ঢাকা ০৯:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভোটার উপস্থিতি কম থাকা মানে আশঙ্কাজনক বলা যাবে না : ইসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৬:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
ভোটার উপস্থিতি কম থাকা মানে আশঙ্কাজনক বলা যাবে না। আমাদের দেশের সংবিধান অনুযায়ী ভোটের যে আইন কত শতাংশ ভোট পড়তে হবে এই ধরণের কোনো শর্ত নেই বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোববার (৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

তিনি আরো বলেন, ফরিদপুরের ক্ষেত্রে তো তেমন কোনো প্রার্থী বেশি ছিলেন না। মাত্র দুইজন ছিলেন। একজন ছিলেন এক দলের। আর একজন ছিলেন এক দলের, ওই দল বা ওই প্রার্থী তো ওতো পরিচিত না। এ কারণেও নির্বাচনে যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা সেটা তো ছিল না।

তিনি বলেন, আপনারা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও দেখবেন যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। সেখানে কিন্তু ভোটের হার অনেক বেশি। পৌরসভাতে ভোটের হার অনেক বেশি। কারণ সেখানে শক্ত প্রতিদ্বদ্বিতা হয়েছে। সেখানে পাঁচ বছরের জন্য মেয়াদ। স্বাভাবিকভাবেই যেখানে মেয়াদ বেশি থাকে, শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি থাকে, স্বাভাবিকভাবেই সেখানে ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে। এটিই আমরা মনে করি। হয়তো গবেষণা করলে সঠিকটা বোঝা যাবে।

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম থাকা মানে আশঙ্কাজনক বলা যাবে না। আমাদের দেশের সংবিধান অনুযায়ী ভোটের যে আইন কত শতাংশ ভোট পড়তে হবে এই ধরণের কোনো শর্ত নেই। এতো শতাংশ ভোট পড়লে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য বা অগ্রহণযোগ্য বলবেন এটা বলার সুযোগ নেই। কিছু কিছু দেশে আছে, যে একটা ব্যাপক ব্যবধান থাকতে হবে। আমাদের দেশে যেহেতু ওটা নাই। অতএব ভোট যদি শান্তিপূর্ণ হয় এবং নিয়মমতো হয়, কোনো অনিয়ম না হয়; সমস্ত নিয়মকানুন যদি ফলো করে তাহলে অবশ্যই তো গ্রহণযোগ্য ভোট বলতে হবে।

গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে ২৬ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট পড়ার বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, যেহেতু সাধারণ নির্বাচনের আর অল্প সময় আছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই ভোটাররা মনে করেন যে এখানে তো সরকারের কোনো পরিবর্তন হবে না। আর যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনিও কাজ করার তেমন একটা সময় পাবেন না। তাই ভোটারদের আগ্রহ কম। প্রার্থীদেরও তেমন আগ্রহ নেই।

ফরিদপুর-২ আসনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু হয়েছিল ভোটগ্রহণ, বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা চলেছে। ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহদাব আকবর ও বটগাছ প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মো. জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া। নাগরকান্দা, সালথা ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত। এতে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৯ জন ভোটার ১২৩ টি ভোটকক্ষের ৮০৬টি ভোটকক্ষে তাদের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন।

প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গত ১১ সেপ্টেম্বর সংসদীয় এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভোটার উপস্থিতি কম থাকা মানে আশঙ্কাজনক বলা যাবে না : ইসি

আপডেট সময় : ০৯:০৬:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
ভোটার উপস্থিতি কম থাকা মানে আশঙ্কাজনক বলা যাবে না। আমাদের দেশের সংবিধান অনুযায়ী ভোটের যে আইন কত শতাংশ ভোট পড়তে হবে এই ধরণের কোনো শর্ত নেই বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোববার (৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

তিনি আরো বলেন, ফরিদপুরের ক্ষেত্রে তো তেমন কোনো প্রার্থী বেশি ছিলেন না। মাত্র দুইজন ছিলেন। একজন ছিলেন এক দলের। আর একজন ছিলেন এক দলের, ওই দল বা ওই প্রার্থী তো ওতো পরিচিত না। এ কারণেও নির্বাচনে যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা সেটা তো ছিল না।

তিনি বলেন, আপনারা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও দেখবেন যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। সেখানে কিন্তু ভোটের হার অনেক বেশি। পৌরসভাতে ভোটের হার অনেক বেশি। কারণ সেখানে শক্ত প্রতিদ্বদ্বিতা হয়েছে। সেখানে পাঁচ বছরের জন্য মেয়াদ। স্বাভাবিকভাবেই যেখানে মেয়াদ বেশি থাকে, শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি থাকে, স্বাভাবিকভাবেই সেখানে ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে। এটিই আমরা মনে করি। হয়তো গবেষণা করলে সঠিকটা বোঝা যাবে।

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম থাকা মানে আশঙ্কাজনক বলা যাবে না। আমাদের দেশের সংবিধান অনুযায়ী ভোটের যে আইন কত শতাংশ ভোট পড়তে হবে এই ধরণের কোনো শর্ত নেই। এতো শতাংশ ভোট পড়লে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য বা অগ্রহণযোগ্য বলবেন এটা বলার সুযোগ নেই। কিছু কিছু দেশে আছে, যে একটা ব্যাপক ব্যবধান থাকতে হবে। আমাদের দেশে যেহেতু ওটা নাই। অতএব ভোট যদি শান্তিপূর্ণ হয় এবং নিয়মমতো হয়, কোনো অনিয়ম না হয়; সমস্ত নিয়মকানুন যদি ফলো করে তাহলে অবশ্যই তো গ্রহণযোগ্য ভোট বলতে হবে।

গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে ২৬ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট পড়ার বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, যেহেতু সাধারণ নির্বাচনের আর অল্প সময় আছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই ভোটাররা মনে করেন যে এখানে তো সরকারের কোনো পরিবর্তন হবে না। আর যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনিও কাজ করার তেমন একটা সময় পাবেন না। তাই ভোটারদের আগ্রহ কম। প্রার্থীদেরও তেমন আগ্রহ নেই।

ফরিদপুর-২ আসনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু হয়েছিল ভোটগ্রহণ, বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা চলেছে। ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহদাব আকবর ও বটগাছ প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মো. জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া। নাগরকান্দা, সালথা ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত। এতে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৯ জন ভোটার ১২৩ টি ভোটকক্ষের ৮০৬টি ভোটকক্ষে তাদের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন।

প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গত ১১ সেপ্টেম্বর সংসদীয় এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।