ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৬ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৯ মি. ইফতার ৬:১০ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৪০ মি. ইফতার ৬:২৩ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৮ মি. ইফতার ৬:১৯ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৫ মি. ইফতার ৬:১৬ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৭ মি. ইফতার ৬:১০ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৮ মি. ইফতার ৬:২১ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৬ মি. ::::

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 
বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ অর্থনীতিতে পরিণত হতে যাচ্ছে ভারত। ২০৩০ নাগাদ দেশটি জাপান ও জার্মানিকে ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করছেন বিশ্লেষকরা।

এই সপ্তাহে ঋণমান নির্ণয়কারী বহুজাতিক সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ও আর্থিক সেবাপ্রতিষ্ঠান মরগ্যান স্ট্যানলির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনবিসি।

প্রতিষ্ঠান দুটি অনুমান করছে, এই দশকের শেষেই বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের পর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে নিজেদের জায়গা করে নেবে ভারত।

২০৩০ সাল নাগাদ ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি গড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হবে বলে ধারণা করছে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। এদিকে মরগান স্ট্যানলির ধারণা, ২০৩১ সালের মধ্যে দেশটির বর্তমান জিডিপির স্তর বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হবে।

মরগান স্ট্যানলির বিশ্লেষক রিদম দেশাই ও গিরিশ আচিপালিয়া প্রতিবেদনে লিখেছেন, অফশোরিং, উৎপাদন বিনিয়োগ, এনার্জির ট্রানজিশন এবং উন্নত ডিজিটাল পরিকাঠামোর মাধ্যমে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে। এসবের কারণে দেশটি চলতি দশক শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বের ‍তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারে পরিণত হবে।

ভারতের পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য বলছে, বছর ব্যবধানে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা ৬ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে ধারণা করেছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আবার এপ্রিল থেকে জুন ত্রৈমাসিকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়। মূলত পরিষেবা খাতের ব্যাপক অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণেই এ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়।

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের বিশ্লেষকদের মতে, বাণিজ্য ও আর্থিক উদারীকরণ নীতি, শ্রমবাজার সংস্কার এবং পরিকাঠামো ও মানব পুঁজিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে ভারতীয় অর্থনীতি বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

ভারতকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি কেন্দ্র এবং একটি ম্যানুফ্যাকচার পাওয়ার হাউসে পরিণত করার জন্য দেশটির সরকারের উদ্যোগের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলেন, সে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য একটি প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে প্রোডাকশন লিংকড ইনসেনটিভ স্কিম বা পিএলআইএস। এটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে উৎপাদন ও রফতানি বাড়ানো।

২০২০ সালে ভারত সরকার এ প্রোগ্রামটি চালু করে। যার মধ্যে ট্যাক্স রেয়াত এবং লাইসেন্স ছাড়পত্রসহ বিভিন্ন উপায়ে দেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রণোদনা দেয়া হয়।

এসঅ্যান্ডপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সরকার ভারতীয় অর্থনীতিকে আরও রফতানিচালিত এবং বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে আরও আন্তঃসংযুক্ত করার জন্য পিএলআইএসকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/22vo

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত!

আপডেট সময় : ০৭:৪১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 
বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ অর্থনীতিতে পরিণত হতে যাচ্ছে ভারত। ২০৩০ নাগাদ দেশটি জাপান ও জার্মানিকে ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করছেন বিশ্লেষকরা।

এই সপ্তাহে ঋণমান নির্ণয়কারী বহুজাতিক সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ও আর্থিক সেবাপ্রতিষ্ঠান মরগ্যান স্ট্যানলির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনবিসি।

প্রতিষ্ঠান দুটি অনুমান করছে, এই দশকের শেষেই বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের পর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে নিজেদের জায়গা করে নেবে ভারত।

২০৩০ সাল নাগাদ ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি গড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হবে বলে ধারণা করছে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। এদিকে মরগান স্ট্যানলির ধারণা, ২০৩১ সালের মধ্যে দেশটির বর্তমান জিডিপির স্তর বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হবে।

মরগান স্ট্যানলির বিশ্লেষক রিদম দেশাই ও গিরিশ আচিপালিয়া প্রতিবেদনে লিখেছেন, অফশোরিং, উৎপাদন বিনিয়োগ, এনার্জির ট্রানজিশন এবং উন্নত ডিজিটাল পরিকাঠামোর মাধ্যমে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে। এসবের কারণে দেশটি চলতি দশক শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বের ‍তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারে পরিণত হবে।

ভারতের পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য বলছে, বছর ব্যবধানে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা ৬ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে ধারণা করেছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আবার এপ্রিল থেকে জুন ত্রৈমাসিকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়। মূলত পরিষেবা খাতের ব্যাপক অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণেই এ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়।

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের বিশ্লেষকদের মতে, বাণিজ্য ও আর্থিক উদারীকরণ নীতি, শ্রমবাজার সংস্কার এবং পরিকাঠামো ও মানব পুঁজিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে ভারতীয় অর্থনীতি বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

ভারতকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি কেন্দ্র এবং একটি ম্যানুফ্যাকচার পাওয়ার হাউসে পরিণত করার জন্য দেশটির সরকারের উদ্যোগের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলেন, সে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য একটি প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে প্রোডাকশন লিংকড ইনসেনটিভ স্কিম বা পিএলআইএস। এটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে উৎপাদন ও রফতানি বাড়ানো।

২০২০ সালে ভারত সরকার এ প্রোগ্রামটি চালু করে। যার মধ্যে ট্যাক্স রেয়াত এবং লাইসেন্স ছাড়পত্রসহ বিভিন্ন উপায়ে দেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রণোদনা দেয়া হয়।

এসঅ্যান্ডপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সরকার ভারতীয় অর্থনীতিকে আরও রফতানিচালিত এবং বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে আরও আন্তঃসংযুক্ত করার জন্য পিএলআইএসকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/22vo