ঢাকা ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বেড়া মডেল থানার চিত্র পাল্টে দিলেন ওসি আসাদ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৬৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

থানা মানেই টাকা। টাকা ছাড়া থানায় কোনো কাজ হয় না। এমন ধারণা জনসাধারণের। তবে জনসাধারণের সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন বেড়া মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ। এ থানায় সেবা নিতে আসা লোকজন টাকা ছাড়াই এখন সাধারণ ডায়েরি (জিডি), অভিযোগ ও মামলা লেখা বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারছেন।

থানায় যোগদানের পর থেকেই কমে গেছে দালালদের দৌরাত্ম্য। প্রাথমিক অবস্থায় দালালদের সতর্ক করে থানায় তদবিরের জন্য না আসতে বলে দিয়েছেন তিনি। সেবা প্রার্থীরা দালাল ছাড়াই নির্দ্বিধায় থানায় আসা-যাওয়া করতে পারছেন। জিডি করতেও এখন আর টাকা লাগছে না থানায়। নারী-পুরুষ সবাই অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করছেন ওসির রুমে।

পাবনার বেড়া মডেল থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেয়ার আট মাসের মাথায় জনগণের পুলিশী সেবার প্রত্যাশা পূরণ করে চলেছেন ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ। সন্ত্রাস, মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিত থানা এখন অনেকটাই অপরাধমুক্ত। ইতোমধ্যেই তিনি কর্মদক্ষ ওসি হিসাবে প্রশংসিত হচ্ছেন সর্বমহলে।
এর আগেও তিনি সন্ত্রাস, মাদক নির্মূল কাজে বিষেশ ভূমিকা পালন করায় তাকে বিশেষ পুরস্কার দেন জেলা পুলিশ। তাছাড়াও বিভিন্ন থানা থেকে ভালো কাজে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। বেড়া থানা অপরাধ প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ছিল। এ থানা এলাকা একটা সময় সন্ত্রাসী এবং চরমপন্থী অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে সারাদেশে পরিচিত ছিল। সন্ধ্যার পর কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারতেন না। এখন নিদ্বির্ধায় চলাচল করছেন সাধারন মানুষ।সানিলার দীর্ঘদিনের দাঙ্গা, সিএন্ডবিতে চাঁদাবাজি, কোলঘাট দখল বে-দখল নিয়ে মারামারি এবং পায়না এলাকায় নিত্যদিনের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া আর নেই।  শান্তিতে বসবাস করছেন সবাই!

গেল বছরের জুনে পাবনার বেড়া মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন আসাদুজ্জামান । তার যোগদানের পরই যেন রাতারাতি পাল্টে যেহে শুরু করে  বেড়া থানার দৃশ্যপট। থানার ভেতরে বাইরে তখন থেকেই  পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। মাদ্রক সম্রাট-সম্রাজ্ঞীরা এখন আন্ডারগ্রাউন্ডে। পাড়ায় পাড়ায় জুয়ার আসরও উধাও। ভেঙে দেয়া হয়েছে চাঁদাবাজদের সিন্ডিকেট!

বেড়া পৌর এলাকার আল আমিন বলেন, বেড়া থানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে পুলিশের এত সুন্দর কর্মযজ্ঞ কখনও দেখিনি। থানার বর্তমান পুলিশী সেবা দেখে মনটা ভরে যায়। পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বেড়ে যায়।

চাকলা গ্রামের সাকলায়েন বলেন, জনপ্রত্যাশা পূরণে এ ওসির ভূমিকা প্রশংসনীয়। আগে থানার ভেতরে ঢুকতে অনুমতি নিতে হতো। অনেক সময় হয়রানির শিকার হতে হতো। এখন আর কোনো হয়রানির শিকার হতে হয় না। থানা পুলিশের সবাই এখন আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে।

বেড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ ‘বাংলা খবর বিডি’কে বলেন, ‘ আইনী সেবা প্রার্থীদের সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য থানার সকল অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যতদিন এই থানায় আছি জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাব। কোনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।’

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেড়া মডেল থানার চিত্র পাল্টে দিলেন ওসি আসাদ

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :

থানা মানেই টাকা। টাকা ছাড়া থানায় কোনো কাজ হয় না। এমন ধারণা জনসাধারণের। তবে জনসাধারণের সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন বেড়া মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ। এ থানায় সেবা নিতে আসা লোকজন টাকা ছাড়াই এখন সাধারণ ডায়েরি (জিডি), অভিযোগ ও মামলা লেখা বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারছেন।

থানায় যোগদানের পর থেকেই কমে গেছে দালালদের দৌরাত্ম্য। প্রাথমিক অবস্থায় দালালদের সতর্ক করে থানায় তদবিরের জন্য না আসতে বলে দিয়েছেন তিনি। সেবা প্রার্থীরা দালাল ছাড়াই নির্দ্বিধায় থানায় আসা-যাওয়া করতে পারছেন। জিডি করতেও এখন আর টাকা লাগছে না থানায়। নারী-পুরুষ সবাই অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করছেন ওসির রুমে।

পাবনার বেড়া মডেল থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেয়ার আট মাসের মাথায় জনগণের পুলিশী সেবার প্রত্যাশা পূরণ করে চলেছেন ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ। সন্ত্রাস, মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিত থানা এখন অনেকটাই অপরাধমুক্ত। ইতোমধ্যেই তিনি কর্মদক্ষ ওসি হিসাবে প্রশংসিত হচ্ছেন সর্বমহলে।
এর আগেও তিনি সন্ত্রাস, মাদক নির্মূল কাজে বিষেশ ভূমিকা পালন করায় তাকে বিশেষ পুরস্কার দেন জেলা পুলিশ। তাছাড়াও বিভিন্ন থানা থেকে ভালো কাজে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। বেড়া থানা অপরাধ প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ছিল। এ থানা এলাকা একটা সময় সন্ত্রাসী এবং চরমপন্থী অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে সারাদেশে পরিচিত ছিল। সন্ধ্যার পর কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারতেন না। এখন নিদ্বির্ধায় চলাচল করছেন সাধারন মানুষ।সানিলার দীর্ঘদিনের দাঙ্গা, সিএন্ডবিতে চাঁদাবাজি, কোলঘাট দখল বে-দখল নিয়ে মারামারি এবং পায়না এলাকায় নিত্যদিনের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া আর নেই।  শান্তিতে বসবাস করছেন সবাই!

গেল বছরের জুনে পাবনার বেড়া মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন আসাদুজ্জামান । তার যোগদানের পরই যেন রাতারাতি পাল্টে যেহে শুরু করে  বেড়া থানার দৃশ্যপট। থানার ভেতরে বাইরে তখন থেকেই  পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। মাদ্রক সম্রাট-সম্রাজ্ঞীরা এখন আন্ডারগ্রাউন্ডে। পাড়ায় পাড়ায় জুয়ার আসরও উধাও। ভেঙে দেয়া হয়েছে চাঁদাবাজদের সিন্ডিকেট!

বেড়া পৌর এলাকার আল আমিন বলেন, বেড়া থানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে পুলিশের এত সুন্দর কর্মযজ্ঞ কখনও দেখিনি। থানার বর্তমান পুলিশী সেবা দেখে মনটা ভরে যায়। পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বেড়ে যায়।

চাকলা গ্রামের সাকলায়েন বলেন, জনপ্রত্যাশা পূরণে এ ওসির ভূমিকা প্রশংসনীয়। আগে থানার ভেতরে ঢুকতে অনুমতি নিতে হতো। অনেক সময় হয়রানির শিকার হতে হতো। এখন আর কোনো হয়রানির শিকার হতে হয় না। থানা পুলিশের সবাই এখন আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে।

বেড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ ‘বাংলা খবর বিডি’কে বলেন, ‘ আইনী সেবা প্রার্থীদের সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য থানার সকল অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যতদিন এই থানায় আছি জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাব। কোনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।’

বা/খ: এসআর।