ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মধুখালীতে ২৬টি বেসরকারী ক্লিনিকের বেশিরভাগই অনুমোদনহীন 

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:৩০:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • / ৪২১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার শহরতলীতে বেসরকারীভাবে ২৬ টি ক্লিনিক ও হাসপাতাল গড়ে উঠেছে।অভিযোগ রয়েছে, এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসাসেবা নিন্মমানের।  নেই কোন ভাল ডাক্তার। জানা যায়, ৭/৮ টি ক্লিনিকের কাগজপত্র থাকলেও বেশিরভাগ ক্লিনিকের কাগজপত্র ও অনুমোদন নেই।
ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা যায়, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মধুখালীর ২৬ টি ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন করা নেই। গড়ে প্রতিটি ক্লিনিক ও হাসপাতালের ২/৩ বছর ধরে লাইসেন্স নবায়ন করা নেই ।  হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ব্যবসা করতে হলে ৭/৮ টি অনুনোদনের কাগজ বাধ্যতামূলক । তার মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর , পারমানবিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ও ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন প্রয়োজন।
কিন্তু দেখা যায়, স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে আবেদন করেই তারা ব্যবসা শুরু করে দেয়। এদিকে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের পরিচালককে এবং জেলার সিভিল সার্জন অফিসকে  ম্যানেজ করে এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ।
মধুখালী উপজেলার কোন ক্লিনিক ও হাসপাতালে কোন সুনামধন্য ডাক্তারদের পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী জালাল সরদার জানান, ক্লিনিক ও হাসপাতালের লাইসেন্স আমরা দেই না, লাইসেন্স দিয়ে থাকে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ( হাসপাতাল/ ক্লিনিক )। আবেদনের ভিত্তিতে আমরা শুধু স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালককে জেলা থেকে সুপারিশ করে থাকি ।
ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সাঈদ আনোয়ার জানান, মধুখালী উপজেলার ২৬ টি ক্লিনিক ও হাসপাতালের মধ্যে ৮ টি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করেছে। ১৮ টি প্রতিষ্ঠানের কোন আবেদন আমি পাইনি। আমার মতে ১৮ টি প্রতিষ্ঠানই অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা খুব শীঘ্রই এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।
তিনি আরো জানান, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের অনুমোদন পাবার পরেই স্বাস্থ্য বিভাগ লাইসেন্সের অনুমোদন দিবেন। কিন্তু দেখা যায় পরিবাশ অধিদপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার আগেই স্বাস্থ্য বিভাগ অনুমোদন দিয়ে দেয় ।
এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলার ক্লিনিক ও হাসপাতালের মালিক সমিতির সভাপতি মির্জা আকতারুজ্জামান খোকন জানান , আমরা বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।
মধুখালি উপজেলার একাধিক ব্যক্তিরা জানান, এখানকার বেসরকারী হাসপাতালের কোন বৈধ কাগজপত্র ও অনুমোদন নেই । স্বাস্থ্য বিভাগসহ অধীনস্থ অফিসকে ম্যানেজ করে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আরো জানান , হাসপাতাল ও ক্লিনিকের জন্য গড়ে প্রায় ৫ জন ডাক্তারের প্রয়োজন হিসেবে ১’শ ৩০ জন দাক্তারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সারা উপজেলায় ৭ জন ডাক্তারও নেই। এরা কিভাবে স্বাস্থ্য সেবা দেবে ?
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা শাখার বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক কোমর উদ্দিন জানান, আমরা মালিক পক্ষ পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি দীর্ঘ দিন ধরে। কিন্তু এর কোন সুরাহা এখনও হয়নি।
এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল হক বকু জানান, স্বাস্থ্য সেবা একটি মহান পেশা। এ পেশা যারা অবৈধভাবে করে আসছে এটা ঠিক না। এদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচারের দাবি জানাচ্ছি ।
উল্লেখ্য, ফরিদপুরের ৯ টি উপজেলায় ২৪২ টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। তার মধ্যে মধুখালীতে ২৬ টি হাসপাতাল এবং ক্লিনিক রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মধুখালীতে ২৬টি বেসরকারী ক্লিনিকের বেশিরভাগই অনুমোদনহীন 

আপডেট সময় : ১২:৩০:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার শহরতলীতে বেসরকারীভাবে ২৬ টি ক্লিনিক ও হাসপাতাল গড়ে উঠেছে।অভিযোগ রয়েছে, এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসাসেবা নিন্মমানের।  নেই কোন ভাল ডাক্তার। জানা যায়, ৭/৮ টি ক্লিনিকের কাগজপত্র থাকলেও বেশিরভাগ ক্লিনিকের কাগজপত্র ও অনুমোদন নেই।
ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা যায়, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মধুখালীর ২৬ টি ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন করা নেই। গড়ে প্রতিটি ক্লিনিক ও হাসপাতালের ২/৩ বছর ধরে লাইসেন্স নবায়ন করা নেই ।  হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ব্যবসা করতে হলে ৭/৮ টি অনুনোদনের কাগজ বাধ্যতামূলক । তার মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর , পারমানবিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ও ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন প্রয়োজন।
কিন্তু দেখা যায়, স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে আবেদন করেই তারা ব্যবসা শুরু করে দেয়। এদিকে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের পরিচালককে এবং জেলার সিভিল সার্জন অফিসকে  ম্যানেজ করে এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ।
মধুখালী উপজেলার কোন ক্লিনিক ও হাসপাতালে কোন সুনামধন্য ডাক্তারদের পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী জালাল সরদার জানান, ক্লিনিক ও হাসপাতালের লাইসেন্স আমরা দেই না, লাইসেন্স দিয়ে থাকে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ( হাসপাতাল/ ক্লিনিক )। আবেদনের ভিত্তিতে আমরা শুধু স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালককে জেলা থেকে সুপারিশ করে থাকি ।
ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সাঈদ আনোয়ার জানান, মধুখালী উপজেলার ২৬ টি ক্লিনিক ও হাসপাতালের মধ্যে ৮ টি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করেছে। ১৮ টি প্রতিষ্ঠানের কোন আবেদন আমি পাইনি। আমার মতে ১৮ টি প্রতিষ্ঠানই অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা খুব শীঘ্রই এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।
তিনি আরো জানান, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের অনুমোদন পাবার পরেই স্বাস্থ্য বিভাগ লাইসেন্সের অনুমোদন দিবেন। কিন্তু দেখা যায় পরিবাশ অধিদপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার আগেই স্বাস্থ্য বিভাগ অনুমোদন দিয়ে দেয় ।
এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলার ক্লিনিক ও হাসপাতালের মালিক সমিতির সভাপতি মির্জা আকতারুজ্জামান খোকন জানান , আমরা বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।
মধুখালি উপজেলার একাধিক ব্যক্তিরা জানান, এখানকার বেসরকারী হাসপাতালের কোন বৈধ কাগজপত্র ও অনুমোদন নেই । স্বাস্থ্য বিভাগসহ অধীনস্থ অফিসকে ম্যানেজ করে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আরো জানান , হাসপাতাল ও ক্লিনিকের জন্য গড়ে প্রায় ৫ জন ডাক্তারের প্রয়োজন হিসেবে ১’শ ৩০ জন দাক্তারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সারা উপজেলায় ৭ জন ডাক্তারও নেই। এরা কিভাবে স্বাস্থ্য সেবা দেবে ?
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা শাখার বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক কোমর উদ্দিন জানান, আমরা মালিক পক্ষ পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি দীর্ঘ দিন ধরে। কিন্তু এর কোন সুরাহা এখনও হয়নি।
এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল হক বকু জানান, স্বাস্থ্য সেবা একটি মহান পেশা। এ পেশা যারা অবৈধভাবে করে আসছে এটা ঠিক না। এদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচারের দাবি জানাচ্ছি ।
উল্লেখ্য, ফরিদপুরের ৯ টি উপজেলায় ২৪২ টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। তার মধ্যে মধুখালীতে ২৬ টি হাসপাতাল এবং ক্লিনিক রয়েছে।