ঢাকা ১২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, মাছ ও মুরগির লাগামহীন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৫:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের পরেও ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের বাজার। বাড়তি দামের চাপে চেপ্টা হয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। নিন্ম ও মধ্যবিত্ত মানুষ কোনো হিসাবই মেলাতে পারছেন না। প্রতি সপ্তাহেই হু হু করে বাড়ছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। এ সপ্তাহে বেড়েছে পেঁয়াজ, মাছ ও মুরগির দাম। আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।

শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট সাইজের রুই মাছের কেজি ৩২০ টাকা। যা গত মাসেও বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। মাছ যত বড় হয়, তার দামও তত বাড়তে থাকে। পাবদা মাছ সর্বনিম্ন সাড়ে ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে আকার ভেদে ৬০০ টাকা কেজি। বেলে মাছ সাড়ে ৭০০ টাকা কেজি। টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া চিংড়ি ৪০০ থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এ সপ্তাহে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগির দাম ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা। বাজারে ৭০০ টাকা কেজি গরুর মাংস এবং ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, টমেটোর দাম ১৪০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, এক হালি কাঁচা কলার দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট এক টুকরো মিষ্টি কুমড়োর দামও ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজি, আলু ৩০ টাকা। শসার দাম ৮০ টাকা কেজি,  শিমের দাম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি,  ঢেঁড়সের দাম ৭০ কেজি। চিচিঙ্গার দাম ৬০ টাকা কেজি, ধুন্দলের দাম ৬০ টাকা কেজি দরে এবং লাউ আকারভেদে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

এ ছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলার ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।

এদিকে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯৫ টাকায়, প্যাকেট চিনি ১০০ টাকায় এবং লাল চিনি ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি দেশি মসুরের ডাল ১৪০ টাকা ও ভারতীয় মসুরের ডাল ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

উত্তর বাড্ডার বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মাহাবুব হোসেন বলেন, সব জিনিসের দাম বাড়ছে। মাছের বাজার ঘুরে দেখি, সবচেয়ে কম দাম কোনটার। মাছ পছন্দের হোক বা অপছন্দের।

ডিমের দামও এখন সামর্থের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আরেক ক্রেতা। তিনি বলেন, আগে খরচ বাঁচাতে ডিম আর নিরামিশ খেতাম। এখন সবজি আর ডিম দুইটারই তো অনেক দাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, মাছ ও মুরগির লাগামহীন

আপডেট সময় : ০৪:৪৫:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের পরেও ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের বাজার। বাড়তি দামের চাপে চেপ্টা হয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। নিন্ম ও মধ্যবিত্ত মানুষ কোনো হিসাবই মেলাতে পারছেন না। প্রতি সপ্তাহেই হু হু করে বাড়ছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। এ সপ্তাহে বেড়েছে পেঁয়াজ, মাছ ও মুরগির দাম। আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।

শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট সাইজের রুই মাছের কেজি ৩২০ টাকা। যা গত মাসেও বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। মাছ যত বড় হয়, তার দামও তত বাড়তে থাকে। পাবদা মাছ সর্বনিম্ন সাড়ে ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে আকার ভেদে ৬০০ টাকা কেজি। বেলে মাছ সাড়ে ৭০০ টাকা কেজি। টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া চিংড়ি ৪০০ থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এ সপ্তাহে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগির দাম ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা। বাজারে ৭০০ টাকা কেজি গরুর মাংস এবং ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, টমেটোর দাম ১৪০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, এক হালি কাঁচা কলার দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট এক টুকরো মিষ্টি কুমড়োর দামও ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজি, আলু ৩০ টাকা। শসার দাম ৮০ টাকা কেজি,  শিমের দাম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি,  ঢেঁড়সের দাম ৭০ কেজি। চিচিঙ্গার দাম ৬০ টাকা কেজি, ধুন্দলের দাম ৬০ টাকা কেজি দরে এবং লাউ আকারভেদে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

এ ছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলার ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।

এদিকে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯৫ টাকায়, প্যাকেট চিনি ১০০ টাকায় এবং লাল চিনি ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি দেশি মসুরের ডাল ১৪০ টাকা ও ভারতীয় মসুরের ডাল ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

উত্তর বাড্ডার বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মাহাবুব হোসেন বলেন, সব জিনিসের দাম বাড়ছে। মাছের বাজার ঘুরে দেখি, সবচেয়ে কম দাম কোনটার। মাছ পছন্দের হোক বা অপছন্দের।

ডিমের দামও এখন সামর্থের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আরেক ক্রেতা। তিনি বলেন, আগে খরচ বাঁচাতে ডিম আর নিরামিশ খেতাম। এখন সবজি আর ডিম দুইটারই তো অনেক দাম।