ঢাকা ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মহাখালীতে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণের চেষ্টায় গ্রেফতার ৩

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারে গাড়ি থামিয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্য পরিচয়ে দুই ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় র‌্যাব সদস্য পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া।

গ্রেফতাররা হলেন- মো. মুমিনুল, তার গাড়িচালক ও একজন আত্মীয়।

বনানী থানার ওসি নুরে আযম মিয়া বলেন, শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাতে মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে র‌্যাব সদস্য পরিচয়ে দুই ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নম্বর ২১। মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম এ ঘটনার একজন ভুক্তভোগী। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আল মোমেন নিজেকে র‌্যাব সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। তার পরিচয় আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি। গ্রেফতার হওয়া বাকি দুজনের মধ্যে একজন গাড়িচালক এবং অপরজন আল মোমেনের আত্মীয়।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) মধ্যরাতে মহাখালী ফ্লাইওভার দিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনার দৃশ্য ধারণ করে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেল। ওই টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার রাত সোয়া ২টার দিকে তাদের গাড়িটি মহাখালী ফ্লাইওভার দিয়ে যাওয়ার সময় সেটিকে থামতে বলেন জড়ো হওয়া লোকজন। সেখানেই দেখা মেলে হ্যান্ডকাফ পরা দুই ব্যক্তির। একজনের নাম শহীদুল ইসলাম, অন্যজন রিয়াজ। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগনে। শহীদুল ইসলাম পেশায় ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ী।

তাদের অভিযোগ, বিমানবন্দর এলাকা থেকে গাড়ি ভাড়া করে যাচ্ছিলেন তারা। ফ্লাইওভারে উঠতেই তাদের গাড়ির গতিরোধ করে পেছন থেকে আসা আরেকটি গাড়ি। ওই গাড়ির আরোহী চার ব্যক্তি র‌্যাব পরিচয়ে অস্ত্র দেখিয়ে তুলে নিয়ে যেতে চেয়েছিল তাদের। একপর্যায়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে মারধর করে। সন্দেহ হওয়ায় চিৎকার শুরু করেন ভুক্তভোগীরা।

শহীদুল ইসলাম ওই টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, আমাদের গাড়ি থামিয়ে জানালা দিয়ে পিস্তল ধরে। গাড়ি থেকে বের হওয়ার পর বলে তোরা (আমরা) সোনা চোরাচালানকারী। আমরা বলি, আমাদের চেক করে দেখেন। তখন আমাদের মারধর শুরু করে। বলে, গুলি করে মেরে ফেলবো। তারপর হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দেয়। এ সময় আমরা চিৎকার শুরু করি। আমাদের চিৎকার শুনে এক ব্যক্তি গাড়ি থামিয়ে পরিস্থিতি দেখে ৯৯৯ এ কল করেন। আর তখন সে পথ দিয়ে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন এক পুলিশ সদস্য। হট্টগোল দেখে তিনি এগিয়ে এসে ভুক্তভোগীদের সহায়তা করেন।

সাকিব নামের ওই পুলিশ সদস্য বলেন, র‌্যাবের কটি পরা তিনজন দুই ব্যক্তিকে মারধর করছিলেন। এসময় দুই ব্যক্তি তাদের বাঁচানোর জন্য আকুতি জানাচ্ছিলেন। পুলিশ দেখে তিনজনের একজন গাড়ির পেছনে পিস্তল রেখে রাস্তা পার হয়ে চলে যান, আরেকজন দৌঁড়ে পালান।অপরজনকে ধরে ফেলে জনতা। তার (জনতার হাতে আটক) দাবি, গার্মেন্টে কর্মী। মুমিনুল নামের এক র‌্যাব সদস্যের সঙ্গে কিছু কাজে করতে গিয়ে তার পরিচয় হয়। ঘটনার দিন একটি অপারেশনের কথা বলে মহাখালী ফ্লাইওভারে নিয়ে আসেন মুমিনুল।

নিউজটি শেয়ার করুন

মহাখালীতে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণের চেষ্টায় গ্রেফতার ৩

আপডেট সময় : ০৭:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারে গাড়ি থামিয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্য পরিচয়ে দুই ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় র‌্যাব সদস্য পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া।

গ্রেফতাররা হলেন- মো. মুমিনুল, তার গাড়িচালক ও একজন আত্মীয়।

বনানী থানার ওসি নুরে আযম মিয়া বলেন, শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাতে মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে র‌্যাব সদস্য পরিচয়ে দুই ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নম্বর ২১। মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম এ ঘটনার একজন ভুক্তভোগী। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আল মোমেন নিজেকে র‌্যাব সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। তার পরিচয় আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি। গ্রেফতার হওয়া বাকি দুজনের মধ্যে একজন গাড়িচালক এবং অপরজন আল মোমেনের আত্মীয়।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) মধ্যরাতে মহাখালী ফ্লাইওভার দিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনার দৃশ্য ধারণ করে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেল। ওই টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার রাত সোয়া ২টার দিকে তাদের গাড়িটি মহাখালী ফ্লাইওভার দিয়ে যাওয়ার সময় সেটিকে থামতে বলেন জড়ো হওয়া লোকজন। সেখানেই দেখা মেলে হ্যান্ডকাফ পরা দুই ব্যক্তির। একজনের নাম শহীদুল ইসলাম, অন্যজন রিয়াজ। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগনে। শহীদুল ইসলাম পেশায় ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ী।

তাদের অভিযোগ, বিমানবন্দর এলাকা থেকে গাড়ি ভাড়া করে যাচ্ছিলেন তারা। ফ্লাইওভারে উঠতেই তাদের গাড়ির গতিরোধ করে পেছন থেকে আসা আরেকটি গাড়ি। ওই গাড়ির আরোহী চার ব্যক্তি র‌্যাব পরিচয়ে অস্ত্র দেখিয়ে তুলে নিয়ে যেতে চেয়েছিল তাদের। একপর্যায়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে মারধর করে। সন্দেহ হওয়ায় চিৎকার শুরু করেন ভুক্তভোগীরা।

শহীদুল ইসলাম ওই টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, আমাদের গাড়ি থামিয়ে জানালা দিয়ে পিস্তল ধরে। গাড়ি থেকে বের হওয়ার পর বলে তোরা (আমরা) সোনা চোরাচালানকারী। আমরা বলি, আমাদের চেক করে দেখেন। তখন আমাদের মারধর শুরু করে। বলে, গুলি করে মেরে ফেলবো। তারপর হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দেয়। এ সময় আমরা চিৎকার শুরু করি। আমাদের চিৎকার শুনে এক ব্যক্তি গাড়ি থামিয়ে পরিস্থিতি দেখে ৯৯৯ এ কল করেন। আর তখন সে পথ দিয়ে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন এক পুলিশ সদস্য। হট্টগোল দেখে তিনি এগিয়ে এসে ভুক্তভোগীদের সহায়তা করেন।

সাকিব নামের ওই পুলিশ সদস্য বলেন, র‌্যাবের কটি পরা তিনজন দুই ব্যক্তিকে মারধর করছিলেন। এসময় দুই ব্যক্তি তাদের বাঁচানোর জন্য আকুতি জানাচ্ছিলেন। পুলিশ দেখে তিনজনের একজন গাড়ির পেছনে পিস্তল রেখে রাস্তা পার হয়ে চলে যান, আরেকজন দৌঁড়ে পালান।অপরজনকে ধরে ফেলে জনতা। তার (জনতার হাতে আটক) দাবি, গার্মেন্টে কর্মী। মুমিনুল নামের এক র‌্যাব সদস্যের সঙ্গে কিছু কাজে করতে গিয়ে তার পরিচয় হয়। ঘটনার দিন একটি অপারেশনের কথা বলে মহাখালী ফ্লাইওভারে নিয়ে আসেন মুমিনুল।