মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে অবৈধ ইট পাঁজার (ইট ভাটা) ছড়াছড়ি। সরকারি আইন অমান্য করে স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় ইট পাঁজার মালিকরা মঠবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলী জমি নষ্ট করে লোকালয়ে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে, সরকারি গুরুপ্তপূর্ণ রাস্তার পাশ থেকে মাটি কেঁটে অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে এসব ইট পাঁজা স্থাপন করেছে। প্রকাশ্যে গুঞ্জন রয়েছে বিভিন্ন সরকারি অফিস ম্যানেজ করে প্রতি বছর উৎকোচ দিয়ে চালিয়ে আসছে এসব অবৈধ ইট পাঁজার কার্যক্রম। স্থানীয়দের দাবী স্থানীয় প্রশাসন ম্যানেজ হয়ে এসকল অবৈধ কার্যক্রম দেখেও না দেখার ভান করেন। তারা প্রশ্ন রেখে ক্ষোভের সাথে বলেন স্থানীয় প্রশাসন ম্যানেজ না হলে অবৈধ এ কার্যক্রমের ব্যপারে উদাসীন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড পশ্চিম মিরুখালী অহেদাবাদ গ্রামে মেরিন মেম্বর গুরুপ্তপূর্ণ প্রধান সড়কের পাশ থেকে গভীর করে মাটি কেঁটে নিয়ে দুটি পাঁজা প্রস্তুত করেছেন। এতে ওই সড়টি যে কেন সময় বিলীন হবার আশংঙ্কা রয়েছে। একই এলাকায় রাস্তার পাশে সোহেল হাওলাদারের দুটি ইট পাঁজার আগুনের তাপে ও কালো ধোঁয়া আশপাশের সকল গাছের পাতা ঝড়ে পরপসহ বেশ কয়েকটি গাছ মরে গেছে। ধানিসাফা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ফুলঝুড়ি গ্রামের ইউসুফ সরদার, সঞ্জয় দাস, কামাল হোসেনসহ মঠবাড়িয়া উপজেলায় অর্ধ শতাধিক ইট পাঁজায় একই কার্যক্রম চলছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা হয়েছে, তারা সব জানেন। তাদের সাথে কথা না হলে তারাইতো আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক ম্যানেজ এর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শিঘ্রই অবৈধ ইট পাঁজার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক (উপ-সচিব) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবদুল হালিম জানান, তালিকা সংগ্রহ করে এগুলোর বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কিছু ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বা/খ: এসআর।
প্রকাশক
মানিক কুমার সরকার
সম্পাদক
শামছুর রহমান শিশির
Copyright © 2024 বাংলা খবর. All rights reserved.