ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারত বাংলাদেশ কসবা সীমান্ত হাট দীর্ঘ চার বছর পর আবারও চালু হতে যাচ্ছে

মো. শরীফুল ইসলাম, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:২১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
  • / ৪১২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সপ্তাহের প্রতি রোববার বসত কসবা সীমান্ত হাট। দীর্ঘ প্রায় প্রায় চার বছর তিন মাস বন্ধ থাকার পর এ মাসের শেষের দিকে আবারও চালু হতে যাচ্ছে কসবার এ সীমান্ত হাটটি। আজ মঙ্গলবার সীমান্ত হাটে দুই দেশের পরিচালনা কমিটির বৈঠক করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

ভারত-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ ভাবে স্থাপন করা এ সীমান্ত হাটটি করোনা ভাইরাসের কারনে  ২০২০ সালের ১১ মার্চ থেকে বন্ধ থাকে। সীমান্ত হাট আবারও চালু করার জন্য ইতি মধ্যে পরিস্কার পরিচ্ছন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সীমান্ত হাটের সম্মেলন কক্ষে দুই দেশের পরিচালনা কমিটির সভাপতির নেতেৃত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ হাটে বাংলাদেশের পক্ষে নেতেৃত্ব দেন কসবা সীমান্ত হাট পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট (এডিএম) জেসমিন সুলতানা, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শাহারিয়ার মুক্তার, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার, সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ, বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার মনোরঞ্জন সরকার।

ভারতের পক্ষে নেতেৃত্ব দেন কসবা সীমান্ত হাট পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সুব্রত মজুমদার, কাস্টম সুপারিনটেনন্ডেন্ট এসএমটি সুজাতা ডিএম, মুধুপুর পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তা অনিমেশ, সাব-ডিভিশন কর্মকর্তা মনোরঞ্জন সরকার, বিশালঘরের এসডিপিও পঙ্কজ বিএসএফ কর্মকর্তা রমেশ চৌধুরী জানাযায়; ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ২০৩৯ পিলারের কাছে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর এলাকার তারাপুর এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার কমলাসাগর এলাকায় দুই দেশের সমপরিমাণ এক একর ৫০ শতক জায়গাজুড়ে সীমান্ত  হাট বসে।

প্রত্যেক রোববার এ হাটের সাপ্তাহিক দিন। এতে ভারতের ২৫টি এবং বাংলাদেশের ২৫টি দোকান বসত। ২০১৫ সনের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন। সে সময় ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় থেকে এই হাটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। ওই বছরের ১১ জুন থেকে সপ্তাহের একদিন এ হাট বসা শুরু করেছিল।

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত বাংলাদেশ কসবা সীমান্ত হাট দীর্ঘ চার বছর পর আবারও চালু হতে যাচ্ছে

আপডেট সময় : ০৬:২১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

সপ্তাহের প্রতি রোববার বসত কসবা সীমান্ত হাট। দীর্ঘ প্রায় প্রায় চার বছর তিন মাস বন্ধ থাকার পর এ মাসের শেষের দিকে আবারও চালু হতে যাচ্ছে কসবার এ সীমান্ত হাটটি। আজ মঙ্গলবার সীমান্ত হাটে দুই দেশের পরিচালনা কমিটির বৈঠক করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

ভারত-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ ভাবে স্থাপন করা এ সীমান্ত হাটটি করোনা ভাইরাসের কারনে  ২০২০ সালের ১১ মার্চ থেকে বন্ধ থাকে। সীমান্ত হাট আবারও চালু করার জন্য ইতি মধ্যে পরিস্কার পরিচ্ছন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সীমান্ত হাটের সম্মেলন কক্ষে দুই দেশের পরিচালনা কমিটির সভাপতির নেতেৃত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ হাটে বাংলাদেশের পক্ষে নেতেৃত্ব দেন কসবা সীমান্ত হাট পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট (এডিএম) জেসমিন সুলতানা, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শাহারিয়ার মুক্তার, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার, সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ, বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার মনোরঞ্জন সরকার।

ভারতের পক্ষে নেতেৃত্ব দেন কসবা সীমান্ত হাট পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সুব্রত মজুমদার, কাস্টম সুপারিনটেনন্ডেন্ট এসএমটি সুজাতা ডিএম, মুধুপুর পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তা অনিমেশ, সাব-ডিভিশন কর্মকর্তা মনোরঞ্জন সরকার, বিশালঘরের এসডিপিও পঙ্কজ বিএসএফ কর্মকর্তা রমেশ চৌধুরী জানাযায়; ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ২০৩৯ পিলারের কাছে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর এলাকার তারাপুর এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার কমলাসাগর এলাকায় দুই দেশের সমপরিমাণ এক একর ৫০ শতক জায়গাজুড়ে সীমান্ত  হাট বসে।

প্রত্যেক রোববার এ হাটের সাপ্তাহিক দিন। এতে ভারতের ২৫টি এবং বাংলাদেশের ২৫টি দোকান বসত। ২০১৫ সনের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন। সে সময় ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় থেকে এই হাটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। ওই বছরের ১১ জুন থেকে সপ্তাহের একদিন এ হাট বসা শুরু করেছিল।

বাখ//আর