ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারতে চামড়া পাচাররোধে বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জারি

মহসিন মিলন, বিশেষ প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:২৮:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪
  • / ৪৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোরের বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। বেনাপোল সীমান্তের কয়েকটি এলাকা ঘুরে বিজিবির বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মোহাম্মদ জামিল আহমেদ।

জানা যায়, বর্তমানে দেশে চামড়ার বাজার মূল্য তুলনা মূলক কম। অনেক সময় কেনা দামেও ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে পারেন না। সরকারি দামে ক্রয়-বিক্রয়ে সাড়া থাকে না। ফলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন এ সময়টায় চামড়ার দাম ভারতে একটু বেশি থাকবে। সে জন্য বেশি মুনাফার আশায় চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ৫ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৫৫০ থেকে-৬০০ এবং ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৫ মণ ওজনের কোরবানি গরুর চামড়া ৮০০ থেকে ১০০০ রুপি ও ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া প্রতি পিস ১২০০ রুপি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, যশোরের যেসব সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের সম্ভবনা থাকে সে সমস্ত এলাকা বেশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যেমন বেনাপোলের গাতীপাড়া, বড়আঁচড়া, সাদিপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, ধান্যখোলা, পুটখালী ও শার্শার গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, কাশিপুর, শিকারপুর, শালকোনা এবং শাহজাতপুর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।

বেনাপোল বাগে জান্নাত কওমি মাদ্রাসার খাদেম আব্দুল ওহাব বলেন, এলাকার মানুষ তাদেরকে কোরবানির পশুর চামড়া দান করেছেন। কিন্তু চামড়ার দাম এবার খুবই কম। গরুর চামড়া ছোট বড় মিলে গড়ে সাড়ে ৬০০ টাকা দাম পেয়েছেন। ছাগলের চামড়ার দাম হয়েছে প্রতি পিস ১০০ টাকা।

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মোহাম্মদ জামিল আহমেদ জানান, সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে বিজিবি পোস্টে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। টহল ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদেরকেও চামড়া পাচার রোধের কথা বলা হযেছে যাতে কেউ অবৈধভাবে ভারতে চামড়া পাচার করতে না পারে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতে চামড়া পাচাররোধে বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জারি

আপডেট সময় : ০১:২৮:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

যশোরের বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। বেনাপোল সীমান্তের কয়েকটি এলাকা ঘুরে বিজিবির বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মোহাম্মদ জামিল আহমেদ।

জানা যায়, বর্তমানে দেশে চামড়ার বাজার মূল্য তুলনা মূলক কম। অনেক সময় কেনা দামেও ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে পারেন না। সরকারি দামে ক্রয়-বিক্রয়ে সাড়া থাকে না। ফলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন এ সময়টায় চামড়ার দাম ভারতে একটু বেশি থাকবে। সে জন্য বেশি মুনাফার আশায় চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ৫ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৫৫০ থেকে-৬০০ এবং ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৫ মণ ওজনের কোরবানি গরুর চামড়া ৮০০ থেকে ১০০০ রুপি ও ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া প্রতি পিস ১২০০ রুপি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, যশোরের যেসব সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের সম্ভবনা থাকে সে সমস্ত এলাকা বেশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যেমন বেনাপোলের গাতীপাড়া, বড়আঁচড়া, সাদিপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, ধান্যখোলা, পুটখালী ও শার্শার গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, কাশিপুর, শিকারপুর, শালকোনা এবং শাহজাতপুর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।

বেনাপোল বাগে জান্নাত কওমি মাদ্রাসার খাদেম আব্দুল ওহাব বলেন, এলাকার মানুষ তাদেরকে কোরবানির পশুর চামড়া দান করেছেন। কিন্তু চামড়ার দাম এবার খুবই কম। গরুর চামড়া ছোট বড় মিলে গড়ে সাড়ে ৬০০ টাকা দাম পেয়েছেন। ছাগলের চামড়ার দাম হয়েছে প্রতি পিস ১০০ টাকা।

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মোহাম্মদ জামিল আহমেদ জানান, সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে বিজিবি পোস্টে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। টহল ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদেরকেও চামড়া পাচার রোধের কথা বলা হযেছে যাতে কেউ অবৈধভাবে ভারতে চামড়া পাচার করতে না পারে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে বলে জানান তিনি।