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও অপহরণের পর জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবীর অভিযোগে ঘটনার মূলহোতা মাগুরার নিজনান্দুয়ালী এলাকার মৃত সালেক শেখের ছেলে শাহিনুর শেখ (৪২)সহ অপর দুই  নারী সহযোগী একই এলাকার কুদ্দুসের স্ত্রী জুলেখা (৩৫) ও জাকির ওরফে অপুর স্ত্রী নদী (৩৫)কে আটক করেছে মাগুরা  ডিবি পুলিশ ।
মাগুরা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায় , রবিবার (২৮ মে ) মাগুরার ডেফুলিয়া গ্রামের শামসু বিশ্বাস (৩৬) নামের এক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা নতুনবাজার এলাকা থেকে রবিবার বিকেলে অপহরণ করে আটক রেখে ভিকটিমের মোবাইল দিয়ে ফোন করে তার পরিবারের কাছে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হচ্ছে এবং  ভিকটিমসহ তার পরিবারকে ভয় দেখানো হচ্ছে টাকা না দিলে ভিকটিমকে নারী দিয়ে ফাঁসিয়ে অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে এবং ভিকটিমকে মেরে গুম করা হবে । এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মাগুরা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ভিকটিম উদ্ধারসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, সিসিআইসি টিমকে নির্দেশ প্রদান করলে সাইবার টিম ও ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম এটা নিয়ে ওইদিন বিকেল থেকেই অভিযান শুরু করেন।  অভিযোগকারীর সাথে উদ্ধার অভিযানের সদস্যরা যোগাযোগ রক্ষা করতে থাকে। একপর্যায়ে অভিযোগকারীর কাছ থেকে জানা যায় দুস্কৃতিকারীরা মুক্তিপণ গ্রহণের জন্য একটা বিকাশ মোবাইল নাম্বার প্রদান করেছে। উক্ত বিকাশ নাম্বারে আধা ঘন্টার মধ্যে মুক্তিপনের টাকা প্রদান না করলে ভিকটিমকে মেরে ফেলবে এবং ভিকটিমের খারাপ ভিডিও করে ছেড়ে দেবে বলে ভয় দেখাতে থাকে।  উদ্ধারকারি টিম আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ও স্থানীয় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাগুরার নিজনান্দুয়ালি এলাকায় রবিবার রাতে অভিযান করে চক্রের মুলহোতা  শাহিনুর শেখ (৪২)সহ অপর দুই  নারী সহযোগী একই এলাকার কুদ্দুসের স্ত্রী জুলেখা (৩৫) ও জাকির ওরফে অপুর স্ত্রী নদী (৩৫)কে আটক আটক করতে করতে সক্ষম হন এবং আটককৃতদের কাছে বন্ধি থাকা ভিকটিম  শামসু বিশ্বাস (৩৬)কে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন । এই দুষ্টু চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সহায়তায় নদীর মোবাইল নাম্বার থেকে টার্গেট ব্যক্তিদেরকে ফোন করে সম্পর্ক গড়ে তোলে, এক পর্যায়ে একসাথে দেখা করার কথা বলে টার্গেট ব্যক্তিকে মাগুরায় নতুন বাজার এলাকায় ডেকে এনে কৌশলে নিজনান্দুয়ালি এলাকায় জুলেখার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই মুলহোতা শাহিন ওৎপেতে থাকে, ভিকটিমকে রুমে নিয়েই তাকে বিবস্ত্র করে চক্রের নারী সদস্যরা তাদের সাথে আপত্তিকর অবস্থা তৈরি করে আর লম্পট শাহিন তার নিজ মোবাইল দিয়ে সেটা ভিডিও করে । তারপর ভিকটিমের ফোন থেকেই তার পরিবার,বন্ধু অথবা নিকট আত্মীয়দের কাছে কল করে মুক্তিপণ দাবি করে আর শারীরীক নির্যাতন করতে থাকে। আটককৃত শাহিনের মোবাইল ডিভাইস থেকে এরকম কয়েকজনের জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণের প্রমান মিলেছে। এই বিষয়ে পুলিশী  তদন্ত চলমান রয়েছে ।  আটককৃত শাহিনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে অস্ত্রসহ অপহরণ করে ২টি খুনের মামলাসহ একাধিক মাদক ও চুরির মামলাসহ  ৬টি মামলা রয়েছে। এই  বিষয়ে মাগুরা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।