মহিপুরে ৩০টি তাল গাছ কাটার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন, অভিযুক্তদের হাইকোর্টে তলব
- আপডেট সময় : ০৭:২৫:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
- / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলার মহিপুরে ‘সড়ক সংস্কারে ৩০টি তাল গাছ কর্তন’ শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও এলজিইডি’র পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন সহ অভিযুক্ত মহিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যকে ১৮ মে স্বশরীরে তলব করেছেন হাইকোর্ট। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে রোববার (৭মে) বিচারপতি আবু তাহের মো: সাইফুর রহমান ও বিচারপতি একেএম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রনোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
এলজিইডি’র কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল বারী পূর্ন জানান, জলবায়ু সহিষ্ণু গ্রামীন অবকাঠামো (CRRIP) প্রকল্পের আওতায় মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামে ৯ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৬০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৬ ফিট প্রশস্ত মাটির কাজের ঠিকাদার চুক্তিবদ্ধ হয় স্থানীয় নারী শ্রমিক সভাপতি রোজিনা ও সেক্রেটারী মোসা: নুরুন্নাহার বেগম। ঈদের ছুটিতে কর্মকর্তা কর্মচারীরা ছুটিতে থাকার সুযোগে অফিসকে অবগত না করে তারা ভেকু দিয়ে কাজ শুরু করায় ৩০ এপ্রিল তাদের ভেকু প্রত্যাহার প্রসঙ্গে চিঠি দেয়া হয়েছে। এরপর জানলাম তারা নিজেরা কাজ করছে না, চেয়ারম্যান-মেম্বর কাজ করছে। কাজ করতে গিয়ে তারা বজ্রপাত রোধক তাল গাছ উপড়ে ফেলেছে । বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর ২মে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের
তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রকৌশলী ফয়সাল বারী পূর্ন আরও জানান, উপজেলা বন ও পরিবেশ কমিটির কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই সড়কের পার্শ্ববর্তী তাল গাছ কেটে ফেলা ও কোদালের পরিবর্তে ভেকু দিয়ে কাজ করার ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক মহোদয়কে ঠিকাদার চুক্তি বাতিলের জন্য সুপারিশ পত্র পাঠিয়েছি।
কলাপাড়া ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ’জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পেয়েছি। শত শত মানুষ চেয়ারম্যান, মেম্বরের এ তাল গাছ কাটার ঘটনায় তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভেকু মেশিন দিয়ে কৃষি জমির মাটি কেটে ছোট ছোট পুকুর করা হয়েছে।’
ইউএনও আরও বলেন, ’এলসিএস সভাপতি মোসা: রোজিনা ও সেক্রেটারী মোসা: নুরুন্নাহারকে তথ্য সহায়তার জন্য কলাপাড়া আনা হয়েছে। এ কাজের সাথে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তাদের কাছ থেকে তথ্য নেয়া হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উচ্চ আদালতে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।
বা/খ: জই